আস্থাহীন গণতন্ত্র, বিভাজন ও ডলার সংকট: যুক্তরাষ্ট্রের নীরব পতন
রাফিউল ইসলাম তালুকদার
প্রকাশিত: ২৯ অক্টোবর ২০২৫
একসময় আমেরিকাকে বলা হতো আধুনিক গণতন্ত্রের মানদণ্ড। কিন্তু আজ সেই দেশেই প্রশ্ন উঠছে , এই ব্যবস্থার ভিত কি আগের মতোই দৃঢ় আছে? ধীরে ধীরে কি যুক্তরাষ্ট্রও এমন এক পথে হাঁটছে, যেখান থেকে ফেরার পথ কঠিন হয়ে যায়?
দীর্ঘ একটা সময় একজন মার্কিন প্রেসিডেন্টকে দেশের নেতা হিসেবে দেখা হতো, কোনো দলের প্রতিনিধি হিসেবে নয়। কিন্তু গত দুই দশকে সেই চিত্র বদলে গেছে। বর্তমান রাজনীতিতে প্রতিটি সিদ্ধান্ত, প্রতিটি বিবৃতি একদলকে তুষ্ট করার জন্য, অপর দলকে আঘাত করার জন্য। রাজনীতি এখন যুক্তির নয়, আবেগের খেলায় পরিণত হয়েছে। যেখানে জন ক্যানেডি বা রোনাল্ড রিগ্যান একে অপরের রাজনৈতিক মতবিরোধ সত্ত্বেও ‘যুক্তরাষ্ট্রের স্বার্থ’কে অগ্রাধিকার দিতেন, আজ সেখানে প্রাধান্য পাচ্ছে ব্যক্তিগত ও দলীয় এজেন্ডা।
যুক্তরাষ্ট্রের সংবিধান কংগ্রেসকে কেন্দ্রীয় ভূমিকা দিয়েছে, যাতে নির্বাহী ক্ষমতা কখনো এককভাবে কারও হাতে না থাকে। কিন্তু বাস্তবে এখন দেখা যাচ্ছে, ক্ষমতা ক্রমেই হোয়াইট হাউসের ভেতরে সরে যাচ্ছে। এই প্রবণতা লাতিন আমেরিকার দেশগুলোর মতো এক ধরনের “শক্তিশালী নির্বাহী ক্ষমতা, দুর্বল আইনসভা” সংস্কৃতির জন্ম দিচ্ছে, যেখানে প্রেসিডেন্ট হয়ে উঠছেন রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দু, আর পার্লামেন্ট হয়ে উঠছে প্রতীকী শক্তি। যার ফলে বর্তমান প্রজন্মের অনেকেই বিশ্বাস হারিয়েছে রাজনৈতিক ব্যবস্থার প্রতি। “ভোট দিলে কী হয়?”, “মার্চ করেও কিছু বদলায় না” এমন হতাশায় নিমজ্জিত হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সাধারণ জনগণ। প্রতিবাদ, আন্দোলন, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট এগুলো এখন সুনির্দিষ্ট উদ্দেশ্য নয়, বরং দেখানোর বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। এর ফলে জন্ম নিচ্ছে এক ধরনের নীরব আত্মসমর্পণ, যা গণতন্ত্রের জন্য সবচেয়ে বড় হুমকি।
ধনীদের পলায়ন ও আস্থার সংকট
যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার ভারসাম্য রক্ষার লড়াই এখন মূলত কৌশলের লড়াই। রক্ষণশীল রাজনীতি গত কয়েক দশকে আদালত, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও গণমাধ্যমে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তি তৈরি করেছে। বিপরীতে উদারপন্থীরা প্রায়শই প্রতিক্রিয়াশীল ও স্বল্পমেয়াদি আন্দোলনে সীমাবদ্ধ থেকেছে। ফলাফল, নীতি নয়, ক্ষমতা নির্ধারণ করছে কে ভালোভাবে “গেমটা খেলতে” পারে। এর ফলে প্রকাশ পাচ্ছে এক উদ্বেগজনক দিক, ক্রমবর্ধমান সংখ্যক ধনী আমেরিকান নাগরিক তাদের অর্থ ও বিনিয়োগ বিদেশে সরিয়ে নিচ্ছে, কেউ কেউ দ্বিতীয় নাগরিকত্ব নিচ্ছে। এটা শুধু কর এড়ানোর কৌশল নয়; এটি দেশের ভবিষ্যতের প্রতি অনাস্থার প্রকাশ। রাষ্ট্রের প্রতি আস্থা হারালে প্রথমে চলে যায় অর্থ, তারপর মেধা, শেষমেশ ভেঙে পড়ে ভিত্তি। এর সবচেয়ে বড় উদাহরণ ভেনিজুয়েলা। দক্ষিণ আমেরিকার দেশটির পতন একদিনে হয়নি। রাজনৈতিক মেরুকরণ, অর্থনৈতিক বৈষম্য, স্বৈরাচারী শাসন, তারপর জনমুখী নীতি দিয়ে জনগণকে আশ্বাস, সব মিলিয়ে দেশটি ধীরে ধীরে দেউলিয়া হয়ে পড়ে। মজার বিষয়, প্রতিটি ধাপেই জনগণ ভেবেছিল “এটা সাময়িক, ঠিক হয়ে যাবে।”
আজ আমেরিকাতেও সেই একই আশ্বাস শোনা যায়। কিন্তু ইতিহাস বলে, পতন কখনো এক ঝটকায় আসে না, আসে ধীরে ধীরে, চোখের সামনেই।
ডলার সংকট ও বৈশ্বিক আস্থাহীনতা
অন্যান্য দেশের সম্পদ জব্দ করা কিংবা অতিমাত্রায় নিষেধাজ্ঞা আরোপের ফলে অনেক দেশ এখন মার্কিন ডলারের ওপর আস্থা হারাচ্ছে। বৈশ্বিক বাণিজ্য ক্রমাগত ইউয়ান, রুবল বা ইউরোর দিকে হচ্ছে। এই প্রবণতা দীর্ঘমেয়াদে ডলারের আধিপত্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে পারে। যা যুক্তরাষ্ট্রের বৈশ্বিক শক্তির মূল স্তম্ভ।
রাজনৈতিক প্রভাব ক্রমে বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানেও ছড়িয়ে পড়ছে। শিক্ষাকে যখন দলীয় রাজনীতির চোখে দেখা হয়, তখন মেধাবীরা দেশ ছাড়তে শুরু করে। এই “ব্রেইন ড্রেইন” হচ্ছে এমন এক ক্ষতি, যা চোখে দেখা যায় না কিন্তু প্রজন্ম ধরে প্রভাব ফেলে।
দেশটির নাগরিকেরা বলছেন, এখনই সময় দেশ ছাড়ার বা বিকল্প নাগরিকত্বের কথা ভাবার। কেউ কেউ মনে করেন, পালানোর জন্য নয়, বরং বিকল্প নিশ্চিত করার জন্য এই সিদ্ধান্ত দরকার। যেখানে যুক্তরাষ্ট্র একসময় ছিল আশ্রয়ের দেশ, এখন সেদেশের জনগণই খুঁজছে যুক্তরাষ্ট্রের বাইরে স্থিতিশীলতা আর আস্থা।
আমেরিকার ভবিষ্যৎ নিয়ে উদ্বেগ নতুন নয়। কিন্তু আজকের সংকট ভিন্ন। এটি শুধু রাজনীতি বা অর্থনীতির নয়, বিশ্বাসের সংকট। যদি এই বিশ্বাস তলানিতে গিয়ে ঠেকে তাহলে সংবিধান, স্বাধীনতা বা প্রাতিষ্ঠানিক শৃংঙ্খলা কিছুই বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতার দেশটির পতন রুখতে পারবে না।
- রাতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক ডেকেছেন তারেক রহমান
- আমন ধানের ভালো ফলনে কৃষকের মুখে হাঁসি
- তিতাসে বিএনপি নেতা মো. সালাউদ্দিন সরকারের লিফলেট বিতরণ
- স্বাধীনতা স্তম্ভের সংশোধনীসহ ১২ প্রকল্প অনুমোদন দিল একনেক
- ভুয়া প্রচারণায় জাভান হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলন
- নীলফামারি কলেজে নোসাব সাক্ষাৎ, প্রস্তাব বিশ্ববিদ্যালয়ে পৌঁছাবে
- “এমনভাবে আঘাত করেছিল যা ভাষায় প্রকাশ করার মতো না—রাশমিকা মান্দানা
- রাফসান ও সুনেহরার সম্পর্ক—প্রেম না কি শুধু বন্ধুত্ব?
- গ্যাস চুরির অভিযোগে এনসিপি নেতার বাড়িতে অভিযান, সংযোগ বন্ধ
- লিভারপুলকে ৩–০ গোলে উড়িয়ে গার্দিওলার ১০০০তম ম্যাচের জয়োৎসব
- হ্যাটট্রিকে পুসকাস–ডি স্টেফানোকে মনে করালেন লেভানডফস্কি
- জুলাই সনদ বাস্তবায়ন নিয়ে জট খোলার চেষ্টায় সরকার
- দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত কর্মবিরতি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা শিক্ষকদের
- জাতীয় নির্বাচন ঘিরে মাঠ প্রশাসনে বড় রদবদল
- যুদ্ধবিরতি ভেঙে লেবাননে ফের ইসরাইলি হামলা, নিহত ২
- বিবিসির মহাপরিচালক ও সংবাদ প্রধানের একযোগে পদত্যাগ
- বিবিসির মহাপরিচালক ও সংবাদ প্রধানের একযোগে পদত্যাগ
- ঢাকা থেকে নির্বাচন করবেন আসিফ মাহমুদ, পদত্যাগ সরকারের সিদ্ধান্তে
- লাকসামে বিএনপির গণসংযোগকে কেন্দ্র দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, গাড়ি ভাঙচুর
- ৫০ শতাংশ সেনা সদস্য সরিয়ে নেওয়ার তথ্য গুজব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- ৫০ শতাংশ সেনা সদস্য সরিয়ে নেওয়ার তথ্য গুজব: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
- লাকসামে মানবিকতার সুযোগে দখলবাজি, প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি
- নতুন পে-কমিশনের সিদ্ধান্ত নেবে আগামী সরকার: অর্থ উপদেষ্টা
- জনগণই আমার শক্তি, কুমিল্লা-২ এ আলোচনায় আ. মতিন খান
- জাহানারার যৌন হয়রানির অভিযোগে বিসিবির তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন
- মেসির বিশ্বরেকর্ডের রাতে ঐতিহাসিক সেমিফাইনালে ইন্টার মিয়ামি
- ড. ইউনূসের উচিত মন্তব্যে সংযম বজায় রাখা: রাজনাথ সিং
- দলীয় স্বার্থ নয়, জনগণের কল্যাণই সরকারের দায়িত্ব: তারেক রহমান
- জামায়াতের লক্ষ্য সরকার গঠন, বিরোধী আসনে বসা নয়
- জুলাই সনদ বাস্তবায়নে সমঝোতা হয়নি, এখন সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে
- অশ্রু আর ক্ষোভে ভরা তৃণমূল
- মধ্যরাতে বিএনপির চার নেতাকে বহিষ্কার
- ভারতে মারা গেলেন ‘হাসিনা বেগম’
- জকসু নির্বাচনকে ঘিরে ১২ দফা দাবি ছাত্রদলের
- সরকারি তিতুমীর কলেজে আন্তঃবিভাগ ফুটবল ফাইনাল অনুষ্ঠিত
- নিবন্ধন না পেয়ে আমরণ অনশনের ডাক দিলেন তারেক
- জোট রাজনীতিতে নতুন চমক: বিএনপির আসনে শরীক দলের প্রার্থী নিশ্চিত
- ড.জাকির নায়েকের সফর বাতিলের প্রতিবাদে লাকসামে বিক্ষোভ মিছিল
- বিএনপির ফাঁকা ৬৩ আসনে অগ্রাধিকার পাচ্ছেন জোটের পরীক্ষিত নেতারা
- প্রকৃতির সঙ্গে সম্পর্কে বিশ্বে বাংলাদেশের অবস্থান চতুর্থ
- বিএনপিতে যোগ দিলেন জুলাই শহীদ মুগ্ধর ভাই স্নিগ্ধ
- সূর্যের আলো কম, মনও ভারী: শীতকালীন বিষণ্ণতার কারণ ও প্রতিকার
- টঙ্গীতে ইয়াবাসহ দুই মাদক কারবারি গ্রেফতার
- বুটেক্সে গ্লোবাল চেঞ্জ ড. আব্বাস উদ্দিন শায়ককে সংবর্ধনা
- বিইউবিটি ইংরেজি বিভাগে সাহিত্য উৎসব লিট কার্নিভাল ২০২৫
- খাবারে পোকা নিয়ে পোস্ট, শিক্ষার্থীর উপর চড়াও ছাত্রীসংস্থার নেত্রী
- বিইউবিটিতে মাদক ও যৌন হয়রানি বিরোধী সেমিনার অনুষ্ঠিত
- নোসাবের ভবানীগঞ্জ শাখায় নেতৃত্ব পেলেন: আশিক-আতাউর
- পঞ্চদশ সংশোধনীর হাইকোর্টের রায় বাতিল চেয়ে আপিল
- শেখ হাসিনার পদত্যাগের কোনো দালিলিক প্রমাণ নেই রাষ্ট্রপতির কাছে
- নারীকে দ্রুত উত্তেজিত করার সহজ কিছু টিপস
- পৃথিবীর কয়েকটি আজব স্থান
- সব ধরনের রেনিটিডিন ওষুধ বিক্রি স্থগিত
- ট্রাক-কাভার্ডভ্যান চালকদের অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি ঘোষণা
- গাঁজা থেকে তৈরি দুটি ওষুধ ব্যবহারের অনুমোদন দিল যুক্তরাজ্য
- কম্বলের যত্ন নিলে বেশি দিন আরামদায়ক থাকে
- বাদাম বিক্রি করা মেয়েটি যাচ্ছে নাসায়
- নাসার সহায়তায় এবার জনসংখ্যা গণনা হবে
- আজ আন্তর্জাতিক ক্যাপস লক ডে
- তাহলে কি ভাঙছে মেননের ওয়াকার্স পার্টি ?
- বাহরাইনে নানা আয়োজনে তরুণ কণ্ঠের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন
- জমানো টাকা ফেরতের দাবিতে আজও থানার সামনে ভুক্তভোগীরা
- দেশে এখন কোটিপতি সংখ্যা এক লাখ ৭৬ হাজার ৭৫৬ জন
- মুখের কথা শুনে অপরাধীর ছবি আঁকবেন ৪০ আর্টিস্ট
- ভিভোর দুই স্মার্টফোন
