রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৭৪৪

শরীয়তপুর নড়িয়ায় ব্যবসায়ীর উপর হামলা ও দোকানপাট ভাংচুর

নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুর।

প্রকাশিত: ১২ আগস্ট ২০২১  

শরীয়তপুর নড়িয়া উপজেলার ভূমখাড়া  ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের পশ্চিম নলতা গ্রামের অলিখিত নলতা বাজার কমিটির ইন্দনে ওই ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব নলতা গ্রামের দোকান ব্যবসায়ী আব্দুস সাত্তার হাওলাদার(৩৮)কে  কতিপয় চিহ্নিত কয়েকজন বখাটে দাঁড়া  সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এবং দোকান ঘর ভাংচুর করেছে এমন অভিযোগ উঠেছে কতিপয় কয়েকজন চিহ্নিত বখাটেদের বিরুদ্ধে। ওই অলিখিত নলতা বাজার কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন আহমদ চৌকিদার, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাবলু এবং ওই বাজার কমিটির সভাপতির মেয়ের জামাই এবং যুবলীগ নেতা নাসির সরদার এদের ইন্দনে এবং তাদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত কতিপয়  কয়েকজন চিহ্নিত বখাটে নাঈম বেপারী পিতা রহিম বেপারী, তোতা  সরদার পিতা সাত্তার সরদার, শাহ আলম দেওয়ান পিতা দিল দেওয়ান ও সোহেল মাঝি, এদের দ্বারা দোকানঘর ভাংচুর ও সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে এমনটাই অভিযোগ করলেন গণমাধ্যম ও নড়িয়া পুলিশ প্রশাসনকে ওই ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার হাওলাদার ও তার স্ত্রী। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার সাধারণ জনগণের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এদের দ্বারা সন্ত্রাসী হামলার শিকার হয়েছে মানসিক প্রতিবন্ধী আলামিন (২০)। গত ১১আগস্ট ২০২১ সকাল ১১ টার দিকে নলতা বাজার কমিটির ইন্দনে চিহ্নিত কয়েকজন বখাটে দেশিও ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটা নিয়ে ৫নং ওয়ার্ডের পূর্ব নলতা গ্রামের গরিব আব্দুস সাত্তার হাওলাদার এর দোকান ভাংচুর করে এবং  ভাংচুর শব্দ শুনে আব্দুস সাত্তার এগিয়ে আসলে শাহ আলম দেওয়ান হাতুড়ি দিয়ে আঘাত করে এবং তার সঙ্গীয়রা বাঁশ ও স্টিলের পাইপ দিয়ে পিটিয়ে আহত করে এবং আবদুস সাত্তারের চিৎকারের শব্দ শোনে তার স্ত্রী বাঁচাতে আসলে তাকেও মারধর করে। স্থানীয় কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী সেতারা বেগম, নাসিমা বেগম, আল-আমিন ও সালাম গণমাধ্যমকে বলেন অসুস্থ আব্দুস সাত্তার দীর্ঘদিন ঢাকায় ছিলেন করোনাকালীন সময়ে দেশে এসে কোন কাজ কর্ম না পেয়ে তার বাড়ির ঘাটায় টিন দিয়ে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করে ব্যবসা করেন। কিন্তু নলতা বাজার কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক এবং নেতা নাসির সরদার এরা এখানে দোকান করতে দেবেনা এবং ছাত্তারকে বলেন আমাদের নলতা বাজারে এসে দোকান করো। তাদের কথা না শোনায় তাদের ইন্দনে আব্দুস সাত্তারকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে জখম করে এবং দোকানঘর ভাংচুর করে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে রেজিস্ট্রেশন বিহীন নলতা বাজার কমিটির সদস্যরা নলতা বাজার কে জমজমাট ও প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্যে স্হনীয় গন্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে নিয়ে আলোচনায় বসে কয়েকবার।ওই আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয় ওই এলাকার আশেপাশে গ্রাম মহল্লায় কেউ দোকান দিয়ে ব্যবসা করতে পারবে না, দোকান করতে হবে এই নলতা বাজারে এইভাবে চাপ প্রয়োগ করা হয়। ওই বাজার কমিটির সদস্যদের নিয়ন্ত্রিত লোকজনের মাধ্যমে ওই নলতা বাজারে দোকান করতে বাধ্য করেন এমন অভিযোগ উঠেছে ওই কমিটির বিরুদ্ধে।

নলতা বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাবলু গণমাধ্যমকে বলেন আমরা এই নলতা বাজার কে জমজমাট ও প্রতিষ্ঠা করার জন্য কয়েকবার আলোচনায় বসে ছিলাম। পাড়াগ্রাম মহল্লায় দোকান গড়ে উঠলে এই নলতা বাজার কে জমজমাট প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। আমরা আলোচনায় এটাও ঘোষণা করেছি এই বাজারে কেউ দোকান করতে চাইলে তাকে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হবে। তিনি বলেন কিছুক্ষণ আগে শুনেছি পূর্ব নলতা ৫ নং ওয়ার্ডের আব্দুস সাত্তার হাওলাদার কে কয়েকজন পোলাপান হামলা করে এবং দোকানপাট ভাংচুর করছে।কে বা কারা করেছে তা আমি জানিনা তবে আমাদের কেউ যদি করে থাকে তাহলে তাদের বিরুদ্ধে আমরা ব্যবস্থা নিব।
ভুক্তভোগী আব্দুস সাত্তার গণমাধ্যমকে বলেন আমার মাঝায় ব্যাথা আমি ভারি কাজ করতে পারিনা ,তাই আমি আমার বাড়িড় ঘাটায় ছোট্ট একটি দোকান করে কোন রকম দিন পার করছি। পশ্চিম নলতা বাজার কমিটির সভাপতি শামসুদ্দিন আহমেদ চৌকিদার, সাধারণ সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন বাবলু এবং যুবলীগ নেতা নাসির সরদার সহ কমিটির সদস্যরা আমাকে নলতা বাজারে দোকান করার বাধ্য করতে চেষ্টা করেন। আমি তাদের কথা না শুনলে তারা  তাদের লোকজন দিয়ে আমার দোকান ভাংচুর করে। আমি বাধা দিতে  গেলে আমাকে দেশীও ধারালো অস্ত্র লাঠিসোটা দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমি আপনাদের মাধ্যমে সঠিক বিচার দাবি জানাচ্ছি।
নড়িয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি অবনী শংকর কর এর সাথে মুঠোফোনে আলাপকালে তিনি বলেন আমি শুনেছি উভয় পক্ষে মারামারি করেছে। আব্দুস সাত্তার হাওলাদার একটি অভিযোগ দায়ের করেছে। অভিযোগের ভিত্তিতে এসআই বাশারকে সঠিক তদন্তের জন্য ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি।ঘটনা যদি সত্য হয় অভিযোগের ভিত্তিতে প্রকৃত দোষীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

এই বিভাগের আরো খবর