বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৯২

হাতে বালিশ নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে প্রতিবাদ

প্রকাশিত: ২০ মে ২০১৯  

‘উন্নয়নের অন্তরালে লুটপাটের মচ্ছব চলছে। তারই একটি উদাহরণ রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি। ইতিহাসে এমন মহাদুর্নীতি কেউ করেছি কিনা সন্দেহ।’

রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পে দুর্নীতির প্রতিবাদে আজ সোমবার বেলা সোয়া ১১টায় জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বালিশ হাতে প্রতিবাদী মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা। বাংলাদেশ গণঐক্য সংগঠন এ মানববন্ধনের আয়োজন করে।


বাংলাদেশ গণঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে ‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন বলেন, উন্নয়নের অন্তরালে মহালুটপাটে মহাব্যস্ত মহাজোট সরকার। তিনি বলেন, আমি নতুন প্রজন্মের একজন রাজনীতিক কর্মী হিসেবে যখন দেখি মেগা প্রজেক্টে মহালুটপাটের উৎসব চলছে, তখন আমি হতাশ হই।

রকিবুল ইসলাম বলেন, লক্ষ্য ছিল মানুষের অধিকার থাকবে, ভোটের অধিকার থাকবে, গণতন্ত্র থাকবে, হবে একটি সুন্দর বাংলাদেশ। কিন্তু সব কিছুই আজ বনবাসে গেছে। মানুষ কথা বলতে পারছে না, ভোট দিতে পারছে না। এ সুযোগ নিয়ে মহালুটপাটে মেতে উঠেছে সরকার।

রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যখন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে বুয়ার বেতন, গাড়িচালকের বেতন, প্রকল্প পরিচালকের বেতন, সর্বশেষ বালিশের দাম ও তোলার দাম আকাশচুম্বী, তখন জাতি হিসেবে আমরা লজ্জিত হই।’

‘দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও’ আন্দোলনের সভাপতি আরও বলেন, ‘যখন দেখি কৃষক ধানের ন্যায্যমূল্য না পেয়ে ধানক্ষেতে আগুন দেয়, বিশ্বজিতকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যার পর বিচার হয় না, যখন ফেলানির লাশ কাটা তারে ঝুলে থাকে। বিচার কার কাছে চাইব কূল পাই না।’

বাংলাদেশ গণঐক্য সভাপতি আরমান হোসেন পলাশ, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে যে হরিলুট হয়েছে তা ইতিহাসে সেরা। দুর্নীতির কালো মেঘ বাংলাদেশকে ঘিরে ফেলেছে। দেশে দুর্নীতির সঙ্গে বেড়েই চলেছে বেকারের সংখ্যা, কৃষকের হাহাকার। এ জন্য সবাইকে সোচ্চার হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জাগো বাংলাদেশ গার্মেন্টস ফেডারেশনের সভাপতি বাহারানে সুলতান বাহার, জাতীয় বিপ্লবী পার্টির আহ্বায়ক আবুল কালাম আজাদ, গণঐক্যের প্রচার সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর