রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৪৯

জাতির সব অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে সরকার : ফখরুল

প্রকাশিত: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৯  


বর্তমান সরকার বাংলাদেশ ও জাতির সব অর্জন ধ্বংস করে দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ শনিবার শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে রাজধানীর মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার নানা ষড়যন্ত্রে বিএনপিকে নির্মূল করার চেষ্টা করছে। জনগণের অধিকার বিহীন এই রাষ্ট্রে মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন নষ্ট হয়ে গেছে। গণতান্ত্রিক চেতনাও ধ্বংসের মুখে। তাই, গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে, দেশবাসীর প্রতি জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বিজয়ের ঠিক পূর্ব মুহূর্তে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। দেশের যারা শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবী, যারা দেশ গঠন করবেন তাদের নির্মূল করে দিতে চেয়েছিল পাক হানাদার বাহিনী। কিন্তু তাদের প্রচেষ্টার পরও ১৬ ডিসেম্বর দেশ স্বাধীন হয়েছিল। স্বাধীনতার ৪৯ বছর পরও বাংলাদেশ স্বাধীন সার্বভৌম দেশ হিসেবে টিকে আছে। কিন্তু আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধের ঘোষণা দিয়েছিলেন তাঁর সহধর্মিণী, যিনি স্বাধীনতা যুদ্ধে পাক হানাদার বাহিনীর হাতে বন্দি হয়েছিলেন তাঁকে আজ কারাগারে থাকতে হচ্ছে। আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং গণতন্ত্র রক্ষার জন্য যে দেশ স্বাধীন হয়েছিল সেই দেশকে এই অগণতান্ত্রিক সরকার খান খান করে দিয়েছে।

বিএনপি মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশের এবং জাতির সব অর্জনকে ধ্বংস করে দিয়েছে এই সরকার। আমরা আজকে গণতন্ত্রবিহীন জনগণের অধিকার বিহীন একটা অবস্থায় বসবাস করছি। আজকে যখন আমাদের নেত্রী কাররাগারে, আমাদের নেতাকর্মীরা কারাগারে, এদিকে এই সরকার মিথ্যা মামলা দিয়ে সব গণতান্ত্রিক দলকে স্তব্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। আমাদের সমস্ত জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে নামতে হবে। আজকের এই দিনে বুদ্ধিজীবীদের পথ অনুসরণ করে দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বকে রক্ষা করার জন্য এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনার জন্য আমরা আমাদের সংগ্রামের আরো গতি বাড়াব। ইনশা আল্লাহ জনগণকে সঙ্গে নিয়ে আমরা বিজয় অর্জন করব।

ভারতের এনআরসি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মির্জা ফখরুল বলেন, এনআরসির বিষয় নিয়ে আমরা প্রথম থেকে বলছি যে, এই বিষয় নিয়ে আমরা উদ্বিগ্ন। এনআরসি আমাদের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্বের জন্য হুমকি বলে আমরা মনে করছি। আজকে যে অবস্থা তৈরি হয়েছে এই অবস্থা শুধু বাংলাদেশে নয়, সমগ্র উপমহাদেশে একটা অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করবে। উপমহাদেশের অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি, উদারপন্থী রাজনীতিকে ধ্বংস করে দিয়ে একটা সাম্প্রদায়িক রাজনীতি প্রতিষ্ঠিত করার প্রয়াস চালানো হচ্ছে।

বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন ও সেলিমা রহমান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আমানউল্লাহ আমান ও হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিবুন নবী খান সোহেল ও ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বিএনপি নেতা ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, ডা. আবদুস সালাম, কামরুজ্জামান রতন, আমিনুল ইসলাম, আমিরুল ইসলাম খান আলীম, নাজিম উদ্দিন আলম, খন্দকার মারুফ হোসেন, বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার, আবুল বাশার, আনোয়ার হোসেন, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আহসান উল্লাহ হাসান, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি শফিউল বারী বাবু, সিনিয়র সহসভাপতি গোলাম সারোয়ার, যুগ্ম সম্পাদক সাইফুল ইসলাম ফিরোজ, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুবদল উত্তরের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জগলুল হাসান পাপেল প্রমুখ।

এই বিভাগের আরো খবর