রোববার   ২১ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৬ ১৪৩২   ০১ রজব ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho

কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ড: দেড় মাসেও স্বাভাবিক হয়নি পণ্য সরবরাহ

তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ২১ ডিসেম্বর ২০২৫  

রাজধানীর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দেড় মাস পার হলেও এখনো পুরোপুরি স্বাভাবিক হয়নি পণ্য সরবরাহ কার্যক্রম। প্রয়োজনীয় প্রবেশ পাস না পাওয়ায় সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টরা সময়মতো ভেতরে ঢুকতে পারছেন না বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়ছেন আমদানিকারক ও উদ্যোক্তারা।

 

 

গত ১৮ অক্টোবরের অগ্নিকাণ্ডে কার্গো ভিলেজের এ, বি এবং সি—এই তিনটি প্রধান গেট বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি সামাল দিতে বর্তমানে আলফা এইট (Alpha 8) গেট দিয়ে পণ্য খালাস করা হচ্ছে। এছাড়া সাময়িকভাবে ৯ নম্বর গেট দিয়ে শুধু আন্তর্জাতিক কুরিয়ারে আসা পণ্য, নথিপত্র ও স্যাম্পল ছাড় করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। যদিও এসব উদ্যোগে পণ্যজট কিছুটা কমেছে, তবে সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টদের দাবি—আগের মতো পাস না পাওয়ায় পণ্য হাতে পেতে ৩ থেকে ৪ দিন বাড়তি সময় লাগছে।

 

 

 

আমদানি করা পণ্যের জরুরি প্রয়োজনের কথা উল্লেখ করে বিটিএমএর সহ-সভাপতি সালেউদ জামান খান বলেন:

“এয়ারপোর্ট দিয়ে ইম্পোর্টের যে পণ্যগুলো আসে, সেগুলোর সাধারণত অনেক আর্জেন্সি থাকে। বর্তমানে পণ্য বুঝে পেতে দেরি হওয়ায় উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে।”

 

 

পণ্য খালাসে ধীরগতির অভিযোগের বিপরীতে ভিন্ন চিত্র তুলে ধরছে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। তাদের দাবি, কাস্টমস ও কার্গো হ্যান্ডেলারদের নিয়ে ২৪ ঘণ্টা সেবা চালু রাখা হলেও আমদানিকারকরা রাতে পণ্য নিতে আসছেন না।

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন এস এম রাগীব সামাদ বলেন:

 

“সিভিল এভিয়েশন তাদের পক্ষ থেকে সব ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু আমরা দেখতে পাচ্ছি, রাত ১০টার পর থেকে সকাল ৭টা পর্যন্ত কেউ কার্গো রিসিভ করছে না। অথচ আমরা ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস খোলা রেখেছি।”

 

রাতে আমদানিকারকদের অনীহার কারণে কার্গো এলাকায় মালামালের স্তূপ জমছে, যা পরবর্তী সময়ে দিনের ব্যস্ততায় বাড়তি চাপের সৃষ্টি করছে বলে মনে করছে কর্তৃপক্ষ।

 

 

এনবিআরের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে সব মিলিয়ে সাড়ে ৬ হাজার কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু শাহজালাল বিমানবন্দর দিয়েই এসেছে ৪১০ কোটি ডলারের উচ্চমূল্যের ও জরুরি পণ্য।

জরুরি এই গেটগুলো মেরামত করে দ্রুত পূর্ণাঙ্গ সেবা চালু না করলে ব্যবসায়িক ক্ষতি আরও বাড়ার আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এই বিভাগের আরো খবর