রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৫০

আব্দুল ঘানি বারাদার হতে যাচ্ছেন পরবর্তী আফগান প্রেসিডেন্ট

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৫ আগস্ট ২০২১  

তালেবানের সহ প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আব্দুল ঘানি বারাদার আফগানিস্তানের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন বলে খবর এসেছে আরব গণমাধ্যমগুলোতে।

রোববার বিকেল ৪টার দিকে আফগানিস্তানের গণমাধ্যমগুলো জানায়,  আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আশরাফ ঘানি। 

সরকারের একজন মন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তে তালেবানের সঙ্গে সমঝোতা হয়েছে।

এদিন বিকেলে তালেবান প্রধান মোল্লা আবদুল গনি বরাদর এবং কাতার - আমেরিকার কূটনীতিবিদদের সঙ্গে বৈঠকের একপর্যায়ে ঘানির পদত্যাগের ঘোষণা আসে। 

তালেবানের অস্থায়ী সরকারের কাছে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন দেশটির ভারপ্রাপ্ত স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল সাত্তার মিরজাকওয়াল। 

ওই বৈঠক চলার সময়ই খবর আসে আব্দুল ঘানি বারাদারই পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন। 

তালেবানদের অন্যতম সহ-প্রতিষ্ঠাতা মোল্লা আবদুল গনি বারাদার দলটির রাজনৈতিক দপ্তরের প্রধান হিসেবে কাজ করছেন। আফগানিস্তানে টেকসই শান্তি ও অস্ত্র বিরতি নিয়ে দোহার আলোচনা দলটির একজন সদস্য তিনি।

মোল্লা ওমরের সবচেয়ে বিশ্বস্ত কমান্ডারদের একজন হিসেবে পরিচিত বারাদারকে পাকিস্তানের দক্ষিণ করাচিতে ২০১০ এ গ্রেপ্তার করা হলেও ২০১৮ সালে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এর আগে রোববার সন্ধ্যায় এক টুইট বার্তায়  তালেবানদের মুখপাত্র সুহায়েল আফগানিস্তানে ‘আগ্রাসনকারীদের ক্ষমা’ ঘোষণা করেছেন। 

প্রেসিডেন্ট আশরাফ ঘানির পদত্যাগের পর আফগানিস্তানের বর্তমান সরকার অন্তর্বতীকালীন সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের প্রক্রিয়া শুরু করেছে। 

আফগান গণমাধ্যমে খবর এসেছে, এই অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে যাচ্ছেন দেশটির সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও কূটনীতিক আলী আহমাদ জালালি। 

জালালি ২০০৩ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত আফগানিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন। আর জার্মানিতে আফগানিস্তানের রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ২০১৭ সাল থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত।

রোববার বিকেল ৪টার দিকে আফগানিস্তানের গণমাধ্যমগুলো জানায়, আফগানিস্তানের প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন আশরাফ ঘানি। 

সরকারের একজন মন্ত্রী গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন, কাবুলে হামলা হবে না, এই শর্তে তালেবানের সঙ্গে তালেবানের এক নেতার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, রাজধানী শহরটিতে যোদ্ধাদের সহিংসতা থেকে বিরত থাকতে বলেছে তালেবান। কেউ শহরটি ত্যাগ করতে চাইলে, তাদের এ সুযোগ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে বাহিনীটি। এ ছাড়া নারীদের নিরাপদে অবস্থান করার জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে। 

এর আগে রেবাববার সকালে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় গুরুত্বপূর্ণ শহর জালালাবাদের দখল নেয় তালেবান। কোনো যুদ্ধ ছাড়াই তালেবান শহরটির দখল নিতে সক্ষম হয়। জালালাবাদ দখলের মধ্য দিয়ে আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রদেশের মধ্যে অন্তত ২৮টির রাজধানীর নিয়ন্ত্রণ এখন তালেবানের হাতে।

বাংলাদেশ সময় রোববার বিকেল ৫টার দিকে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আফগানিস্তানের ক্ষমতা আবারও তালেবানদের হাতে চলে যাওয়ার পর রাজধানী কাবুল থেকে সরে যেতে শুরু করেছেন অধিবাসীরা।

এই বিভাগের আরো খবর