বুধবার   ১৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ৩১ ১৪৩২   ১৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৪৬০

যে গোনাহ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন প্রিয়নবি

ডেস্ক রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর ২০১৮  

গোনাহের পর ক্ষমা প্রার্থনাকারীকে ভালোবাসেন। আল্লাহ তাআলা প্রিয়নবিকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আপনি ক্ষমা চান আপনার ও মুমিন নারী-পুরুষের দোষ-ত্রুটির জন্য।’ (সুরা মুহাম্মদ : আয়াত ১৯)

হাদিসে এসেছে মানুষ যদি গোনাহ না করত আল্লাহ এ জাতিকে ধ্বংস করে দিয়ে অন্য জাতি নিয়ে আসতেন। যাতে তারা গোনাহ করে এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে। তবে সব গোনাহের ব্যাপারে মুমিন মুসলমানকে সতর্ক থাকতে হবে।


এমন কিছু গোনাহের ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করা আবশ্যক। যেগুলো হাদিসের পরিভাষায় সবচেয়ে বড় গোনাহ। যে ব্যাপারে প্রিয়নবি সুস্পষ্ট বর্ণনা দিয়েছন।

একবার হজরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ রাদিয়াল্লাহু আনহু প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কাছে জানতে চাইলেন যে, ইয়া রাসুলুল্লাহ! সবচেয়ে বড় গোনাহ কী? অতঃপর প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ হাদিসটি বর্ণনা করেন-

হজরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি জিজ্ঞাসা করলাম হে আল্লাহর রাসুল! (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম) সবচেয়ে বড় গোনাহ কোনটি? তিনি বললেন-

> কাউকে আল্লাহর সমকক্ষ স্থির করা অথচ তিনিই তোমাকে সৃষ্টি করেছেন।
অতপর তিনি বললেন, তারপর কোনটি? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
> তোমার সঙ্গে খাবে, এ ভয়ে সন্তানকে হত্যা করা।
তিনি আবার বললেন, তারপর কোনটি? রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন-
> তোমার প্রতিবেশীর স্ত্রীর সঙ্গে জিনা (ব্যভিচার) করা।
তখন রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের কথার সত্যতা ঘোষণা করে আল্লাহ তাআলা আয়াত নাজিল করেন- ‘আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্য কোনো ইলাহকে ডাকে না।’ (বুখারি)

আরও পড়ুন > যাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব করা ইসলামে নিষিদ্ধ

প্রথম কথা হলো
আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক করা যাবে না। এটা সবচেয়ে বড় গোনাহ। যা আল্লাহ তাআলা কখনো ক্ষমা করবেন না।

দ্বিতীয়ত
নিজেদের সন্তানকে হত্যা করাও সবচেয়ে বড় অপরাধ। অনেক সময় দেখা যায়, গর্ভে সন্তান চলে আসে, বিভিন্ন অজুহাতে বাবা-মা কিংবা পরিবারের সদস্যরা সে সন্তানকে অকালে গর্ভপাতের মাধ্যমে নষ্ট করে ফেলে। যা কোনোভাবেই উচিত নয়। কেননা এটি সবচেয়ে বড় গোনাহের একটি।


 
তৃতীয়ত
জিনার মতো মারাত্মক অপরাধ থেকে বিরত থাকা। কেননা নারী পুরুষের চারিত্রিক পবিত্রতা ও শৃঙ্খলার জন্য আল্লাহ তাআলা বিয়ের ব্যবস্থা রেখেছেন। তা সত্ত্বেও অন্যের স্ত্রীর প্রতি কুদৃষ্টি ও অবৈধ মেলামেশা করা। ইসলাম এটাকে কোনোভাবেই সমর্থন করে না। বরং এ পর্যায়ের জিনাকারীর শাস্তি পাথর মেরে হত্যা করার বিধান প্রণয়ন করেছে ইসলাম।

সুতরাং আল্লাহর সঙ্গে কাউকে শরিক না করে, সন্তান হত্যা না করে জিনা-ব্যাভিচারে লিপ্ত না হয়ে অন্তরে আল্লাহ ভয় ও ভালোবাসা পোষণ করাই ঈমানদারের একমাত্র কাজ।

আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে হাদিসে ঘোষিত সবচেয়ে বড় গোনাহগুলো থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।