সোমবার   ১৪ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৯ ১৪৩২   ১৮ মুহররম ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১

অন্যের সামনে সতর ঢেকে রাখার গুরুত্ব

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩ জুলাই ২০২৫  

‘সতর’ শব্দটি আরবি ‘আস-সাতরু’ ধাতুমূল থেকে এসেছে। এর আভিধানিক অর্থ ঢেকে রাখা। অর্থাৎ শরীরের যেসব অঙ্গ লজ্জার কারণে ঢেকে রাখা হয় তাকে সতর বলা হয়।


পুরুষের সতর বা ঢেকে রাখতে হয়- এমন অংশ হলো নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত। অর্থাৎ এতটুকু স্থান অন্য ব্যক্তিদের সামনে ঢেকে রাখা ফরজ। বাকি মানুষের সামনে যাওয়ার সময় ক্ষেত্র ও সমাজ হিসেবে যা শালীন ও খোদাভীতি প্রকাশ করে এমন পোশাক পরিধান করা উত্তম।

মাহরামদের সামনে নারীদের সতর হলো- মাথা, চুল, গর্দান, কান, হাত, পা, টাখনু, চেহারা, গর্দানসংশ্লিষ্ট সিনার ওপরের অংশ ছাড়া বাকি পূর্ণ শরীর। অর্থাৎ, এর বাইরের অংশ ঢেকে রাখতেই হবে।

পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘হে আদমসন্তান, আমি তোমাদের জন্য পোশাকের ব্যবস্থা করেছি, যা তোমাদের দেহের যে অংশ প্রকাশ করা দূষণীয় তা আবৃত করে এবং যা শোভাস্বরূপ। বস্তুত তাকওয়ার যে পোশাক, সেটাই সর্বোত্তম। এসব মহান আল্লাহর নিদর্শনাবলির অন্যতম, যাতে মানুষ উপদেশ গ্রহণ করে।’ (সুরা আরাফ, আয়াত : ২৬)


অন্য আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন, ‘মুমিন পুরুষদের বলো, তারা তাদের দৃষ্টিকে সংযত রাখবে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাজত করবে। এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। নিশ্চয় তারা যা করে সে সম্পর্কে আল্লাহ সম্যক অবহিত।’ (সুরা  নুর, আয়াত : ৩০)

বর্ণিত আয়াতে লজ্জাস্থানের অর্থ ব্যপক। এমন বস্তু, যা দেখে অন্তরে কুপ্রবৃত্তি জাগে, তা দেখা থেকে বিরত থাকা; শরীরের এমন অঙ্গ, যা প্রকাশ করা থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে হাদিসে, তা গোপন রাখা এবং অবৈধভাবে কামভাব চরিতার্থ করা থেকে বিরত থাকা লজ্জাস্থানের অন্তর্ভুক্ত।

জনসমক্ষে থাকাকালীন এবং একাকী থাকার সময়ও সতর ঢেকে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাদিসে। রুমে একা, কেউ নেই—তবু সতর ঢেকে রাখতে হবে; কেউ থাকুক বা না থাকুক, ফেরেশতা তো আছেন। তারচেয়ে বড় কথা আল্লাহ পাক রাব্বুল আলামিন সব দেখছেন!