সোমবার   ১৯ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩২   ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৫৩

ধানক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনা সাজানো নাটক: তথ্যমন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩০ মে ২০১৯  

ন্যায্য মূল্য না পেয়ে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলায় কৃষকের ধানক্ষেতে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে সাজানো নাটক বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত সঙ্গীতশিল্পী সুবীর নন্দী স্মরণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, মিথ্যা সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে সরকারকে বেকায়দায় ফেলার চেষ্টা করা হচ্ছে। ধানক্ষেতের এক কোণায় একটু করে আগুন দিয়ে ছবি তুলেছে। ছবি কীভাবে তুললে তা ভালো ফোকাস হবে আরেকজন নির্দেশনা দিচ্ছে। অভিনয় করে ভিডিওচিত্র ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভারতের কৃষকের ছবি বাংলাদেশের বলে চালানো হয়েছে।

তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, পত্রিকায় লেখা হয়েছে লিচু কিনে দিতে পারেননি বলে দুই সন্তানকে হত্যা করেছেন বাবা। পরে অনুসন্ধান করে জানা গেছে, বাবাটি অপ্রকৃতস্থ ছিল। মুক্তিযুদ্ধের পরপর জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সরকারের বিরুদ্ধেও কিছু পত্রিকা এভাবে অপপ্রচার চালিয়েছিল। তাই কোনো সংবাদ পরিবেশনের আগে সমাজে এর ফল কী হতে পারে, সেটা বিবেচনা করে তবেই সংবাদ পরিবেশন করা উচিত।

কৃষকদের ধানের দাম ও সংকট সমাধানের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, সংকট নিরসনে সরকার ধান রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমদানির ওপর শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। নজরদারির মাধ্যমে কৃষকের কাছ থেকে ন্যায্য মূল্যে ধান কেনা হচ্ছে; কিন্তু এখনও সরকারবিরোধীরা মিটিং, মিছিল, সমাবেশে সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে এ বিষয়ে সমালোচনা করে যাচ্ছে। সমালোচনা অবশ্যই করবেন, কিন্তু সেটা অন্ধের মতো নয়। মানুষকে বিভ্রান্ত ও মিথ্যা তথ্য দিয়ে সমালোচনা করা বন্ধ করুন।

সামগ্রিক সংকট মোকাবেলায় মিল মালিক ও বাণিজ্যিকভাবে চাল রফতানি করতে আগ্রহীদের সর্বোচ্চ সুবিধা নিশ্চিত করে তবেই রফতানির সুযোগ করে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন সাবেক খাদ্যমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম। পাশাপাশি স্থায়ী রফতানি বাজার খুঁজে বের করার কথাও বলেন তিনি।

অনুষ্ঠানে সুবীর নন্দীর স্মৃতিচারণ করে বক্তারা বলেন, তার গাওয়া আড়াই হাজার গানের মাধ্যমে তিনি বেঁচে থাকবেন। তিনি শুধু একজন শিল্পীই ছিলেন না, গানের সংগ্রাহকও ছিলেন। উপমহাদেশের বিভিন্ন মৌলিক গানগুলো সংগ্রহ করতেন। তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ বলেন, সুবীর নন্দী একজন কালজয়ী শিল্পী ছিলেন। সঙ্গীতের প্রতি তার নিবেদন ছিল অসামান্য।


বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ সারাহ বেগম কবরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারী ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, সংগঠনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তারিন জাহান, সুবীর নন্দীর মেয়ে ফাল্গুনী নন্দী মৌ, শিল্পী রফিকুল আলম, দিনাত জাহান মুন্নী প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর