রোহিঙ্গা ক্যাম্প নিয়ন্ত্রণ করে কারা?
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ২৮ আগস্ট ২০১৯
কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প বাইরের দিক থেকে শান্ত মনে হলেও ভেতরে অন্য রকম। শরণার্থী শিবিরে বসবাসরত অনেকেই জানান, একটি অংশ আছে যাদের বিশ্বাসঘাতক হিসেবে সন্দেহ করে অপরপক্ষ। এসব ব্যক্তি এখনো ক্যাম্প থেকে মিয়ানমারের গোয়েন্দাদের তথ্য দেয় বলে তাদের প্রতিপক্ষের অভিযোগ।
রোহিঙ্গারা জানায়, ক্যাম্পের ভেতরেই একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী রয়েছে যারা তাদের দৃষ্টিতে বিশ্বাসঘাতক চিহ্নিত করার কাজ করে। ক্যাম্পের ভেতরে দিনের বেলায় এক রকম চিত্র থাকলেও রাতের বেলায় চিত্র পুরোপুরি ভিন্ন। রাতের আঁধার নামার সাথে সাথেই রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সশস্ত্র পদচারণা শুরু হয়। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিদ্যুত সরবরাহ নেই। অন্যদিকে পর্যাপ্ত রাস্তাও নেই।
ক্যাম্পের ভেতরে বড় কয়েকটি সড়ক তৈরি করা হয়েছে যেগুলো আর্মি রোড হিসেবে পরিচিত। কিন্তু এসব রাস্তার মাধ্যমে সব জায়গায় পৌছনো যায়না। ফলে যে কোন অপরাধ করে দ্রুত সেখান থেকে পালিয়ে যাওয়া সম্ভব। রাতের বেলায় এসব জায়গায় যেতে নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরাও নিরাপদ বোধ করেন না।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা মুহাম্মদ ইউনুস দোভাষীর সাহায্যে বিবিসিকে জানায়, যাদের হ’ত্যা করা হয়েছে তারা সবাই মোনাফেক। কোন ভালো মানুষকে হ’ত্যা করা হয়নি। তিনি বলেন, ক্যাম্পের ভেতরে অনেকে আছে যারা মিয়ানমার বাহিনীর কাছে তথ্য পাচার করে।
পুলিশ বলছে, ক্যাম্পের ভেতরে রোহিঙ্গাদের নিজেদের মধ্যে গত দুই বছরে অন্তত ৪৫টি খু’ন হয়েছে, যার বেশকিছু পরিকল্পিত হ’ত্যাকাণ্ড। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের সূত্রগুলো বলছে, ক্যাম্পের ভেতরে তৎপর সশস্ত্র গোষ্ঠীর কথা না শুনলে পরিণতি হয় ভয়াবহ।
হ’ত্যাকাণ্ডের আরেকটি কারণ আছে। স্থানীয় প্রশাসনের এবং নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে কথা বলে সে সম্পর্কে ধারণা পাওয়া গেল। রোহিঙ্গাদের মধ্যে গত দুই বছরে ক্যাম্পের ভেতরে যারা কিছুটা প্রভাবশালী হয়ে উঠেছেন তাদের বেশ কয়েকজনকে হ’ত্যা কারা হয়েছে।
কারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যেই অনেকে চায়না যে অন্য কেউ প্রভাবশালী হয়ে উঠুক। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানায়, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী ক্যাম্পের ভেতরে তাদের একচ্ছত্র আধিপত্য প্রতিষ্ঠা করতে চায়।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, ক্যাম্পের ভেতরে একটা কথা প্রচলিত আছে, ক্যাম্প দিনের বেলায় বাংলাদেশের আর রাতের বেলায় সশস্ত্র গোষ্ঠীর। এটা এখন ওপেন সিক্রেট।
কর্মকর্তারা বলছেন, এই সশস্ত্র গোষ্ঠী চায়না যে রোহিঙ্গারা মিয়ানমারে ফিরে যাক। তারা রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশে রেখে তাদের কর্মকাণ্ড চালিয়ে যেতে চায়। এর মাধ্যমে সেই সশস্ত্র গোষ্ঠী মিয়ানমার সেনাবাহিনীর উদ্দেশ্য চরিতার্থ করছে বলে মনে করেন সে কর্মকর্তা।
সম্প্রতি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের উদ্যোগ নেবার পর সে গোষ্ঠী অনেক রোহিঙ্গাকে ভয়ভীতি দেখিয়েছে যাতে তারা ফিরে যেতে রাজী না নয়। স্থানীয় প্রশাসনের কয়েকজন কর্মকর্তা এ তথ্য জানিয়েছেন।
স্থানীয় প্রশাসনের এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে, আগামী কয়েক বছর পর রোহিঙ্গারাই ক্যাম্পগুলো নিয়ন্ত্রণ করবে। রোহিঙ্গাদের একটি সশস্ত্র গোষ্ঠী ইয়াবা চোরাচালানের সাথে জড়িত। এখান থেকে টাকা আয় করে নিজেদের সংগঠন চালানোর জন্য খরচ করে তারা।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক আশরাফুল আফসার বলেন, রোহিঙ্গাদের নিজস্ব দ্বন্দ্বের কারণে খুনোখুনিগুলো হচ্ছে এবং তার প্রভাব কক্সবাজারের আইশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উপরও পরছে। সময় যতই গড়িয়ে যাচ্ছে মানুষের মধ্যে টেনশন তত বৃদ্ধি পাচ্ছে।
স্থানীয় বাসিন্দারা মনে করেন, বেসরকারি সংস্থাগুলো রোহিঙ্গাদের বেশি ত্রাণ সাহায্য দিচ্ছে বলে তারা মিয়ানমারে ফিরে যাবার আগ্রহ পাচ্ছেনা। এমন অবস্থায় বেসরকারি সংস্থাগুলো রয়েছে উভয় সংকটে।
নিরাপত্তা বাহিনীর সূত্রগুলো বলছে, রোহিঙ্গা ক্যাম্পের আইনশৃঙ্খলার দিকে তাদের তীক্ষ্ণ নজর রয়েছে তাদের। নিরাপত্তা ইস্যুতে গত ছয়মাস যাবত রোহিঙ্গাদের প্রতি কঠোর মনোভাব দেখাচ্ছে। কোন রকম অপরাধের সাথে জড়িত থাকার নূন্যতম প্রমাণ পাওয়া গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে কর্মকর্তারা জানাচ্ছেন।
রোহিঙ্গা ক্যাম্পে যদি সশস্ত্র গোষ্ঠীর উপস্থিতি তাকে, তাহলে তাদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে না কেন? এমন প্রশ্নে এক কর্মকর্তা বলেন, এর কয়েকটি কারণ রয়েছে। প্রথম কারণ হচ্ছে, শরণার্থী শিবিরের নিরাপত্তা বাহিনী কোন অভিযান পরিচালনা করলে সেটির আন্তর্জাতিকভাবে নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া তৈরি করবে।
তাছাড়া যে কোন ধরণের অভিযান পরিচালনা হলে সাধারণ রোহিঙ্গারাও ক্ষুব্ধ হয়ে উঠতে পারে। এছাড়া বিষয়টিকে মিয়ানমার সরকার এমনভাবে উপস্থাপনের চেষ্টা করতে পারে যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সন্ত্রাসীরা আছে। ফলে বিষয়টি তাদের পক্ষে যেতে পারে।
তবে আরেকজন কর্মকর্তা বলেন, শরণার্থী ক্যাম্পে অভিযান পরিচালনা করার মতো পরিস্থিতি এখনো তৈরি হয়নি। সেজন্য নিরাপত্তা বাহিনীগুলো এখন ভিন্ন কৌশলে হাঁটছে।
একজন কর্মকর্তা জানালেন, তারা বেছে-বেছে পদক্ষেপ নেবেন। নিরাপত্তাবাহিনীর সাথে তথাকথিত বন্দুকযুদ্ধে নিহত হবার ঘটনাগুলো সে বিষয়টি প্রমাণ করে বলে মন্তব্য করেন এক কর্মকর্তা। স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারাও বলছেন, পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হয়ে উঠছে।
সেজন্য রোহিঙ্গা ক্যাম্পের চারপাশে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ, বিদ্যুত সরবরাহ এবং সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ বেশ কিছু পদক্ষেপ নেবার সুপারিশ করেছে স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ। রোহিঙ্গাদের শুধু নিজেদের মধ্যে খুনোখুনি নয়, রোহিঙ্গাদের হামলায় কয়েকজন বাংলাদেশিও নিহত হয়েছে। সর্বশেষ একজন যুবলীগ নেতার হ’ত্যাকাণ্ড স্থানীয় বাংলাদেশীদের মধ্যে উদ্বেগ এবং ক্ষোভ তৈরি হয়েছে।
বাংলাদেশে প্রবেশের পর থকে রোহিঙ্গাদের অনেকের বিরুদ্ধে নানা অপরাধের অভিযোগে মামলাও হয়েছে। এসব অভিযোগের মধ্যে রয়েছে হ’ত্যা, মা’দক, নারী পাচারসহ নানা ধরণের অপরাধ। কুতুপালং-এর লম্বাশিয়ার বাসিন্দা তানজিনা আক্তারের আশঙ্কা করেন, রোহিঙ্গাদের কারণে ভবিষ্যতে হয়তো তাদের এ এলাকা ছাড়তে হবে।
তিনি বলেন, ওরা আমাদেরকেই এ এলাকা ছাড়া করবে। কয়দিন পর আমাদেরকে মারবে।
- বাংলাদেশ কে সুখবর দিল ভারত
- শহীদ তিতুমীরের স্মরণে আলোচনা সভা
- হাসিনার রায়ের দিনই কেন দেশে ‘মব ভায়োলেন্স’? সন্দেহ মির্জা ফখরুলের
- লাকসামে সিও’র সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
- গাজীপুর-৬ আসন নিয়ে আজই হতে পারে বড় সিদ্ধান্ত
- বিশ্বকাপ টিকিট থাকলে যুক্তরাষ্ট্র ভিসায় অগ্রাধিকার পাবেন দর্শকরা
- মুশফিকের শততম টেস্টে খেলতে না পারার আক্ষেপ জানালেন সাকিব
- লেবাননে ফিলিস্তিনি শিবিরে ইসরাইলি ড্রোন হামলায় নিহত ১৩
- বিদেশে থাকা সন্ত্রাসী মামুনের নির্দেশে যুবদল নেতা কিবরিয়াকে গুলি
- হাসিনা–কামালের সম্পদ বাজেয়াপ্ত প্রক্রিয়া নিয়ে জনমনে বাড়ছে প্রশ্ন
- মৃত্যুদণ্ডের পরে আ.লীগের ভবিষ্যৎ কোনদিকে—জল্পনা তুঙ্গে
- ইসির সঙ্গে ১২ রাজনৈতিক দলের সংলাপ আজ
- ২২ বছর পর ভারতের বিপক্ষে জয় পেল বাংলাদেশ
- পরীমনির সঙ্গে তুলনা করায় ক্ষিপ্ত ডাকসু নেত্রী রাফিয়া
- বন্ধুত্বের আকাশে আবীরের আলো–জয়ার চোখে এক নির্ভরতার মানুষ
- নির্ধারিত সময়ে আপিল না করলে গ্রেপ্তারের সাথে সাথে মৃত্যুদণ্ড
- নিজের জন্য ভোট চেয়ে যা বললেন : জেসিয়া ইসলাম
- শিল্পীদের নিরাপত্তা চাইলেন অভিনেত্রী ফারিণ
- বগুড়ার সাবেক ডিসি–অধ্যক্ষসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
- ক্ষতিপূরণ দাবিতে এমবাপ্পে–পিএসজির দ্বন্দ্ব নতুন মোড় নিল
- শেখ হাসিনার নির্দেশ ও গোপন বৈঠক-ট্রাইব্যুনালের রায়ে নতুন তথ্য
- ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়:শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় সম্পর্কে
- শেখ হাসিনা–আসাদুজ্জামান মৃত্যুদণ্ড ভুক্তভোগীদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ
- জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে গাজা স্থিতিশীলতা বাহিনী গঠনের অনুমোদন
- শেখ হাসিনা–আসাদুজ্জামানের সম্পদ বাজেয়াপ্তের আদেশ
- শেখ হাসিনা-আসাদুজ্জামান-মামুনের রায়ে কী উঠে এল ট্রাইব্যুনালে?
- মৃত্যুদণ্ডে জাতিসংঘের অসন্তোষ: বাংলাদেশকে সতর্ক বার্তা
- ছাত্রদল ও ছাত্রঅধিকারের ‘ঐক্যবদ্ধ নির্ভীক জবিয়ান’ প্যানেল ঘোষণা
- মামলা ও গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে যা বললেন মেহজাবীন
- বিশ্বের শীর্ষ গণমাধ্যমে হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায় প্রধান শিরোনাম
- ব্রাজিলে কপ-৩০ সম্মেলনে লায়ন রফিকুল ইসলাম শান্ত
- বগুড়ার সাবেক ডিসি–অধ্যক্ষসহ সাতজনের বিরুদ্ধে মামলা
- তিতুমীর কলেজে ছাত্রশিবিরের আওয়ামী লীগ বিরোধী বিক্ষোভ
- ওয়াশরুম ভিডিও নিয়ে নতুন বিতর্ক: খোলামেলা ক্ষমা চাইলেন মিথিলা
- সবার জন্য রিহ্যাবিলিটেশন সেবা: সুস্থ জীবনের অধিকার
- শহীদ তিতুমীরের স্মরণে আলোচনা সভা
- প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী হলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ
- বিবিসিকে প্রথম সাক্ষাৎকারে অভিযোগ অস্বীকার করলেন শেখ হাসিনা
- ওসমানী নগরে ছাত্রলীগ নেতার গ্রেফতারের দাবিতে উত্তাল জনতা
- মৃত্যুদণ্ডে জাতিসংঘের অসন্তোষ: বাংলাদেশকে সতর্ক বার্তা
- জুলাই আদেশ জারি হচ্ছে আজ
- ইনিংস ব্যবধানে জিতে সিরিজে এগিয়ে বাংলাদেশ
- চট্টগ্রামে কনস্টেবলের হাতেও এসএমজি
- নওগাম পুলিশ স্টেশনে বিস্ফোরণ, ৯ জন নিহত, ২৯ জন আহত
- ভয়- ভোগান্তি, দেশজুড়ে সতর্কতা
- লাকসামে সিও’র সাংবাদিকের সাথে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ
- খিলা আজিজ উল্লাহ উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন আদেশে কোন দলের দাবি কতটা রাখা হলো
- জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা
- ডুয়েট সাংবাদিক সমিতির নতুন সভাপতি মাহতাব সাধারণ সম্পাদক মনির
- কুরআন হাদিসে কাউকে ‘মুরগী চোরা’ বলার অনুমতি দেওয়া হয়নি
- মহাকাশের জন্ম ও মৃত্যু - ড. মো: হোসেন মনসুর
- তরুণ কন্ঠের নাম ব্যবহার করে অপকর্ম, শীঘ্রই আইনানুগ ব্যবস্থা
- এইডস নিয়ে সচেতনতাই মূল লক্ষ্য
- গ্যাস্ট্রিকের ওষুধ রেনিটিডিনে মিলল ক্যান্সার সৃষ্টিকারি উপাদান
- প্রযুক্তির অধিক ব্যবহারের সাথে বেড়ে চলেছে অনলাইন প্রতারনা
- আইনের সঠিক ব্যবহার নাকি প্রয়োজন নতুন আইনের?
- বৃহৎ কার্যসিদ্ধির আদ্যপ্রান্তে!
- ইমান আর অনুভূতির জায়গা এক নয় : ব্যারিস্টার তৌফিকুর রহমান
- রমজান মাস স্রষ্টার শ্রেষ্ঠ উপহার
- বঙ্গবন্ধু ও কলকাতার বেকার হোস্টেল
- আপনিও দৈনিক তরুণ কণ্ঠে’র অংশ হয়ে উঠুন, লিখুন তরুণ কণ্ঠে
- ধর্ষণ,তোমার শেষ কোথায়?
- ফরিদপুর সুগার মিল নিয়ে কিছু কথা - আমিনুল ইসলাম শান্ত
- ওয়ারী তালাবদ্ধ এবং বাস্তবতা
