বৃহস্পতিবার   ১৫ মে ২০২৫   জ্যৈষ্ঠ ১ ১৪৩২   ১৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৩৭

তুলনা করে ম্যান্ডেলাকেই অপমান করছে বিএনপি : প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩ নভেম্বর ২০১৯  


প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতির দায়ে কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে নেলসন ম্যান্ডেলার সঙ্গে তুলনা করে ম্যান্ডেলাকেই অপমান করছে বিএনপি। কারণ তিনি দেশের মানুষের মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। অথচ খালেদা জিয়ার সরকারের সময়ে শুধু হত্যা, খুন, দুর্নীতিই হয়েছে। তাঁর ছেলে আমাকে হত্যার জন্য গ্রেনেড বোমা হামলা করেছে। সেই খালেদা জিয়ার সঙ্গে ম্যান্ডেলার মতো স্বনামধন্য সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিদের সঙ্গে নাম উচ্চারণ কীভাবে করে সেটাই আমার প্রশ্ন। 

আজ শনিবার রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী যুবলীগের সপ্তম কংগ্রেসের উদ্বোধনী সেশনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

শেখ হাসিনা বলেন, যুবসমাজ যেন দেশের কল্যাণে কাজ করে এবং এই লক্ষ্য নিয়েই কাজ করে যাবে যুবলীগ। ১৯৭২ সালে শেখ ফজলুল হক মণি যখন যুবলীগ গড়ে তোলে এরপর থেকে যুবলীগ অনেক অবদান রেখেছে। যুবলীগকর্মী নূর হোসেন সামনে দাঁড়িয়ে শহীদ হয়েছেন। 

যুবলীগ নেতৃবৃন্দের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ভোগে নয়, ত্যাগেই মহত্ব। কতটুকু দিতে পারলাম, কতটুকু মানুষের জন্য করতে পারলাম সেই চিন্তা থেকে দূরে থেকে যারা রাজনীতি করে তারা সফল। দুর্নীতি করে অনেক টাকা বানাতে পারে, ব্র্যান্ডের দামি দামি পোশাক পরা যায়, জীবনে চাকচিক্য আসে। কিন্তু তাতে সম্মান পাওয়া যায় না। মানুষের হৃদয়ও পাওয়া যায় না। এটাই হচ্ছে বাস্তবতা।

লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে কীভাবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে রাজনীতি করতে হয় তা জানতে জাতির পিতার অসমাপ্ত আত্মজীবনী ও কারাগারের রোজনামচা পড়ার পরামর্শ দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের পর জাতির পিতার হত্যাকারীদের রাজনীতি করার সুযোগ দেওয়া হয়েছিল। জিয়াউর রহমান এবং এরশাদের পর যখন খালেদা জিয়া ক্ষমতায় এলো, রাজাকারদের হাতে তুলে দেওয়া হলো শহীদদের রক্তে রঞ্জিত পতাকা।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, নোবেল প্রাইজ পায় অথচ একটা ব্যাংকের এমডির পদ ছাড়তে পারে না। আমেরিকায় ধরনা দিল পদ্মা সেতু বন্ধ করতে। বিশ্বব্যাংক আমাদের কোনো দুর্নীতি পায়নি। বরং আমরা যেকথা বলেছিলাম, নিজস্ব অর্থায়নে পদ্মা সেতু করব। আমরা সেটা করে চলেছি। আমরা বিদেশের কাছে হাত পাতি না। নিজেদের অর্থায়নে আমরা কাজ করি। যতটুকু আমরা নেই, আমরা ঋণ নেই, সুদসহ তা শোধ করি। প্রয়োজনে নুনভাত খাব, তবু ঋণ নিয়ে ঘি খাব না।

যুবকদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সরকারের নানা পদক্ষেপের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে কেউ বেকার থাকবে না। কেউ ইচ্ছে করে বেকার থাকলে থাকবে। কিন্তু চাইলে কর্মসংস্থান ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে বা যুবপ্রশিক্ষণ কেন্দ্র থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজের কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। আমরা ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল করে দিচ্ছি। যেখানে ব্যাপকহারে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে। যে কেউ ব্যবসা করতে চাইলে করতে পারবে। শুধু চাকরির পেছনে ছুটে বেড়ানো নয়, যাতে নিজেরা আত্মকর্মসংস্থান করে অন্যদেরকে চাকরি দিতে পারে সেভাবে আমরা যুবকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করছি।

এ সময় প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, সন্ত্রাস, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে অভিযান চলবেই, সে যেই হোক, ছাড় দেওয়া হবে না।

এই বিভাগের আরো খবর