বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩০৬

সম্মেলন ঘিরে অসুস্থ প্রতিযোগিতা বরদাশত করা হবে না

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ৮ নভেম্বর ২০১৯  

 

আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনগুলোর সম্মেলন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের মধ্যে অসুস্থ প্রতিযোগিতা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না বলে সতর্ক করে দিয়েছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের জাতীয় কাউন্সিল ঘিরে দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাংগঠনিক সম্পাদকদের নিয়ে রুদ্ধদ্বার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এ বৈঠক শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

এ সময় ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘কয়েক দিন আগে আমরা প্রতিনিধি সম্মেলনে গিয়েছিলাম। তারপরও পত্রপত্রিকায় রাজশাহীর খারাপ খবরে ভরে গেল। এটি আমাদের জন্য দুঃখজনক। সম্মেলন সামনে রেখে সব তিক্ততার অবসান ঘটবে বলে আমি আশা করি।’

ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, ‘কাদা ছোড়াছুড়ি বন্ধ করতে হবে। আমাদের মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা থাকবে। কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা হবে সুস্থ। অসুস্থ প্রতিযোগিতা কোনোভাবেই বরদাশত করা হবে না। আমি এখানে নেত্রীর পক্ষ থেকে এটি পরিষ্কারভাবে সবাইকে জানিয়ে দিতে চাই।

রুদ্ধদ্বার বৈঠক সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘আওয়ামী লীগের জাতীয় সম্মেলন সামনে রেখে তা বাস্তবায়নের জন্য বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের করণীয় কী, সে সম্পর্কে আলোচনা করেছি। সারা দেশে আমাদের শাখা সংগঠনগুলো, জেলা-উপজেলা, থানা-ইউনিয়ন-ওয়ার্ড পর্যন্ত বিভিন্ন জায়গায় মেয়াদ উত্তীর্ণ কমিটিগুলো নতুনভাবে করা হচ্ছে। সেসব বিষয়ে আমাদের নেতৃবৃন্দ বিস্তারিত আলাপ-আলোচনা করেছেন।’

সবাই অনুপ্রবেশকারী নয়

অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড ও সাম্প্রদায়িক শক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা ছাড়া আওয়ামী লীগের যাঁরা এসেছেন, তাঁরা অনুপ্রবেশকারী নয় বলে দাবি করেছেন ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্টিতে যারা এসেছে, তারা অনুপ্রবেশকারী নয়। অনেক ক্লিন ইমেজের লোকও আমাদের পার্টিতে এসেছে। এদের সাম্প্রদায়িক সংশ্লিষ্ট কোনো ব্যাকগ্রাউন্ড যদি না থাকে এবং কোনো প্রকার মামলা-মোকদ্দমা, অপরাধমূলক কাজে এদের সংশ্লিষ্টতা না থাকে, তাহলে সেসব লোকরা অবশ্যই অনুপ্রবেশকারী নয়।’

সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, ‘যাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে এবং সাম্প্রদায়িক অপশক্তির সঙ্গে যাদের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ রয়েছে, শুধু তাদের ব্যাপারেই অনুপ্রবেশকারী হিসেবে সিলেক্ট করার বিষয়ে আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা নির্দেশ দিয়েছেন।’

এ সময় অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিতর্কিত ছাড়া আওয়ামী লীগে কেউ বাদ যায় না। দায়িত্বের পরিবর্তন হয় শুধু।’

বিএনপি নেতাদের পদত্যাগ নেতিবাচক রাজনীতির পরিণতি’

বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা একে একে পদত্যাগ করছেন এ সম্পর্কে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমার কাছে মনে হয়, এটা বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতির অনিবার্য পরিণতি। আমি এককথায় এটাই বলব।’

বৈঠকে অন্যদের মধ্যে উপস্থিতি ছিলেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দীপু মনি, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, দপ্তর সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, বি এম মোজাম্মেল হক, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী, সহ-দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।

বৈঠক-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনের আগে কৃষক লীগের নতুন নেতৃবৃন্দ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলের শীর্ষ নেতাদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় কৃষক লীগের নবনির্বাচিত সভাপতি সমীর চন্দ ও উম্মে কুলসুম স্মৃতিসহ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

পরে রাজশাহী বিভাগের সম্মেলন উপলক্ষে করণীয় ও তারিখ নির্ধারণ নিয়ে স্থানীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর কবির নানক ও সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী। এ সময় রাজশাহী বিভাগের শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকের আগে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘রাজশাহী জেলার তৃণমূল পর্যায়ে সম্মেলন উপলক্ষে আমরা বৈঠক করতে যাচ্ছি। আওয়ামী লীগ একমাত্র দল, যারা সব সময় একটি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সম্মেলন করে থাকে। সব ক্ষেত্রে পরাজিত বিএনপি-জামায়াতের অপশক্তির বিরুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয় না হওয়া পর্যন্ত আমরা কাজ করে যাব। আওয়ামী লীগের সবচেয়ে বড় শক্তি হচ্ছে দলের নেতাকর্মী। উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে কাউন্সিল হবে। এবার একটা ভালো দিক হলো, জাতীয় কাউন্সিলের আগে সহযোগী সংগঠনের কাউন্সিল হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর