বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৫৬

নবীজির (সা.) সাহসিকতা

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৯ নভেম্বর ২০১৮  

সাহসিকতা, নির্ভীকতা, যথা-সময়ে উদ্যোগ গ্রহণ রাসূলুল্লাহর (সা.) বিশেষ গুণ ছিল। তাঁর সাহসিকতা বড় বড় বীরদের কাছে অবিসংবাদিতভাবে স্বীকৃত। আলি ইবনে আবু তালিব (রা.) বলতেন, كنا إذا حمى البأس، واحمرت الحدق ما تحت الأجفان من شدة الغضب نتقي برسول الله

‘যুদ্ধ যখন প্রচণ্ড রুপ নিত, প্রবলভাবে ক্রোধান্বিত হওয়ার ফলে চোখ রক্তিম বর্ণ ধারণ করত তখন আমরা (তীর-তরবারির আঘাত থেকে বাঁচার জন্য) রাসূলুল্লাহকে (সা.) রক্ষাকবচ হিসেবে গ্রহণ করতাম।’ 

ইমরান ইবনে হাছিন (র.) বলেন,

ما لقي رسول الله صلى الله عليه وسلم كتيبة ، إلا كان أول من يضرب

‘রাসূলুল্লাহ (সা.) কোনো বাহিনীর মুখোমুখি হলে প্রথম আঘাতকারী হতেন।’ 

রাসূলুল্লাহর (সা.) সাহসিকতার একটি নমুনা নিচে উল্লেখ করা হলো—

এক রাতে মদিনার এক প্রান্তে কারও চিৎকারের আওয়াজ শোনা গেল। কিছু মানুষ আওয়াজের দিকে অগ্রসর হলো, কিন্তু দেখা গেল রাসূলুল্লাহ (সা.) একাই আওয়াজের উৎসস্থলে তাদের আগে গিয়ে পৌঁছলেন। তিনি যখন অবস্থা দেখে ফিরছিলেন, তখন তাদের সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হলো। 

তিনি ছিলেন আবু তালহার অস্ত্রসজ্জিত ঘোড়ার উপরে। তরবারি ছিল তাঁর কাধে। আবু তালহা বলতে লাগলেন,

كان النبي صلى الله عليه وسلم أحسن الناس ، وأجود الناس، وأشجع الناس، رواه البخارى

‘রাসূলুল্লাহ (সা.) ছিলেন সর্বাপেক্ষা সুন্দর, সর্বাপেক্ষা দানশীল, সর্বাপেক্ষা সাহসী।’ (বুখারী: ২৬০৮)