ব্রেকিং:
বিপিএল কবে, জানাল বিসিবি ফোনালাপ ফাঁসের জেরে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী বরখাস্ত

বুধবার   ০২ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ১৭ ১৪৩২   ০৬ মুহররম ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৩১৯

চিকিৎসা সেবায় এগিয়ে কুমিল্লা কারাগার

শামীম আহমেদ

প্রকাশিত: ২৮ এপ্রিল ২০১৯  

প্রথম বারের মতো বন্দিদের স্বাস্থ্যসেবায় প্রশংসায় আসলেন কারাগারের চিকিৎসক ডা: রেজা মো: সারোয়ার আকবর একজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক। অপরদিকে কেন্দ্রিয় কারাগারের চিকিৎসা সেবায় যে কোন সময়ের তুলনায় উন্নতির দিকে এগিয়ে চলেছে। 
কারাগারের একাধিক সূত্রে ও জামিনে বের হওয়া বন্দিরের সাথে কথা বলে কারাগারের চিকিৎসা সেবার বিষয়ে জানতে চাইলে ডা রেজা  মো: সারোয়ার আকবরের নামটি বার বার প্রশংসায় উঠে আসে। ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রনালয় এর সুরক্ষাসেবা বিভাগের এক আদেশে ডা: রেজা মো: সারোয়ার আকবর কুমিল্লা কেন্দ্রিয় কারাগারে যোগদান করেন। নতুন চাকুরীর সুবাধে তারসহধর্মিনী ডা: লায়লা শারমিনকে নিয়ে কারাগারের আবাসিক ভবনে বসবাস শরু করেন। চিকিৎসক দম্পত্তিকে কাছে পেয়ে কারারক্ষি পরিবার পরিজনের সেবায়ও এই দম্পত্তি অতিরিক্ত ভূমিকা রাখায় প্রশংসা কুড়িয়েছেন চিকিৎসক দম্পত্তি। অন্যদিকে কারাগারের ভেতর মেডিকেল প্রশাসনের অনিয়ম দূর্নীতি অনেকটাই কমে এসেছে ডা: রেজার সদিচ্ছার কারনে। সিভিল সার্জনের নিয়মিত কারাগার হাসপাতাল পরিদর্শনে গিয়ে চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত পদক্ষেপ দেখে সন্তুষ্ট প্রকাশ করেন। জানা যায়, ডা: রেজা যোগদানের পর থেকে কারা হাসপাতালের অন্ত: বিভাগ, বহি: বিভাগ, রোগীর ভর্তি, গুরুত্বর আশংকাজনক রোগীকে বাহিরের মেডিকেলে চিকিৎসা সেবা সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকায় স্বাস্থ্যসেবার দৃশ্যপট পাল্টে যায়। জামিনে মুক্ত একজন আসামী জানান, ডা: রেজাকে যত রাতেই ডাকা হয় সাথে সাথে তিনি চিকিৎসার কাজে উপস্থিত হয়ে যান। বিগত সময় এমন কোন চিকিৎসককে দেখা যায়নি। আর বন্দিরা জানান, বর্তমানে যে ভাবে চিকিৎসা সেবায় কারাকর্তৃপক্ষ ভূমিকা রাখছে এভাবে প্রতিটি কারাগারে সেবার মান বৃদ্ধি পেলে এবং চিকিৎসকদের অর্পিত দাযিত্ব যথাযথ পালন করলে যুগান্তকারী ঘটনার সূচনা করবে বলে আশা বাদী
উল্লেখ্য: সারাদেশে মোট ৬৮ টি কারাগারের মধ্যে ১১ টি কেন্দ্রিয় কারাগার ও ৫৭ টি জেলা কারাগার রয়েছে। ৮০ হাজারের বেশি বন্দি রয়েছে। একটি জেলা কারাগারে একজন সহকারী সার্জন এবং কেন্দ্রিয় কারাগারে দুই জন সহকারী সার্জন থাকার কথা থাকলেও সারা বাংলাদেশে আশি হাজার বন্দির জন্য মাত্র ৯ জন ডাক্তার দায়িত্ব পালন করছেন। কারাগারের কাজের প্রচন্ড চাপ, স্থানীয় রাজনৈতিক চাপ, প্রাইভেট প্র্যাক্টিসের সুবিধা না ও কারাকর্তৃপক্ষের সাথে বনিবনা না হওয়া সহ নানা কারনে কারাগার গুলোতে চিকিৎসকরা আসতে চান না বা আসলেও বেশি দিন থাকেন না । যারা থাকেন তারাও দায়সারা দায়িত্ব পালন করে মেডিকেল সহকারী ফার্মাসিস্ট এমনকি বন্দি রাইটারদের দিয়ে কারাবন্দিদের চিকিৎসা সেবা চালিয়ে থাকেন। ফলে বন্দিরা তাদের মৌলিক অধিকার চিকিৎসা ক্ষেত্রে প্রায়শই বঞ্চিত হয়ে থাকে।যদিও কারাগারগুলোতে চিকিৎসকের সংখ্যা বাড়ানোর জন্য মন্ত্রনালয় একাধিকবার পদক্ষেপ গ্রহন করলেও এর কোন বাস্তবায়ন হয়নি। 
 

এই বিভাগের আরো খবর