মঙ্গলবার   ১৯ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ৩ ১৪৩২   ২৪ সফর ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫০০

চিরকুট লিখে ঢাবি ছাত্রের আত্মহত্যা

প্রকাশিত: ২১ সেপ্টেম্বর ২০২০  

করোনাকালে অকালেই ঝরে গেল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও এক ছাত্রের প্রাণ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র কামরুল বাহার আত্মহত্যা করেছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। তবে তাৎক্ষণিকভাবে তার আত্মহত্যার কারণ জানা যায়নি।

কামরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের ইলেকট্রিক্যাল এন্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ২০১৩-১৪ সেশনের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি অমর একুশে হলের আবাসিক ছাত্র। তার বাড়ি ফেনী জেলার পরশুরাম থানার বক্সমাহমুদ ইউনিয়নের উওর মোহাম্মদপুর গ্রামে। কামরুল জনতা ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার হিসেবে সম্প্রতি নিয়োগ পেয়ে যোগদান করেন।

তার পরিবার এবং বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজধানীর ফার্মগেটের একটি আবাসিক হোটেল থেকে ওই ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এর আগে তিনি একটি চিরকুট লিখে রেখে গেছেন। সেখানে বড় ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন তিনি।

জানা গেছে, ওই ছাত্র আত্মহত্যার আগে তার পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। মোবাইলও বন্ধ রাখেন। তবে মৃত্যুর আগে সর্বশেষ বন্ধুদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল। কী কারণে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন, তা পরিবারের সদস্যরা জানাতে পারেননি।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রাব্বানী বলেন, ‘বিষয়টি খুবই দুঃখজনক। তার পরিবারের সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন মেধাবী ছাত্রের এভাবে চলে যাওয়া মেনে নেওয়া যায় না। সে সম্প্রতি ব্যাংকে চাকরিও পেয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘কোন শিক্ষার্থী যদি সমস্যায় পড়ে তাহলে সে আমাদের সঙ্গে, বিভাগের শিক্ষকের সঙ্গে কিংবা বন্ধুদের সঙ্গে কথা বলতে পারে। সামাজিক সমস্যা তো থাকবেই। তাই বলে, এভাবে চলে যেতে হবে? আমার শিক্ষার্থীদের প্রতি আহবান থাকবে, কেউ যদি সমস্যায় পড়ে তাহলে তা যেন প্রকাশ করে। এ ধরনের পথ যাতে কেউ না বেছে নেয়।’

এর আগে গত আগস্টে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ‘আল বিদা’ স্ট্যাটাস দিয়ে আত্মহত্যা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইমাম হোসেন। তিনি শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইইআর) ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ছাত্র ছিলেন। এছাড়া সাম্প্রতিক সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরও একাধিক শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনা ঘটেছে।

এই বিভাগের আরো খবর