মঙ্গলবার   ১৯ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ৩ ১৪৩২   ২৪ সফর ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৩৪

মৌলভীবাজারে কচুরিপানায় আটকে আছে ৫শ বিঘার বোরো চাষ

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ৫ অক্টোবর ২০২০  

মৌলভীবাজারের শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের জতরপুর ও শহশ্রী এলাকায় কচুরিপানার জন্য প্রায় ৫০০ বিঘা জমিতে দুই বছর ধরে বোরো ধান চাষ ব্যাহত হচ্ছে। হাওরের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙা থাকায় গোফলা নদী দিয়ে কচুরিপানা এখানে এসে জমা হয় বলে জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন।

স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, জতরপুর গ্রামসংলগ্ন এলাকায় জমে আছে কচুরিপানা। দুই-তিন বছর ধরে কচুরিপানা জমে থাকার কারণে জায়গাটি প্রায় জঙ্গল হয়ে গেছে। অন্যদিকে শহশ্রী গ্রামের গোফলা নদীর পশ্চিম পাশের বাঁধগুলো ভেঙে যাওয়ায় সেখান দিয়ে পানি ঢুকেছে। ফলে হাওরের পাশাপাশি নিচু ক্ষেতগুলোতে কচুরিপানা জমে গেছে।

জতরপুর গ্রামের কৃষক মসুদ মিয়া বলেন, ‘হাইল হাওরের এই জায়গাটায় আমরা বোরো ধান চাষ করি। এই বোরো ধানই আমাদের রোজগারের পথ। দুই বছর ধরে আমরা ধান চাষ করতে পারছি না। বার বার অনেক জায়গায় আবেদন করেও কোনো সুরাহা হচ্ছে না। ধান চাষ না করায় আমাদের ঘরে খাবার নেই। অনেক কষ্টে দিন কাটাচ্ছি।’

স্থানীয় মির্জাপুর ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মোহিত পাল বলেন, ‘হাওরের বিভিন্ন জায়গায় বাঁধ ভাঙা থাকার কারণে গোফলা নদী দিয়ে কচুরিপানা এখানে এসে জমে। গোফলা নদীর পশ্চিম পাশের বাঁধগুলো ঠিক করা হয় না দুই–তিন বছর ধরে। এই কাজগুলো ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে করা সম্ভব নয়। উপজেলা পরিষদের পক্ষে থেকে কাজটি দ্রুত করে দিলে কৃষকদের অনেক উপকার হবে।’

এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিলুফার ইয়াসমিন জানান, তিনি জায়গাটি দেখেছেন। সেখানকার মানুষের একমাত্র আয়ের উৎস বোরো ধান। যে পরিমাণ কচুরিপানা জমা হয়েছে, তা কৃষকেরা সরাতে পারবেন না। এ বিষয়ে তিনি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানাবেন, যাতে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) বা সরকারি কোনো প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে এই কচুরিপানা সরানোর ব্যবস্থা করা হয়।

এই বিভাগের আরো খবর