রোববার   ১৬ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২ ১৪৩২   ২৫ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho

পাওনা দিতে পারলে শিল্পটা আজ হারিয়ে যেত না: জয়া আহসান

বিনোদন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৬ নভেম্বর ২০২৫  

ভালোবাসার শাড়ির তালিকায় জামদানি সবসময়ই সবার ওপরে থাকে। বাংলাদেশি নারীদের সংগ্রহে অন্তত একটি জামদানি থাকা যেন স্বাভাবিক বিষয়। অভিনেত্রী জয়া আহসানও তার ব্যতিক্রম নন। বহু দেশে তিনি জামদানি পরে নিজেকে উপস্থাপন করেছেন এবং প্রশংসা পেয়েছেন। সেই জামদানি তৈরির পেছনে রয়েছেন অসংখ্য মানুষের শ্রম—তাদেরই একজন প্রবীণ তাঁতশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর, যিনি গতকাল সকালে মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে শোক ও গভীর আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন জয়া।

 

আজ দুপুরে সামাজিক মাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে জয়া লিখেছেন, ‘জামদানি শাড়ি আমার কাছে শুধু পোশাক নয়, সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অংশ। প্রতিটি সুতা, প্রতিটি নকশা যেন আমাকে আমার শিকড়ের সঙ্গে যুক্ত করে।’

 

তিনি আরও লিখেছেন, ‘ছবিতে আমার পরা সাদা রঙের অপূর্ব শাড়িটি তৈরি করেছিলেন বাংলাদেশের তাঁতশিল্পী ওস্তাদ আলী আকবর (৮৩)। তিনি গতকাল শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন। আমরা সত্যিই একজন রত্ন হারিয়েছি। এই নকশাটি তিনি ছাড়া আর কেউই বানাতে পারতেন না—আর হয়তো কখনো পারবেও না।’

 

তাঁতশিল্পীরা উপযুক্ত পারিশ্রমিক না পাওয়ায় এই শিল্প হারিয়ে যাচ্ছে বলেও উল্লেখ করেন জয়া। তার ভাষায়, ‘জামদানি বুনন বিশাল ধৈর্য আর পরিশ্রমের কাজ। কিন্তু আয় খুব সামান্য। তাই নতুন প্রজন্ম এই শিল্পে আগ্রহ দেখায় না। আমরা যদি কারিগরদের সম্মান ও ন্যায্য পাওনা দিতে পারতাম, তবে হয়তো এই শিল্প আজ বিলুপ্তির পথে যেত না।’

 

ওস্তাদ আলী আকবরকে স্মরণ করে জয়া আরও বলেন, ‘এই মোটিভটি শুধু আলী আকবর ভাই-ই তৈরি করতে পারতেন। তার শরীর নিভে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সেই গুণটিও হারিয়ে গেল। একজন সত্যিকারের শিল্পীর প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি। আপনারা সবাই তাকে প্রার্থনায় রাখবেন।’

 

প্রসঙ্গত, ২০২৫ সালে ‘জয়া আর শারমিন’, ‘উৎসব’, ‘তাণ্ডব’, ‘ফেরেশতে’, ‘ডিয়ার মা’ ও ‘পুতুলনাচের ইতিকথা’সহ বেশ কয়েকটি চলচ্চিত্রে দেখা গেছে জয়া আহসানকে। সামনে আরও নতুন কাজ নিয়ে পর্দায় আসবেন তিনি।

 

এই বিভাগের আরো খবর