বুধবার   ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ২ ১৪৩২   ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২২

জবি ক্যাম্পাসে পাকিস্তানের পতাকা আকঁতে প্রক্টরিয়াল বডির বাধা

আবিদ হাসান বাঁধন, জবি প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫  

বিজয় দিবস উপলক্ষে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে একদল শিক্ষার্থী পাকিস্তানের পতাকা আঁকতে গেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাকটেরিয়াল বডির সদস্যরা বাধা দেয়। একইসাথে সেই মুহুর্তের সংবাদ সংগ্রহের সময় ক্যাম্পাসের দুই সাংবাদিককের উপর হামলার অভিযোগ উঠেছে আস সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কর্তৃক পরিচালিত হলের শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে। 

 

(মঙ্গলবার) রাত সাড়ে ১২ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এই ঘটনা ঘটে। 

 

জবির ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ফরহাদ ইবনে বাছিত বলেন, আমরা বিজয় দিবস উপলক্ষে ক্যাম্পাসের প্রধান ফটকে পাকিস্তানের পতাকা ছিল তখন হঠাৎ কয়েকজন সহকারী প্রক্টর এসে আমাদের বাধা দেয় প্রথমে। তারপর তারা আমাদের পতাকা আকাঁর জন্য কেন অনুমতি নেয়নি তা জানতে চায়। সেই সময় আমাদের উপস্থিত শিক্ষার্থীদের সাথে তারা বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে একপর্যায়ে স্থান ত্যাগ করেন। 

 

তিনি আরও বলেন, কিছুক্ষণ পরে আমরা পুনরায় পতাকা আকাঁ শুরু করলে ক্যাম্পাসে থাকা আস সুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীরা অতর্কিতভাবে আমাদের দিকে তেড়ে আসেন এবং প্রক্টরের সামনে হামলা চালায়। তারা আমাদের হামলার সময় বলে', পাকিস্তানের সাথে সমঝোতা হয়ে গেছে এখানে কোনো পতাকা আকাঁ যাবে না। 

 

এ-সময় সংবাদ সংগ্রহের বিশ্ববিদ্যালয়ের আস সুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীদের হামলার শিকার হন ক্যাম্পাসের কালের কন্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক মিনহাজুল ইসলাম ও জনকণ্ঠের প্রতিনিধি ওমর ফারুক জিলন সহ আরও কয়েকজন উপস্থিত শিক্ষার্থী।  

 

কালের কন্ঠের মাল্টিমিডিয়া প্রতিবেদক মিনহাজুল ইসলাম বলেন, আমি লাইভ সংবাদ সংগ্রহের সময় আস সুন্নাহ হলের শিক্ষার্থীরা আমাকে বাধা দেয় এবং একপর্যায়ে আমি কেন বাধা দেয় এটা জিজ্ঞেস করলে তারা আমার উপর চড়াও হন। এ-সময় উপস্থিত প্রক্টরের সামনে আমাকে আঘাত করা হয়েছে আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। 

 

হামলার শিকার আরেক সাংবাদিক ওমর ফারুক জিলন বলেন, আস সুন্নাহ হলের শিবিরের কয়েকজন আমার উপরে পূর্ব ক্রোধের জেরে আজকে হামলা করেন। আমি এ ঘটনায় প্রশাসনের কাছে সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার চাই।

 

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুহাম্মদ তাজমুল হক বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ছিলাম। উভয় পক্ষকে সমঝোতা করার চেষ্টা করেছি কিন্তু অপ্রত্যাশিত ঘটনা ঘটেছে। আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেব।

এই বিভাগের আরো খবর