বৃহস্পতিবার   ০৮ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৪ ১৪৩২   ১০ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৫৩৫

প্রশাসনের দুর্নীতির বিরুদ্ধে জবিতে ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

মাহির আমির মিলন, জবি প্রতিবদেক

প্রকাশিত: ২৯ আগস্ট ২০২১  

নতুন ক্যাম্পাসের কাজ শুরু হতে না হতে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) প্রশাসনের বিরুদ্ধে। ইতিমধ্যে যা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া শুরু হয়েছে শিক্ষক শিক্ষার্থীর মাঝে। আর যা নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার জবি ছাত্রলীগ। 

আজ রবিবার দুপুর সাড়ে ১১টায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ( জবি) ছাত্রলীগের একাধিক নেতাকর্মী মূল ফটকের সামনে থেকে স্লোগান দিতে থাকে।

পরবর্তী সময়ে এই বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেয় কিছুক্ষণ সময় ধরে। এই সময় তাদের কন্ঠে দুর্নীতির বিরুদ্ধে একাধিক শ্লোগান শোনা যায় প্রশাসনের বিরুদ্ধে। এক সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর রুম অতিক্রম করে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে উপাচার্যের রুমের সামনে যায়। 

এক পর্যায়ে উপস্থিত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের সাথে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে উচ্চ স্বরে বাক্যবিনিময় হয়। তাছাড়াও জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত সবাইকে স্লোগান বন্ধ করার জন্য আহ্বান জানান জবি প্রক্টর। পুনরায় তারা জয়বাংলা ধ্বনিতে সবাই স্লোগান দিতে দিতে একপর্যায়ে ভিসির রুমে ঢুকে পড়ে। 

এই সময় তারা অভিযোগ করেন,  বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের যে কোনো সমস্যায় ছাত্রলীগ অংশগ্রহণ করলেও উন্নয়ন মূলক কাজ সহ নানা বিষয়ে তাদের অবগত করা হয়না। জবির একমাত্র ছাত্রী হলের নীতিমালা প্রনায়ন করা, করোনা মহামারিতে শিক্ষার্থীদের ৪৫ লক্ষ টাকা এককালীন বৃত্তি দেওয়া, নতুন ক্যাম্পাসের ভূমি অধিগ্রহণে অনিয়ম, বিশ্ববিদ্যালয়ের জায়গাতে পুকুর খনন করে মাছ চাষ করা, কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে মার্কেট নির্মান সহ একাধিক বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের নিরব ভূমিকা নিয়ে তারা প্রশ্ন তুলেছে। সেই সঙ্গে নতুন ক্যাম্পাসের ৫৪১ কোটি টাকার হিসাবে গড়মিলের বিষয়ে তারা জানতে চান। 

এই বিষয়ে জবি ছাত্রলীগের সাবেক - সহ সভাপতি জামাল উদ্দিন অভিযোগ করেন, আন্দোলনের সময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মাঠে থাকলেও সুযোগ - সুবিধার ক্ষেত্রে আমাদের অবগত করা হয়না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন সবকিছু বিক্রি করে দিচ্ছে মনে হচ্ছে একের পর এক। আমরা কোনো দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দিবো না সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে সকল অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠিন জবাব দেয়া হবে। 


এই বিষয়ে জানতে চাইলে প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা তাদের বলেছি লিখিত অভিযোগ দেওয়ার জন্য আমরা তখন খতিয়ে দেখবো। বিশ্ববিদ্যালয়ের জমির বিষয়ে আমরা কিছু জানিনা সেটা জেলা প্রশাসন ভালো বলতে পারবে এবং তারাই আমাদের জমি বুঝিয়ে দিয়েছে। জয়বাংলা ধ্বনিতে মুখরিত হতে কাউকে না করিনি বরং বলেছি ভিতরে মিটিং হচ্ছে তোমরা এখন স্লোগান বন্ধ কর। 
 

এই বিভাগের আরো খবর