মঙ্গলবার   ১৯ আগস্ট ২০২৫   ভাদ্র ৩ ১৪৩২   ২৪ সফর ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৬৪১

ইলুমিনাতি সন্দেহে গণিত বই থেকে ত্রিকোণমিতি বাদ দেয়ার দাবি

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০  

অনেকেরই বিশ্বাস, নিজেদের উদ্দেশ্য বাস্তবায়নের জন্য বিশ্বের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে আছে ক্ষমতাধর সিক্রেট গ্রুপ 'ইলুমিনাতি'। তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের নবম, দশম, একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির একদল শিক্ষার্থী গণিত বইয়ের ত্রিকোণমিতি শাখাটিকে ইলুমিনাতি বলে সন্দেহ প্রকাশ করেছে। একই সাথে দ্রুত ত্রিকোণমিতি নিষিদ্ধের দাবিও তুলেছে তারা।

এসএসসি পরীক্ষায় তিনবার গণিতে ফেল করা গবেষক দলের এক শিক্ষার্থী বলেন, 'ইলুমিনাতি মানেই তো ত্রিকোণ। গণিতের এই শাখাটি নামেই ইলুমিনাতি ধারণ করে। নাহলে এত এত সংখ্যা থাকলে ত্রিকোণমিতি কেন নাম হবে? কেন দ্বিকোণমিতি বা চতুর্কোণমিতি নাম হবে না?'

শুধুমাত্র ত্রিকোণমিতি না, অন্য একজন গবেষক পুরো গণিত শাস্ত্রটিকেই ইলুমিনাতি দাবি করছে। তিনি বলেন, 'জ্যামিতি, এখানে দেখেন, তিনকোণের ছড়াছড়ি। পাটিগণিতে বাঁশে তেল লাগিয়ে দিনের পর দিন বাঁনরগুলোকে কষ্ট দিয়ে যাচ্ছে। বলা যায় নিজেদের দাস করে রেখে দিয়েছে। বেহুদা চৌবাচ্চা ফুটা করা কিংবা শ্রমিকদের অর্ধেক কাজের কথাই ভাবেন! সবকিছুই আসলেই ইলুমিনাতি।'

একইসাথে গণিত ও বিজ্ঞানে ফেল করা অন্য একজন ছাত্র আর্যভট্ট, পীথাগোরাস থেকে শুরু করে সব গণিতবিদকে ইলুমিনাতির সক্রিয় সদস্য বলে দাবি তুলেছেন। নিউটনকেও সন্দেহের মধ্যে রেখে তিনি বলেন, 'নিউটনের গতিসূত্র ৩টা কেন? কেন ৪টা বা ২টা নয়! কোনদিন এইসব প্রশ্ন করেছেন নিজেকে?'

'গণিত কী কাজে আসে জীবনে? জীবনের অর্ধেক সময়ই এইসব অর্থহীন হিসেব কষে পার হয়। মূলত পৃথিবীর যুবসমাজকে আকামে ব্যস্ত রেখে নিজেদের উদ্দেশ্য হাসিলের জন্যই এইসব ত্রিকোণমিতি, পরিমিতি, বীজগণিত, পাটিগণিত, জ্যামিতির জন্ম।' এমন বক্তব্যের পাশাপাশি কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মাথা খারাপ করে পাগল বানিয়ে রাখতেই ইলুমিনাতি এইসব গণিত-ফনিত জন্ম দিয়েছেন বলেও মত দেন এই গবেষক দল।

এই বিভাগের আরো খবর