রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৭ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৬৮

জেনেশুনে আমরা বিষ পান করছি : গয়েশ্বর

প্রকাশিত: ২৭ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘সরকার এবং নির্বাচন কমিশনের প্রতি অনাস্থা থাকলেও আসন্ন ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রসঙ্গে আমরা জেনেশুনে বিষ পান করছি।’

আজ শুক্রবার বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন গয়েশ্বর চন্দ্র রায়। জাতীয়তাবাদী সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংস্থার (জাসাস) ৪১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ওই শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

সিটি নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রেক্ষাপট বর্ণনা করতে গিয়ে গয়েশ্বর বলেন, ‘জনগণ ভোট দিতে পারবে না। নির্বাচন কমিশনের প্রতি শুধু আমাদের না, সারা দেশের মানুষের আস্থা নেই। তারপরও আমরা জেনেশুনে বিষ পান করছি। কারণ আপনাদের মুখরক্ষা করার জন্য। নির্বাচনে গেলেও সমালোচনা হয়, না গেলেও সমালোচনা হয়। সে কারণে সবাই প্রত্যক্ষ করেন এই নির্বাচন কমিশন শেষ পর্যন্ত কী করে।’

প্রধান নির্বাচন কমিশনার জেদ করে জনগণের ওপর ইভিএম চাপিয়ে দিতে চাইছেন অভিযোগ করে গয়েশ্বর বলেন, ‘ইভিএম অনেক আগে আবিষ্কার হয়েছে। বিশ্ব থেকে পার্শ্ববর্তী দেশে ইভিএম পদ্ধতির বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে। পৃথিবীর সব জায়গা থেকে হাঁকডাক উঠছে ইভিএমে সহজে কারচুপি সম্ভব। তারা ইভিএম পরিত্যাগ করছে। আর আমরা এটিএম ব্যবহার করছি। সাধারণ মানুষের এ ব্যাপারে কোনো আগ্রহ নেই। এটা নতুন প্রযুক্তি। এ সম্পর্কে সাধারণ মানুষের সম্যক ধারণা নেই। কিন্তু প্রধান নির্বাচন কমিশনার উনি জেদ করছেন যে ইভিএম জনগণকে গেলাবেন। একটা নির্বাচন কমিশন যখন জনগণের ইচ্ছার বাইরে জেদ করে চাপিয়ে দেয়, তখন বুঝতে হবে এই ইভিএমের পেছনে অনেক রহস্য আছে।’

এক প্রশ্নের জবাবে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এটাকে তো নির্বাচন কমিশন বলা যায় না। এটা হলো সরকারের ইচ্ছা বাস্তবায়নের একটি প্রতিষ্ঠান। এটাকে নির্বাচন কমিশন বলা হলে নির্বাচন কমিশনকে বিদ্রুপ করা হবে। নির্বাচন কমিশন শব্দটাকে বিদ্রুপ করা হবে।’

সিটি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি মন্তব্য করে গয়েশ্বর আরো বলেন, ‘সিটি নির্বাচন নিয়ে কোনো আবহ তৈরি হয়নি। সেটা হতে পারে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে, হতে পারে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে। এই ফরম বেচাকেনা, নেওয়া, জমা দেওয়া এইটা। কিন্তু সাধারণ মানুষের মধ্যে কোনো আগ্রহ ফিরে আসেনি। কারণটা হলো জনগণ যেহেতু ভোট দিতে পারে না, সেহেতু নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো আগ্রহ তৈরি হয়নি।’

সিটি নির্বাচন নিয়ে প্রত্যাশা সম্পর্কে সাবেক এ মন্ত্রী বলেন, ‘আমরা নিকট অতীতে যা দেখছি তারই প্রতিচ্ছবি। এখানে নির্বাচন বলতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জনগণ ভোট দিতে পারবে সেটা আশা করা যাচ্ছে না।’

এ সময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, জাসাস কেন্দ্রীয় এবং ঢাকা মহানগর নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এই বিভাগের আরো খবর