রোববার   ০৪ মে ২০২৫   বৈশাখ ২০ ১৪৩২   ০৬ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৭৫

শিক্ষার্থীদের সাথে এলাকাবাসীর সংহতি প্রকাশ

মাহির আমির মিলন, জবি প্রতিবেদক। 

প্রকাশিত: ৪ অক্টোবর ২০২১  

 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ঐতিহ্যবাহী ধূপখোলা মাঠ রক্ষার দাবিতে সংহতি সমাবেশ করেছে প্রগতিশীল ছাত্র জোট (জবি) শাখা। 

(সোমবার) বিকেলে সাড়ে চারটায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা আয়োজিত সংহতি সমাবেশ আয়োজন করে স্থানীয় এলাকাবাসীকে নিয়ে মাঠের দক্ষিণ - পশ্চিম অংশে রাস্তার উপরে। 

সংহতি সমাবেশে বক্তারা বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৬ সালের আন্দোলনের কথা হয়তো বর্তমান সিটি মেয়র জানে না। সিটি কর্পোরেশন  পুরান ঢাকাবাসী এবং শিক্ষার্থীদের একমাত্র বিনোদনের জায়গাটি সম্পন্নভাবে দখল করে নিজেদের আখের গুছাইতে চায়। এই মাঠ শুধু শিক্ষার্থীদের নয় এলাকার ছোট ছোট বাচ্চাদের খেলার জায়গা। যা মার্কেট হলে প্রবাবশালীরা ছাড়া অন্য কেউ সুবিধা নিতে পারবে না। 

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক খায়রুল হাসান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন নিষ্ক্রিয় ভূমিকা পালন করার জন্য আমরা আজ মাঠ হারাতে বসেছি। একটা পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় কেন এতো বছরে এই মাঠের কাগজপত্র ঠিক করতে পারে নাই তাদের ব্যর্থতা। আমরা আজ এলাকাবাসীর সাথে একত্রিত হয়ে মাঠকে ফিরিয়ে আনতে ঐক্যবদ্ধ। পূর্বের হল আন্দোলনের মতো এলাকাবাসী আমাদের সহযোগিতা করবে বলে সংহতি জানিয়েছেন। 

তিনি আরও বলেন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মার্কেট করার এতো ইচ্ছে হলে ধানমন্ডিতে যেতে পারে তারা, পুরান ঢাকার মতো সংকীর্ণ গণ্ডিতে মাঠ ছিনিয়ে শপিংমল করার কোনো অধিকার নেই তাদের। উন্নয়নের নামে জনগণের সাথে তামাশা শুরু করেছে ডিএনসিসি মেয়র। যারা রাতের অন্ধকারে একটা মাঠকে ধ্বংস করে মার্কেট করতে চায় এতে মাদকের সঙ্গে যুবসমাজের সম্পৃক্ততা আরও বেড়ে যাবে নিয়মিত।  

সরকারি কবি নজরুলের সাবেক শিক্ষার্থী বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের সাংধারণ সম্পাদক দীপক শীল বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা শুধু এই মাঠে খেলে এমন নয় আশেপাশে থাকা অন্যসব শিক্ষার্থীরাও নিয়মিত এই মাঠে খেলে। ডিএনসিসির এই কাজটি আসলেই অবান্তর, এতো মার্কেট থাকতে ঐতিহাসিক ধূপখোলা মাঠে তারা কেন শপিংমল তৈরি করতে যাবে। আমরা এই যোক্তিক দাবির সাথে সংহতি সমাবেশে আহবান জানায়, এলাকাবাসী সহ সবাই এগিয়ে আসুন ইনশাআল্লাহ এই মাঠ রক্ষা করবে শিক্ষার্থীরা।

স্থানীয় বাসিন্দা হামিদুর রহমান বলেন, আমরা পুরান ঢাকাবাসী কোথায় যাবো সেই জায়গা আজ নেই। এই মাঠ হারিয়ে গেলে শিশুরা সব মোবাইল ফোনের দিকে ধাবিত হবে, খেলাধূলা করার মতো আর কোনো জায়গা থাকবে না। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আমাদের বাচ্চারা যেই কোনো সময় খেলার সুযোগ পায় কিন্তু এই মাঠ চলে গেলে তা সম্ভব হবে না আর। মেয়র সাহেবকে বলবো আপনি এই মাঠে মার্কেট করবেন না অথবা আমরা এলাকাবাসী শিক্ষার্থীদের নিয়ে কঠোরভাবে আন্দোলন করবো। 

জবি শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফন্টের সুমাইয়া সুমা বলেন, গতকাল সাধারণ শিক্ষার্থীরা মাঠে এসেছে আজ আমরা আসছি। আমাদের চলমান আন্দোলন অবহৃত থাকবে। যেই সিটি কর্পোরেশন মশা মারতে পারে না তারা কিনা আবার রাতের আঁধারে বিশ্ববিদ্যালয় সম্পদ চুরি করে মার্কেট করে তাদের ধিক্কার জানায় আমরা। এলাকাবাসীরা আশাকরি আমাদের সাথে থেকে মাঠকে উদ্ধার করার জন্য এগিয়ে আসবেন। 

এই বিভাগের আরো খবর