শুক্রবার   ১৬ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২   ১৮ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩২৭

বিএনপি পারেনি, আমরা পারছি : কাদের

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২৫ অক্টোবর ২০১৯  

ক্যাসিনো ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান সম্পর্কে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘আমাদের নেত্রী কতটা কঠোর, তা চলমান এ অভিযানের দিকে তাকালেই বোঝা যায়। বিএনপির আমলে হাওয়া ভবনে কম দুর্নীতি হয়নি। তারা ওই সময় ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা পারছি দুর্নীতি ও ক্যাসিনোর বিরুদ্ধে সফল অভিযান চালাতে।’

আজ শুক্রবার দুপুরে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখার বিশেষ বর্ধিত সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের।

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের জাতীয় কাউন্সিল আসছে। আওয়ামী লীগ নবীন-প্রবীণের সমন্বয়ে একটা সুশৃঙ্খল ও সুসংগঠিত দল। আওয়ামী লীগের সম্মেলন মানেই কিছু নতুন মুখ আসবে। পুরোনোদের কারো কারো দায়িত্বে পরিবর্তন আসতে পারে। এখানে অভিজ্ঞতাও দরকার, সঙ্গে শক্তিরও দরকার। অভিজ্ঞতাও থাকবে, সঙ্গে শক্তিও সঞ্চার করতে হবে।'

শুদ্ধি অভিযান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'হাওয়া ভবনের নেতৃত্বে বাংলাদেশের সব অপকর্ম হয়েছিল। একজন অপরাধীকেও তখন বিচারের আওতায় আনা হয়নি। এখন আমরা অপরাধীদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ও প্রশাসনিকভাবে ব্যবস্থা নিচ্ছি। আমরা এখন অপকর্মকারীকে আইনের আওতায় আনছি। কারো দল ও মত দেখা হচ্ছে না। দুর্নীতি দমন কমিশনকে ফ্রি-হ্যান্ড করে দেওয়া হয়েছে। বিএনপি আমলে দুর্নীতি দমন কমিশন সরকারের লোকজনের দুর্নীতির বিষয়ে নির্বিকার ছিল।’

বিএনপির মহাসচিবকে উদ্দেশ করে কাদের বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব, আপনারা একটা উদাহরণ কি দেখাতে পারবেন? কোন অপরাধীকে শাস্তি দিয়েছেন? শেখ হাসিনার সৎসাহস আছে, সংশোধন করার সৎসাহস শেখ হাসিনার আছে। আমার দলের কোনো নেতাকর্মী ভুল করলে, অপকর্ম করলে শাস্তি তাকে পেতেই হবে। এটা বিশ্বে বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন আমাদের প্রধানমন্ত্রী।’

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির সময়ে দলের লোকজন থাকলে মামলাই করতে পারত না। আর সোনাগাজীর নুসরাতের ঘটনায় আমাদের দলের লোকজনও আছে এবং তাদেরও ফাঁসির রায় হয়েছে। পুলিশের কী হলো, এ নিয়ে মির্জা ফখরুল আবোলতাবোল বকছেন। কিন্তু এত দ্রুত একটা মামলার বিচারকাজ শেষ হয়েছে, ১৬ জনের ১৬ জনেকেই মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে। বিচার বিভাগের প্রতি মানুষের আস্থা বাড়বে। বিএনপি ভালো কাজের প্রশংসা করতে জানে না। আজকে এই শুদ্ধি অভিযানকে যদি বিএনপি স্বাগত জানাত তাহলে বুঝতাম, তাদের ইতিবাচক রাজনীতির প্রতি আস্থা আছে। সবকিছু নেতিবাচক চোখে দেখা বিএনপির চরিত্র, বিএনপির রাজনীতি সবকিছুতেই তারা সরকারের সমালোচনা ছাড়া আর কিছুই তারা দেখে না।’

ওয়ার্ডের মাস্তানরাই অনুপ্রবেশকারী উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘উন্নয়নের সঙ্গে আচরণ যদি ভালো না হয়, এই উন্নয়নের কোনো দাম নেই। একটি ওয়ার্ডে সব উন্নয়ন হয়েছে, সেখানে দু-একজন মাস্তানের জন্য মানুষ কষ্ট পায়, দু-একজন মাস্তান দলীয় পরিচয়ে মাস্তানি করে, এরাই অনুপ্রবেশকারী এদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।’

কাদের বলেন, ‘ক্ষমতা চিরস্থায়ী নয়। এখন বিতর্কিত লোক এনে যদি পকেট ভারি করেন, দল ভারি করেন। দলের বিপদের সময়ে হাজার পাওয়ারের বাতি দিয়েও তাদের খুঁজে পাওয়া যাবে না। আমি আপনাদের অনুরোধ করব বিতর্কিত লোকদের নিয়ে দল করবেন না।’

ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ দক্ষিণের সভাপতি হাজি আবুল হাসনাতের সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন ও আওয়ামী লীগ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ।

এই বিভাগের আরো খবর