মঙ্গলবার   ১৯ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ৩ ১৪৩২   ২৪ সফর ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৯০

কুকুর স্থানান্তরে বিরোধীরা গাড়িতে চলে,সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝে না

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০  

বেওয়ারিশ কুকুর অবশ্যই একটি সমস্যা। ঢাকা চট্টগ্রাম শহরগুলোতে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে, কারণ এদের নিধন করা যায় না আইনের কারনে। সেটা অবশ্যই ঠিক আছে।

তবে পৃথিবীর কোনো উন্নত দেশে, এমনকি আমাদের মানের দেশগুলোতেও, যতই প্রাণী অধিকারের ব্যাপারে সোচ্চার হোন না কেন তারা, পারতপক্ষে বেওয়ারিশ কুকুর রাস্তায় ঘুরতে দেয় না কেউ, ডগ শেল্টারে স্থানান্তর করে।

ঢাকা দক্ষিণে সিটি কর্পোরেশন সেখান থেকে কুকুরদের স্থানান্তর করছে, নিধন করছে না। একটি পক্ষ এর ঘোরতর বিরোধী। এদের বেশিরভাগই গাড়ি নিয়ে রাস্তায় চলাফেরা করে, সাধারণ মানুষের কষ্ট বোঝার ইচ্ছা এদের নেই।

এসি রুমে বসে ফেসবুকে দিলাম এক প্রানী অধিকারের স্টেটাস, ঘড়ের কাজের লোকের বেতন দেয়ার সময় আবার বাজারের রেটের বেশি এক টাকাও না! আরেক পক্ষ রাগ বা ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে নিধন চান, এটি নিঃসন্দেহে একটি হিংস্র মনোভাব।

তবে মানবিকভাবে কুকুর স্থানান্তর করার ক্ষেত্রে আইনের জটিলতা থাকা উচিৎ নয়। আইন অনুযায়ী অপসারনও যদি সম্ভব না হয়, তাহলে আইন সংশোধন করা যেতে পারে। তবে বাস্তবতা মেনে এর যৌক্তিক সমাধান দরকার। সাধারণ পথচারিরা বারংবার আক্রান্ত হচ্ছেন, এত মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়।

পৃথিবীর কোনো সভ্য দেশে বেওয়ারিশ কুকুর সেটি ভেক্সিন দেয়া থাকুক আর নাই থাকুক, রাস্তায় ঘুরতে দেয়া হয় না। আমরা এত বেশি অধিকার সচেতন! কিন্তু কুকুরের অধিকার আছে সন্দেহ নেই, সাধারণ মানুষেরও অধিকার আছে রাস্তাঘাটে নির্ভয়ে চলাচল করার।

স্থানান্তর করতে অন্তত দেয়া উচিত। নয়ত যারা এর বিরোধীতা করছেন তারা ঘরে পোষা প্রাণী হিসেবে রাখতে পারেন। বহু দেশে বেওয়ারিশ কুকুরের শেল্টার থেকে ঘরে পোষা প্রাণী হিসেবে নিতে দেয়া হয়। এটা একটি সমাধান হতে পারে। এ বিষয়ে আবেগী হওয়ার চাইতে বাস্তবতা মেনে নেওয়া উচিত।

লেখক: শিক্ষা উপমন্ত্রী

এই বিভাগের আরো খবর