বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৮৪৪

ওয়ারিশান সনদের নামে অর্থ বাণিজ্য যোগসাজশে ইউপি ওয়ার্ড মেম্বার

নিজস্ব প্রতিনিধি:

প্রকাশিত: ৮ অক্টোবর ২০২০  

ঢাকা জেলার নবাবগঞ্জ উপজেলার ১২নং আগলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন এবং উক্ত ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার আলাউদ্দিনের বিরুদ্ধে ওয়ারিশান সনদ, নাগরিক সনদ, জন্ম নিবন্ধন সনদ প্রদানের নামে অর্থ বাণিজ্যসহ একের দায় অপরের ঘারে চাপিয়ে দিয়ে মানব সৃষ্ট বিপর্জয়ের মতো গুরুতর আপত্তিকর তথ্য পাওয়া গেছে।
তথ্য অনুসন্ধানে জানাযায়, আলাউদ্দিনের হলো ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার, আর ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার হলো আসলাম। বিধি অনুযায়ী ওয়ারিশান সনদপত্রসহ অন্য যেকোনো সনদপত্র সংগ্রহ করতে হলে স্ব-স্ব ওয়ার্ড মেম্বার-এর সুপারিশের মাধ্যমে এবং এলাকার স্থানীয় ২জন বাসিন্দার সম্মতিপত্র পাওয়ার পর চেয়ারম্যান সনদপত্র প্রদান করবেন। কিন্তু আলাউদ্দিন মেম্বার ৪নং ওয়ার্ডের মেম্বার হয়ে চেয়ারম্যান আবেদ হোসেনের যুগসাজশে ৩নং ওয়ার্ডের মেম্বার আসলামকে না জানিয়ে ৩নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। মৃত লাল মোহন সাহার নামে ওয়ারিশান সনদপত্র প্রদান করেছেন। যার সনদে পিতা ও মাতার নামসহ কত নং ওয়ার্ড তা উল্লেখ করা হয় নাই। অনেক ক্ষেত্রে মেম্বার-এর স্বাক্ষর ছাড়াই চেয়ারম্যান নিজেই সনদ দিয়ে থাকেন। যখন এ বিষয়ে আপত্তি আসে তখন আদালতে গিয়ে স্বাক্ষ্য প্রদান করেন যে, আবেদ হোসেন কোনো সনদ প্রদান করেন নাই। আগলা কালোয়াহাটি মৌজার ৫৫২ ও ৫৫৩ নং দাগের মূল মালিকের রেকর্ড পর্চার সাথে সাজানো ওয়ারিশান হরে কৃষ্ণ সাহা, পিতা- মৃত রাখাল চন্দ্র সাহার রেকর্ড পর্চার সাথে কোন মিল নাই। এভাবেই আবেদ হোসেন চেয়ারম্যান তাকে ভ‚য়া সনদপত্র দিয়ে এলাকায় মানব সৃষ্ট বিপর্য তৈরি করেছে, যা হত্যার চেয়ে জঘন্য অপরাধ। তথ্য সংগ্রহকালে আরো জানাযায়, আবেদ হোসেন চেয়ারম্যান অসত উদ্দেশ্যে চরিতার্থ করে বহু সরকারী জমি আত্মসাৎ করেছে। শুধু তাই নয় উক্ত আবেদ হোসেন এককালে অপরাধ জগতের গড ফাদার এবং বিএনপি’র নেতাও ছিলেন। তার সেই কালের অপকর্মের কথা ভেবে এলাকাবাসী ভয়ে মুখ খুলছে না। তথ্য সংগ্রহকালে আরো জানাযায়, রেনু বালা দাস, স্বামী- মৃত হরিপদ দাস, পিতা- মৃত পার্বতী চরণ দাস। অন্যদিকে পার্বতি চারণ দাসের পিতা হলো মৃত ফটিক চন্দ্র দাস। তিনি মৃত বরণের সময় ৫ পুত্র সন্তান রেখে যান। 

১। বিহারী লাল, ২। রিপন চন্দ্রদাস, ৩। বিমলা চরণ দাস, ৪। কমলা চরণ দাস, ৫। পার্বতি চরণ দাস।
এখানে উল্লেখ্য যে, বিহারী লাল দাস ১ পুত্র রেখে মারা যায়। যার নাম ভল্লব চন্দ্র দাস। ভল্লব চন্দ্র দাস রেখে যায় স¤ভুনাথ সরকার বর্তমানে মৃত। স¤ভুনাথ সরকার রেখে যায়, ৪ পুত্র সন্তান। 
যাদের নাম, ১। মদন কুমার সরকার, ২। দীলিপ সরকার, ৩। শিশির সরকার, ৪। বাদল সরকার তাদেরকে চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন ওয়ারিশান সনদ প্রদান করেন ০১-০৩-২০২০ইং তারিখে। ঠিক তার পরদিন ০২-০৩-২০২০ইং তারিখে প্রত্যায়ন পত্র প্রদান করেন অত্যন্ত সুপরিকল্পিতভাবে চেয়ারম্যান ও মেম্বার আলাউদ্দিন উক্ত লোকদের জায়গা জমি আত্মসাৎ করার জন্য। এ প্রত্যয়ন পত্রে একমাত্র বিহারী লাল দাসকে সন্তানের জনক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে বিহারী লাল দাসের ৪ ভাইকে নিঃসন্তান বা আঙ্কুরী বানিয়েছেন। তথ্য সংগ্রহকালে জানা যায়, একমাত্র কমলা চরণ দাস নিঃসন্তান। বাকী তিন ভাইয়ের সন্তানাধি উত্তরাধিকার হিসেবে রয়েছে। কথা হলো পার্বতি চরণ দাসের মেয়ে রেণুবালা দাসকে ওয়ারিশান না দিয়ে আবেদ হোসেন চেয়ারম্যান ও মেম্বার আলাউদ্দিন, দেব-দিচ্ছি বলে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে ও নানান প্রকার টালবাহানা করে রেনু বালা নামের এই বৃদ্ধা মহিলাকে মানষিকভাবে হয়রানী ও আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ করেছেন। এর জ্বালা সইতে না পেরে রেনু বালা বুক চাপরিয়ে ধুকে ধুকে মৃত্যু বরণ করেন। বর্তমানে রেনু বালার ২ পুত্র কমল দাস ও বিমল দাসকে ওয়ারিশান সনদ না দিয়ে মায়ের মতো ধুকে ধুকে মৃত্যু বরণ করার পথ পরিষ্কার করে চলেছেন আবেদন হোসেন চক্র। কমল দাস ও বিমল দাস জানান, ২০১৮ সালে ওয়ারিশান সনদপত্রের জন্য আবেদন অনলাইনে বের করে ট্রেকিং আইডি নং- ৬১৯৫৬৯ করেও চেয়ারম্যান আবেদ হোসেন ও মেম্বার আলাউদ্দিন চক্রের হাত থেকে রেহায় পাওয়া যায় নাই। তারা বলিষ্ঠ কণ্ঠে বলেন, আমরা সিএস.আর এস, এবং এস.এ পর্চার সূত্রে মালিক। তবুও এ অসৎ চক্রের গায়ের জোরে আমাদেরকে সার্বিকভাবে অধিকার বঞ্চিত করছে। তারা আরো বলেন, আমরা ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা। কিন্তু আলাউদ্দিন মেম্বার কেন ৩নং ওয়ার্ড পরিচয়ে সহি-স্বাক্ষর করেছেন। তা অবশ্যই উদ্দেশ্য প্রণোদিত মনগড়া বানোয়াট ও অসত উদ্দেশ্য হাসিল করার অপপ্রয়াস। এসকল ঘটনার উপর আলোকপাত করে বিগত ১৫ জুলাই ২০১৮ ইং তারিখে দৈনিক আল আযান পত্রিকায় (নবাবগঞ্জ ভ‚য়া ওয়ারিশান সনদ প্রদান ইউপি চেয়ারম্যান আবেদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় শিরোনামে *২৮ জুলাই ২০১৮ইং তারিখে নিউজ ৭১ অনলাইন পত্রিকায় ঢাকা নবাবগঞ্জে ভ‚য়া ওয়ারিশান সনদ পত্র দেয়ার অভিয়োগ শিরোনামে * ১ আগস্ট ২০১৮ইং তারিখে দৈনিক স্বরেজমিন বার্তা ও দৈনিক দেশের পত্র পত্রিকায় নবাবগঞ্জে ভূয়া ওয়ারিশান সনদ প্রদান, ইউপি চেয়ারম্যান আবেদের বিরুদ্ধে সমালোচনার ঝড় শিরোনামে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।

এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় স্বারাষ্ট্রমন্ত্রী, মাননীয় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী, স্থানীয় সরকার সচিব, বিভাগীয় কমিশনার ঢাকা, জেলা প্রশাসক ঢাকাসহ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নবাবগঞ্জ-এর আইনি পদক্ষেপ কামনা করছেন বিমল ও কোমল দাস। 

এই বিভাগের আরো খবর