বুধবার   ২৬ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ১২ ১৪৩২   ০৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৩

মুহাম্মদ সা.কে কটূক্তির অভিযোগে তিতুমীর কলেজের এক শিক্ষার্থী আটক

তিতুমীর কলেজ প্রতিনিধি : সাদিকুল ইসলাম সাদিক 

প্রকাশিত: ২৬ নভেম্বর ২০২৫  

​নবী মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করার অভিযোগে তিতুমীর কলেজের ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের (২০২৩-২৪) সেশনের শিক্ষার্থী বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মনকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করেছে কলেজ প্রশাসন।

 

​আজ ২৬ নভেম্বর (বুধবার) দুপুর ১২টার দিকে সাধারণ শিক্ষার্থী এবং তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রদলের ৬ জন নেতাকর্মীর নেতৃত্বে তাকে বিষয়টি সমাধানের কথা বলে কলেজ ক্যাম্পাসে আনা হয়। পরবর্তীতে তার কাছ থেকে স্বীকারোক্তি নিয়ে কলেজ প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

 

​এরপর কলেজ প্রশাসন তাকে বনানী থানার দায়িত্বরত পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে। অভিযুক্ত বিশ্বজিৎ চন্দ্র বর্মন তার নিজের নাম গোপন করে ফেসবুকে 'ফারিয়া আক্তার' নামে একটি ভুয়া অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে বিভিন্ন জায়গায় মেসেজ এবং কমেন্টের মাধ্যমে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে কটূক্তি করেছিলেন।

 

এই বিষয়ে বনানী থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ মোঃ রাসেল সারোয়ার বলেন : আমরা এই মুহূর্তে কোন বক্তব্য দিতে পারবো না। এখনো এই বিষয়টি তদন্ত করা হয়নি এবং তদন্ত হওয়ার পর আপনারা যদি কোন কিছু জানতে চান তবে  ডিএমপি মিডিয়া উইঙ্ক এ যোগাযোগ করবেন।

 

​আটকের সময় নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদলের কর্মী মো. তাওহিদ আহাম্মেদ রাজন বলেন, "তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থী হিসেবে আমি, মো. তাওহিদ আহমেদ রাজন, আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)-কে নিয়ে অবমাননাকর মন্তব্য এবং মুসলিম মেয়েদের পোশাক ও আচরণ নিয়ে আপত্তিকর বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। এই ধরনের বক্তব্য ধর্মীয় অনুভূতিতে

 

আঘাত হানার পাশাপাশি নারী সম্প্রদায়ের মর্যাদাকেও ক্ষুণ্ন করে—যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।"

 

​তিনি আরও বলেন, "অভিযোগ উত্থাপিত হওয়ার পর অভিযুক্ত শিক্ষার্থী অধ্যক্ষের কক্ষে এবং সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের উপস্থিতিতে নিজের ভুল স্বীকার করেছে। এ তথ্য বিবেচনায় নিয়ে আমি কলেজ কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ করছি, ঘটনাটির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করে প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ও কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য। কলেজের সুষ্ঠু পরিবেশ ও

 

নৈতিক মূল্যবোধ রক্ষার স্বার্থে প্রয়োজনীয় শাস্তি প্রদান অপরিহার্য বলে আমি মনে করি।"

 

এই বিভাগের আরো খবর