শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ২ ১৪৩২   ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১১৮

ভয়াবহ রুশ হামলার সময় যেমন আছে লাভিভ

নিজস্ব প্রতিবেদক  

প্রকাশিত: ১০ মে ২০২২  

ইউক্রেন থেকে প্রাণে বাঁচতে অনেকেই ট্রানজিট শহর লাভিভ হয়ে পোল্যান্ডে পাড়ি দিচ্ছেন। অন্যদিকে এই শহর দিয়েই সামরিক সরঞ্জাম ঢুকছে ইউক্রেনে। কিন্তু প্রায়ই মিসাইল হামলায় কেঁপে উঠছে রুশ টার্গেটে পরিণত হওয়া এ শহরটি। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সাময়িক আশ্রয় নিতে প্রতিবেশী দেশে যাচ্ছেন শরণার্থীরা। 
খারকিভ শহর থেকে পোলান্ড সীমান্তবর্তী শহর লাভিভের উদ্দেশে ট্রেনে যাত্রা। সেখানেই পরিচয় ইউক্রেনীয় নাগরিক ওকসানার সঙ্গে। লাভিভ হয়ে শরণার্থী হিসেবে আশ্রয় নিতে তার গন্তব্য পোল্যান্ডে। ইউক্রেনের এখনকার পরিস্থিতি নিয়ে যেতে যেতে কথা হলো সময় টেলিভিশনের প্রতিনিধির সঙ্গে।

ওকসানা জানান, আমার বাবা-মা নিজ শহর খারকিভ ছেড়ে যায়নি, আমি চলে যাচ্ছি লাভিভে নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য। এখন সেখানটাও নিরাপদ নয়। প্রতিদিনই রকেট হামলা হচ্ছে। পরিস্থিতি বুঝে পোল্যান্ডে চলে যাব।
জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ইউক্রেন থেকে পোল্যান্ডে শরণার্থী হিসেবে পাড়ি জমিয়েছেন প্রায় ৪০ লাখ মানুষ। যাদের বেশির ভাগই লাভিভ শহর হয়ে পোল্যান্ডে আশ্রয় নেন।ন্যাটো ঘাঁটির একেবারে দোরগোড়ায় হওয়ায় রাশিয়ার টার্গেটে পরিণত হয়েছে লাভিভ শহর। একই সঙ্গে সামরিক সহায়তার সিংহভাগই প্রবেশ করছে এ শহরের উপর দিয়ে। এখান দিয়ে অস্ত্র ও সামরিক সহায়তা যেন ইউক্রেনের সম্মুখযুদ্ধে পৌঁছাতে না পারে সেজন্য গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে এখানকার রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা। পাশাপাশি ট্রেনগুলো বিদ্যুৎচালিত হওয়ায় বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো উড়িয়ে দিচ্ছে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেন প্রবাসী বাংলাদেশি মাহবুব আলম বলেন, পোল্যান্ড সীমান্তবর্তী লাভিভ শহরে ১৮ মার্চ রুশ বাহিনী প্রথমবার ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায়। এরপর গত ২৬ মার্চ মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের পোল্যান্ড সফরকালে লাভিভে ৪টি রকেট হামলা চালায় রাশিয়া। আর গত সপ্তাহে টানা হামলায় ধ্বংস করে দেওয়া হয় ৬টি রেলস্টেশন ও ৩টি বিদ্যুৎকেন্দ্র।
 

এই বিভাগের আরো খবর