রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫৯৪

বরুড়ায় গৃহবধূকে কুপিয়ে হত্যা!

স্টাফ রিপোর্টারঃ

প্রকাশিত: ৭ আগস্ট ২০২১  

বরুড়ার চোত্তাপুকুরিয়া মোল্লাবাড়িতে পরিকল্পিতভাবে গৃহবধুকে হত্যা করে পরিকল্পিতভাবে স্থানীয় অসহায় ও নিরীহদের ফাঁসানোর নোংরা আয়োজন। যার আয়োজক ক্ষমতাসীন  আওয়ামী লীগের ব্যানার ব্যবহার করে স্থানীয়ভাবে নানান অপকর্মে লিপ্ত একটি চক্র। আওয়ামী লীগের নাম ব্যবহার করে স্থানীয় পর্যায়ে আধিপত্য প্রতিষ্ঠিত করাই এদের পেশা। জমিন, সীমানা, লেনদেন ইত্যাদি ছুতা উস্কে দিয়ে গ্রামে- গ্রামে, মহল্লায়- মহল্লায় এমনকি ঘরে- ঘরে পর্যন্ত বিবেদ   তৈরি করে ফাঁদ পাতে এরা। নিরীহ এবং শিক্ষিতরা এদের বিশেষ টার্গেট।

 
এদেরই দুষ্টু পরিকল্পনায়  উপজেলার ভাউকসার ইউনিয়নের চোত্তাপুকুরিয়ায় হত্যার শিকার গৃহবধূ  রোজিনা বেগম(২৮)। 

বৃহস্পতিবার(৫ আগষ্ট) এশার নামাজের পর রাতে   সোহেল মিয়ার স্ত্রী রোজিনাকে মুখঢাকা হেলমেড বাহিনী কুপিয়ে পিটিয়ে জখম করে।পরে হাসপাতালে মৃত্যু হয়। তারা তার মৃত্যু নিশ্চিতের আগে কঠিন মামলাও নিশ্চিত করে রোজিনার মা জাহারাকে দিয়ে। গ্রামের নিরীহ কিছু মানুষকে আসামী বানিয়ে এখন উল্লাস নৃত্য করছে এই দুষ্ট চক্রটি। বেছে বেছে আসামী করেছে নিহতের স্বজন আলমগীর, জোবায়ের, জামাল, শরীফসহ বেশ কয়েকজনকে। তাদের গ্রামছাড়া করতে পেরে ভীষণ স্বস্তিতে চক্রটি। এর জেরে গ্রামটিতে এখন করুন অবস্থা। একদিকে মৃত্যু,  আরেক দিকে নিরীহ নিরাপরাধীরা হয়রানিতে। এখানেই শেষ নয়, তাদেরকে বিএনপি, জামায়াত, হেফাজত ইত্যাদি বানিয়ে দৌড়ের ওপর রাখার বিশাল আয়োজন। যার সাথে উপজেলা, মূল আওয়ামী লীগ বা সংসদ সদস্যের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু, এই খুন ও বিশৃঙ্খলার হোতারা আওয়ামী লীগ এমনকি এমপি নাসিমের নাম বিক্রি  করছে। স্থানীয়দের মুখ বুঝে সহ্য করা আর উপরওয়ালার কাছে বিচার চাওয়া ছাড়া যেন করার কিছু নেই। এমন কি আওয়ামী লীগের ত্যাগী- পরীক্ষিতরাও এই বেপরোয়া চক্রের উতপাতে লজ্জিত - অপমানিত, ক্ষুব্ধ।   

স্থানীয় ইউ পি সদস্য জহির আহম্মেদ ঘটনার সত্যেতা নিশ্চিত করেছেন।

বরুড়া থানা পুলিশের উপ-পরিদর্শক চন্দন ক্লানি দাস বলেন, তিনি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেছে। হামলাকারীরা পালিয়ে গেছে।

উল্লেখ্য চোত্তাপুকুরিয়া গ্রামটি বরাবরই শান্ত সুনিবিড়। গ্রামের মানুষজনও নিরিহ প্রকৃতির। অধিকাংশই কৃষক। এর মাঝেই এলাকাটিতে গজানো কিছু কদাকার ব্যক্তির উতপাত চরমে। যার ফলে শিক্ষার সামান্য ছোঁয়া পাওয়া ব্যক্তিরা নোংরামিতে পড়ার আতঙ্কে থাকেন।  দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃতিত্বের সাথে পড়াশোনা করছে অবহেলিত গ্রামটির ছেলেমেয়েরা। গত বছর কয়েকে রাজনীতির নামে স্থানীয় সামাজিক অবর্ণনীয় নোংরামীতে তারা কেউ এলাকামুখী হন না।  বাড়ি গেলেই নানান বিপদে ফেলে তাদের সর্বনাশ করার ফাঁদে ফেলা হয়। মৃত স্বজনের শেষবারের জন্য মুখ দেখা, জানাযার নামাজ পড়া বা বিয়ে সাদীর মতো জরুরি দরকার না হলে তারা এলাকাও মাড়ায় না।

এই বিভাগের আরো খবর