মঙ্গলবার   ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ২ ১৪৩২   ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১০

বলিউডে ব্যর্থ হয়ে দক্ষিণে সরে যেতে বাধ্য হন নায়িকা সোনাল চৌহান

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫  

সিনেমায় রোমান্টিক দৃশ্য বা চুম্বন স্বাভাবিক হলেও, কখনো কখনো অতিরিক্ত ব্যবহার ছবির মান নষ্ট করে দেয় বলে অভিযোগ রয়েছে। ২০১৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি বলিউড সিনেমা এর বড় উদাহরণ, যেখানে প্রায় ৩০টি চুম্বন দৃশ্য থাকা সত্ত্বেও ছবিটি বক্স অফিসে ডাহা ফ্লপ হয়।

 

 

বলিউডে 'সিরিয়াল কিসার' হিসেবে পরিচিত ইমরান হাশমি না থাকলেও, ২০১৩ সালের হরর-থ্রিলার 'থ্রিজি—আ কিলার কানেকশন' সিনেমাটিতে চুম্বন দৃশ্যের সংখ্যা ছিল অবিশ্বাস্য। সিনেমাটির প্রধান দুই চরিত্রে অভিনয় করেন নীল নীতীন মুকেশ এবং সোনাল চৌহান।

এই সিনেমাটি চুম্বনের সংখ্যার দিক থেকে ইমরান হাশমি ও মালাইকা অরোরা অভিনীত ব্লকবাস্টার সিনেমা 'মার্ডার'-কেও ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এত উত্তাপ থাকা সত্ত্বেও ছবিটি দর্শকদের মধ্যে কোনো সাড়া জাগাতে পারেনি।

 

 

২০১৩ সালের ১৫ মার্চ মুক্তি পেয়েছিল 'থ্রিজি—আ কিলার কানেকশন'। সমালোচক ও দর্শকদের নেতিবাচক প্রতিক্রিয়ার কারণে এটি সেই বছরের সবচেয়ে খারাপ পারফরমারগুলোর মধ্যে একটি হিসেবে বিবেচিত হয়। রটেন টোমাটোজে সিনেমাটির রেটিং ছিল মাত্র ১২ শতাংশ, আর আইএমডিবিতে এর রেটিং ছিল ১০-এ মাত্র ৩.৬।  প্রায় ১৩ কোটি রুপি বাজেট থাকা সত্ত্বেও সিনেমাটি ভারতের বক্স অফিসে মাত্র ৫.৪৮ কোটি রুপি আয় করে। বৈশ্বিকভাবে এর মোট আয় দাঁড়ায় মাত্র ৭.৪৫ কোটি রুপি।

 

 

সিনেমাটির ভয়াবহ ব্যর্থতা অভিনেত্রী সোনাল চৌহানের ক্যারিয়ারে গভীর প্রভাব ফেলে। বলিউডে প্রত্যাশিত সাফল্য না পাওয়ায় তিনি একপ্রকার নিঃশব্দে সরে যান এবং অন্যান্য ভাষার সিনেমায় কাজ শুরু করতে বাধ্য হন। তবে তিন বছর পর তিনি জে পি দত্ত পরিচালিত 'পল্টন' সিনেমার মাধ্যমে বলিউডে আবার ফিরে আসেন।

 

অতিরিক্ত চুম্বন দৃশ্যের ওপর নির্ভরতা যে ভালো গল্পের বিকল্প হতে পারে না, 'থ্রিজি—আ কিলার কানেকশন' সিনেমাটি তারই প্রমাণ।

এই বিভাগের আরো খবর