সোমবার   ০৩ নভেম্বর ২০২৫   কার্তিক ১৯ ১৪৩২   ১২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭

ন বছর পর তারেক রহমানের ফোন পেলেন নজরুল ইসলাম মঞ্জু

তরুণ কণ্ঠ প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ৩ নভেম্বর ২০২৫  

প্রায় তিন বছর পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান **তারেক রহমানের ফোন** পেলেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক সভাপতি **নজরুল ইসলাম মঞ্জু**। রোববার বিকেল সোয়া ৫টায় লন্ডন থেকে আসা এই ফোনেই তিন বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটে তার। ফোনে তারেক রহমান মঞ্জুকে বলেন, খুলনা-২ আসনে ধানের শীষের বিজয় নিশ্চিত করতে এখন থেকেই কাজ শুরু করতে হবে। এর আগে তাকে পক্ষ-বিপক্ষ নির্বিশেষে সব নেতাকর্মীকে ঐক্যবদ্ধ করতে হবে বলেও নির্দেশ দেন তিনি।

 

 

মঞ্জুর ঘনিষ্ঠ সূত্র জানায়, ফোন পাওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই খুলনা বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস দেখা দেয়। অভিনন্দন বার্তায় ভেসে যাচ্ছেন তিনি।

 

বর্তমানে চিকুনগুনিয়ায় আক্রান্ত মঞ্জু খুলনায় নিজ বাসভবনে বিশ্রামে আছেন। সম্প্রতি তিনি ঢাকায় বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মতবিনিময় সভায় অংশ নেন।

 

সমকালকে তিনি বলেন, “বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আমাকে খুলনা-২ আসনে দলের প্রার্থী হিসেবে কাজ শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন।” এরপর তিনি ফেসবুকে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে বেশ কয়েকটি বার্তাও দেন।

 

দলীয় ইতিহাসে মঞ্জুর রাজনৈতিক যাত্রা দীর্ঘ। ১৯৭৯ সালে ছাত্রদল কর্মী হিসেবে রাজনীতিতে আসেন তিনি। ১৯৮৭ সালে খুলনা মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এবং ১৯৯২ সালে সাধারণ সম্পাদক হন। ২০০৯ সালের ২৫ নভেম্বর সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর টানা এক যুগ দায়িত্ব পালন করেন।

 

২০২১ সালের ডিসেম্বর মাসে তার রাজনৈতিক জীবনে ঘটে বড় ধাক্কা। মহানগর বিএনপির নতুন আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণায় বাদ পড়েন তিনি ও তার অনুসারীরা। সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করার পর তাকে শোকজ করা হয় এবং ২৫ ডিসেম্বর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদকের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

 

এই ঘটনার পরই খুলনায় ব্যাপক গণপদত্যাগ শুরু হয়। পাঁচ শতাধিক নেতা পদত্যাগ করেন তখন। মঞ্জু ও তার অনুসারীরা দীর্ঘ তিন বছর ধরে কোনো পদ-পদবী ছাড়াই দলীয় কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন এবং রাজপথে সক্রিয় থেকেছেন।

 

খুলনা মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক আসাদুজ্জামান মুরাদ বলেন, “পদ ছিল না, কিন্তু মঞ্জু রাজপথেই ছিলেন। তারেক রহমানের ফোন প্রমাণ করেছে, রাজপথে থাকা নেতাদের পরিশ্রম বৃথা যায় না।”

 

তবে বর্তমান মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন বলেন, “ফোন বা প্রার্থিতা বিষয়ে আমাকে কিছু জানানো হয়নি।”
 

 

এই বিভাগের আরো খবর