সোমবার   ১৯ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ৪ ১৪৩২   ২১ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২২৯

খালেদার জন্য প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা রয়েছে: কাদের

প্রকাশিত: ৮ জুন ২০১৯  

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) চিকিৎসাধীন কারাবন্দি বিএনপি চেয়াপারসন খালেদা জিয়ার নিরাপত্তার ব্যাপারে সরকার যথেষ্ট সচেতন। তাকে প্রয়োজনীয় নিরাপত্তা দিয়েই সেখানে রাখা হয়েছে।

শনিবার আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। আগামী ২৩ জুন আওয়ামী লীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সামনে রেখে মাসব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।

দুর্নীতির দুই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া গত ১ এপ্রিল থেকে বিএসএমএমইউয়ে চিকিৎসাধীন। গত বৃহস্পতিবার ভোরে এই মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের তৃতীয় তলায় রেজিস্ট্রারের কক্ষের সামনে থেকে একটি পেট্রোল বোমা উদ্ধারের কথা জানায় শাহবাগ থানা পুলিশ। এরপর রাতেই বিএনপি জরুরি সংবাদ সম্মেলন দলীয় প্রধানের নিরাপত্তা জোরদারের দাবি জানায়।

এ বিষয়ে আশ্বস্ত করে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'এটা একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হতেই পারে। আজ টেরোরিজম একটা গ্লোবাল সমস্যা। বাংলাদেশ কোনো বিচ্ছিন্ন দেশ নয়। আমরাও কোনো বিচ্ছিন্ন দেশের বাসিন্দা নই। এসব ঘটনা হতে পারে। তবে উদ্বিগ্ন হওয়ার মত কোনো ঘটনা ঘটেনি। আমরা সতর্ক আছি, শঙ্কিত নই।'

সরকার আশ্বস্ত করলেও বোমা উদ্ধারের ঘটনার পেছনে 'সরকারের উদাসীনতা' বা 'নীল নকশা' কাজ করছে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে বিএনপি। এত নিরাপত্তা ভেদ করে সেখানে বোমা গেল কীভাবে– এমন প্রশ্নও তুলেছে দলটি।

এ প্রসঙ্গে সেতুমন্ত্রী বলেন, এসব বিষোদগার করে বিএনপি তাদের নেতাকর্মীদের সমর্থন আদায়ের চেষ্টা করছে। তাদের আর কোনো ইস্যু নেই, তাই তারা এসব কথা বলছে।

দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর বিভিন্ন কর্মসূচি ঘোষণা করে ওবায়দুল কাদের জানান, এবার প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে প্রতিটি জেলায় আওয়ামী লীগের দু'জন করে প্রবীণ নেতাকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। এজন্য জেলা শাখাকে দু'জন করে প্রবীণ নেতার নাম পাঠাতে বলা হয়েছে।

ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকায় তিন দিনব্যাপী এবং সারাদেশে মাসব্যাপী কর্মসূচি পালন করা হবে। প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিন ২৩ জুন সকালে বঙ্গবন্ধু ভবন ও বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হবে। এরপর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ধানমণ্ডি বঙ্গবন্ধু ভবন প্রাঙ্গণে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাবেন দলের কেন্দ্রীয় নেতারা।

তিনি জানান, ২৪ জুন বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কেন্দ্রে আলোচনা সভা ও প্রতি জেলার দু'জন করে প্রবীণ নেতার সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। এজন্য জেলায় জেলায় ফোন করে প্রতিটি জেলা থেকে দু'জন সিনিয়র নেতার নাম পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এরপর ২৫ জুন বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে।

আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে জেলা-উপজেলায় ২৩ জুন থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচি চলবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে সভা-সমাবেশ, সেমিনার ও শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, প্রচার, পুস্তিকা প্রকাশ, রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা প্রভৃতি।

সংবাদ সম্মেলনে দল ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মতিয়া চৌধুরী, অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, এ কে এম এনামুল হক শামীম, অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস, অসীম কুমার উকিল, সুজিত রায় নন্দী, দেলোয়ার হোসেন, ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, অ্যাডভোকেট নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ুন, মারুফা আক্তার পপি, এস এম কামাল হোসেন, আমিরুল আলম মিলন, পারভীন জামান কল্পনা, ওমর ফারুক চৌধুরী, হারুনুর রশিদ প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর