বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩০ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪১৪

চট্টগ্রাম বন্দরে পণ্য ওঠানামা বন্ধ

প্রকাশিত: ২ মে ২০১৯  

অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ফনি ধেয়ে আসায় চট্টগ্রাম বন্দরে তিন মাত্রার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। এতে বন্দরে বহির্নোঙরে অবস্থানরত বড় জাহাজগুলোতে পণ্য ওঠানামা না করতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বন্দর জেটি এলাকার সব জাহাজকে নিরাপদ স্থানে সরে যেতে বলা হয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দরের ডেপুটি কনজারভেটর ক্যাপ্টেন ফরিদুল আলম বলেন, সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে পাঁচটি নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ঝড় মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

তিনি জানান, চট্টগ্রাম সুমদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলার পর আমরা এখানে নিজেদের সতর্কতা হিসেবে ৩ নম্বর অ্যালার্ট জারি করেছি।

বন্দর সচিব ওমর ফারুক বলেন, সব ধরনের সতর্কতামূলক ব্যবস্থাই আমরা নিচ্ছি। বহির্নোঙরে বড় জাহাজ থেকে মালামাল খালাস বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত ২১টি জাহাজ বন্দর এলাকায় ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, সেগুলোকে বহির্নোঙরে নিরাপদ স্থানে চলে যেতে বলার পাশাপাশি সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে সবসময় ইঞ্জিন চালু রাখতে বলা হয়েছে।

তিন নম্বর সতর্কতা জারি করায় চট্টগ্রাম বন্দরের জেটিগুলোতে সীমিত পর্যায়ে পণ্য হ্যান্ডলিং কার্যক্রম চলছে বলে বন্দরের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ছয় নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ছয় নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর স্থানীয় হুশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ও অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিমি বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিসত্বর নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

এই বিভাগের আরো খবর