ভারতবর্ষে সামাজিক সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠায় সুফিদের অবদান
অনলাইন ডেস্ক
প্রকাশিত: ১ অক্টোবর ২০২২

জ্ঞানই ছিল ভারতবর্ষের সুফি সাধক ও আধ্যাত্মিক রাহ্বারদের সবচেয়ে ধ্যান-জ্ঞান ও কামনা-বাসনা। তাঁর জ্ঞানের প্রসারে পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন এবং জ্ঞানের সেবা করেছেন, তাদের অনেকেই ছিলেন সাহিত্যের বোধ ও উচ্চতর জ্ঞানগত দক্ষতার অধিকারী। তাঁরা বিশ্বাস করতেন, ইলম তথা জ্ঞান ছাড়া আল্লাহর প্রকৃত পরিচয় লাভ করা সম্ভব নয়। মূর্খ সুফিরা শয়তানের ক্রীড়নক।
এ জন্য দেখা গেছে, বহু প্রতিভাবান ও যোগ্য ব্যক্তিদের তারা লেখাপড়া সম্পন্ন করার আগে দ্বিন প্রচারের অনুমতি তথা খেলাফত দান করেননি। প্রকৃতপক্ষে অতীতের শিক্ষা আন্দোলন ও বুদ্ধিবৃত্তিক জাগরণকে পীর-মাশায়েখরা উৎসাহিত করেছেন, নানাভাবে অবদান রেখেছেন। হয়তো তারা প্রত্যক্ষভাবে করেছেন বা পরোক্ষভাবে করেছেন। কাজি আবদুল মুক্তাদির কিন্ধি ও শায়খ আহমদ থানেশ্বরী (রহ.) ছিলেন শায়খ নাসিরুদ্দিন ‘চেরাগে দেহলভি’ (রহ.)-এর শিষ্য এবং একাদশ শতকের প্রখ্যাত শিক্ষক। তাঁরা ভারতীয় শিক্ষাব্যবস্থার শীর্ষ পর্যায়ে নেতৃত্ব দান করেছেন। শায়খ লুত্ফুল্লাহ কুয়েরভি (রহ.) ছিলেন চিশতিয়া তরিকার বিশিষ্ট বুজুর্গ। তাঁর শিক্ষা কার্যক্রমের ধারা ত্রয়োদশ শতাব্দী পর্যন্ত অব্যাহত ছিল। বেশির ভাগ সময় আমরা মাদরাসা ও খানকাকে অঙ্গাঙ্গিভাবে চলতে দেখেছি। জৌনপুরের খানকায়ে রশিদিয়া ও লখনউর শায়খ পীর মুহাম্মদের মাদরাসা এবং দেহলভির শায়খ ওয়ালিউল্লাহ বিন আবদুর রহিম (রহ.)-এর মাদরাসা ও গাঙ্গুহের শায়খ রশিদ আহমদ (রহ.)-এর খানকা জ্ঞানের শিক্ষা ও আধ্যাত্মিকতার দীক্ষার সমন্বয়ের উত্তম দৃষ্টান্ত।
এসব মাশায়েখ ও তাদের খানকার অনন্য দিক হলো, তারা ছিলেন হাজারো মানুষের আশ্রয়। তারা সেখানে খাদ্য-পানীয় ও জীবনোপকরণ পেত। তাদের দস্তরখানে সৃষ্টি হতো অনন্য দৃষ্টান্ত। তাদের উদার দস্তরখানে একত্র হতো শত্রু ও মিত্র, আত্মীয় ও অনাত্মীয়, ধনী ও দরিদ্র্য। শায়খ নিজামুদ্দিনের দস্তরখান সবচেয়ে বেশি বিখ্যাত। উদারতা, বাহারি খাবার, স্বাদ ও সুন্দর পরিবেশনার ক্ষেত্রে তা উপমায় পরিণত হয়েছিল।
শায়খ সাইফুদ্দিন সেরহিন্দি (রহ.)-এর খানকায় এক হাজার চার শ মানুষ উপস্থিত হতো। তারা খানকার দস্তরখান থেকে সকাল-বিকেল আহার গ্রহণ করত ইচ্ছা ও পছন্দ অনুযায়ী।
শায়খ সাইয়েদ মুহাম্মদ সাঈদ আম্বালাভি (রহ.) ছিলেন খ্রিস্টীয় দ্বাদশ শতকের মনীষী। তাঁর জীবনী রচয়িতারা লেখেন, ‘তাঁর খানকায় প্রথম যুগেই যারা ইবাদত-বন্দেগিতে লিপ্ত থাকত তাদের সংখ্যা পাঁচ শর চেয়ে কম ছিল না এবং সমপরিমাণ লোক সব সময় যাওয়া-আসার মধ্যে থাকত। একবার তাঁর সঙ্গে সম্রাট ফররুখ শিয়ারের আমির রওশন দৌলা তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন এবং তাঁকে খানকা নির্মাণের জন্য ৬০ হাজার রুপি উপহার দেন। শায়খ রওশন দৌলাকে বলেন, অর্থগুলো এক জায়গায় রেখে তিনি যেন বিশ্রামে যান। ফলে রওশন দৌলা ফিরে যান এবং শায়খ অসহায় মানুষদের খবর দেন। তিনি আম্বালাহ, থানেশ্বর, সেরহিন্দ ও পানিপথের এতিম, অসহায় ও দরিদ্র মানুষের ভেতর সমুদয় অর্থ বিতরণ করে দেন। তাঁর হাতে একটি অর্থও রাখলেন না। এরপর রওশন দৌলা এলে শায়খ তাকে বলেন, ‘অসহায় মানুষ ও যারা নিজেদের আল্লাহর রাস্তায় নিয়োজিত রেখেছে, তাদের সেবা করার সওয়াব ভবন নির্মাণের চেয়ে বেশি। ’ একবার শায়খ সাইয়েদ মুহাম্মদ সাঈদ (রহ.)-এর কাছে সম্রাট মুহাম্মদ ফররুখ শিয়ার, আমির রওশন আলী ও আমির আবদুল্লাহ খানের চিঠি পৌঁছায় তিন লাখ রুপিসহ। তিনি পুরো টাকা প্রতিবেশী গ্রাম ও এলাকাগুলোর অধিবাসীদের মধ্যে বিতরণ করে দেন।
উস্তাদ মানাজির আহসান গিলানি (রহ.) যথার্থ বলেছেন, ‘এসব খানকাগুলোই ছিল ধনী-গরিবের মধ্যে একমাত্র সেতুবন্ধ। সুফি সাধক ও মাশায়েখদের দরবার ছিল এমন ভাণ্ডার, যেখানে রাজা-বাদশাহরাও খাজনা জমা দিত। যুবরাজ খিজির খান শায়খ নিজামুদ্দিনের দরবারে উপস্থিত হয়ে উপকৃত হতেন। এমনিভাবে সম্রাট আলাউদ্দিন যিনি সমগ্র ভারতবর্ষ থেকে কর আদায় করতেন, তিনি একটি দরবারে কর জমা দিতে বাধ্য ছিলেন।
ধনী ও দরিদ্রের এই ঐক্য ও মেলবন্ধন সুফি সাধক ও পীর-মাশায়েখ, যাদের দরবারে ধনী ও দরিদ্র সবাই সমানভাবে উপস্থিত হতো এবং উপকৃত হওয়ার সুযোগ পেত। তাদের মাধ্যমে অসহায় মানুষের অভাব পূরণ হতো। বাস্তবতা হলো ভারতবর্ষের ইতিহাসে এমন যুগ যায়নি এবং ভারতের এমন কোনো অঞ্চল ছিল না, যেখানে পীর-মাশায়েখ ও সুফিরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর নিম্নোক্ত হাদিস বাস্তবায়ন করেননি। তা হলো—‘জাকাত তাদের ধনীদের কাছ থেকে গ্রহণ করে দরিদ্রদের মধ্যে বিতরণ কোরো। । সুতরাং তাঁরা ছিলেন দরিদ্র, অসহায় ও নিঃস্ব মানুষের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ।
- ইমন–আমিনদের আড্ডায় আহমেদ শরীফ ভাইরাল!
- জকসুর নীতিমালা পাশ হচ্ছে আগামী ১০ কর্মদিবসের মধ্যে
- সনদ স্বাক্ষর শুক্রবার, সন্ধ্যার বৈঠকে থাকবেন প্রধান উপদেষ্টা
- ২০ শতাংশ বাড়িভাড়া বৃদ্ধির দাবিতে শাহবাগে উত্তাল বেসরকারি শিক্ষকরা
- সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যমত কমিশনের জরুরি বৈঠক
- যুদ্ধবিরতি আইসিজে মামলার ওপর প্রভাব ফেলবে না: রামাফোসা
- জুলাই সনদে সই করবে সব রাজনৈতিক দল, বিশ্বাস আইন উপদেষ্টার
- নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি, ব্যাগ ভরে নিলেন সাংবাদিক
- টানা বিরতির পর ফের ছোট পর্দায় স্বস্তিকা
- মেসির সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় স্কালোনি
- সরকার ভোজ্যতেলের দাম বাড়ায়নি: বাণিজ্য উপদেষ্টা
- অনলাইনে জামিননামা গ্রহণ শুরু বুধবার, এক ক্লিকে পৌঁছাবে জেলখানায়
- এনসিপি শাপলার বিকল্প না নিলে ইসি নিজ উদ্যোগে প্রতীক দেবে
- চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে চবিতে উৎসবমুখর পরিবেশ
- হজের নিবন্ধনের সময় বাড়বে কি না, জানা যাবে আজ
- বাংলাদেশে সংস্কার অগ্রগতি যুক্তরাষ্ট্রের বিনিয়োগ আগ্রহ বাড়াবে
- ঢাকা কলেজ শিক্ষার্থীদের সায়েন্সল্যাব মোড় অবরোধ
- ৩ হাজার ৭০০ ফিলিস্তিনি কারাবন্দিকে মুক্তি দিলো ইসরায়েল
- কাল থেকে অনলাইনে জামিননামা, এক ক্লিকে চলে যাবে সংশ্লিষ্ট কারাগারে
- মতলব বাসীর সর্বোচ্চ স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করবো;ডাঃ শামীম।
- ঢাকা সেনানিবাসের একটি ভবন সাময়িকভাবে ‘কারাগার ঘোষণা’
- ৪ দাবি না মানা পর্যন্ত সড়ক না ছাড়ার ঘোষণা সাত কলেজ শিক্ষার্থীদের
- শেষ পর্যন্ত এনসিপি ইতিবাচক অবস্থানে আসবে, আশা সিইসির
- বাংলাদেশি তরুণ কৃষি উদ্যোক্তাদের জন্য সামাজিক ব্যবসা তহবিল গঠনের
- ক্যাডারদের দ্বন্দ্বে আটকে আছে প্রশাসনিক সংস্কার
- এখনো আতঙ্কে ফিলিস্তিনিরা, যুদ্ধবিরতির সফলতা নিয়ে সন্দিহান
- ৬৮.৩৫ লাখ টন জ্বালানি বিক্রি বিপিসির, শীর্ষে পদ্মা অয়েল
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে নোমানের ক্ষোভ
- কাল থেকেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
- সারজিসকে ঘুমের ওষুধ খাওয়ার পরামর্শ প্রিন্স মাহমুদের
- তিতাসে স্বেচ্ছাসেবক দল নেতার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগ
- গৌরবময় ইতিহাসের কুমিল্লা
- লাকসামে জুলাই সনদ ও পি.আর পদ্ধতি নিয়ে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত
- শিক্ষকদের যৌক্তিক দাবিতে পুলিশের হামলার প্রতিবাদে নোমানের ক্ষোভ
- লাকসামে শান্তা হাসপিটালের ছাদে সবুজ স্বপ্ন
- বিশ্বব্যাংকের সতর্কতা: দারিদ্র্য আবারও বাড়ছে
- ৩৪ বছর পর ফের গণভোটের আলোচনা: ঐকমত্য হলে কতটা প্রস্তুত ইসি
- রসায়নে নোবেল পেলেন তিনজন
- নতুন মিশনে আর্জেন্টিনা
- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের নতুন সিনিয়র সচিব মো. এহছানুল হক
- কাল থেকেই বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি
- ‘আটকের সময় মনে হচ্ছিল হয়তো আর ফিরবো না’
- নতুন রূপ পাবে বেহাল ১৪০ থানা-ফাঁড়ি-আউটপোস্ট
- শান্তি চুক্তি সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি: আব্দুস সাত্তার
- টঙ্গীতে ছাত্রদলের দোয়া ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
- সিনেমা আর সংসার পেছনে ফেলে সন্ন্যাসের পথে ঐশ্বরিয়ার প্রতিদ্বন্দ্ব
- যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত
- চাকসু নির্বাচনকে ঘিরে চবিতে উৎসবমুখর পরিবেশ
- নিষেধাজ্ঞার মধ্যে প্রকাশ্যে ইলিশ বিক্রি, ব্যাগ ভরে নিলেন সাংবাদিক
- কলকাতার ছবিতে না থাকার কারণ জানালেন তানজিন তিশা
- ইসলামে যে ১৪ নারীর সঙ্গে বিবাহ হারাম!
- আরবি মাসের নাম এবং তার অর্থ
- মদের বোতলে রাখা পানি পানের বিধান কী?
- জেনে নিন কোরআনে চুমু দেয়া কি জায়েজ?
- মোনাজাতে কান্না করলে কি গুনাহ হবে?
- নারীর গোপন ভিডিও বা ছবি নিয়ে ইসলাম যা বলে
- প্রাকৃতিক দুর্যোগে করণীয় আমল
- তালাক বা বিবাহ বিচ্ছেদ
- মদিনা শরিফের ইমাম শায়খ আব্দুল কাদিরের ইন্তেকাল
- যেভাবে কবর জিয়ারত করবেন
- দ্বন্দ্বের অবসান, ফেব্রুয়ারিতে একসঙ্গে বিশ্ব ইজতেমা
- আজ খুলছে রাসূলুল্লাহ (সা.) রওজা মোবারক
- মসজিদে নববীর আদর্শ ও আমাদের মসজিদ
- ঝুলন্ত মসজিদ হবে কাবার পাশে
- শরীরে ট্যাটু আঁকা হারাম