রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৮ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৮৩

ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে ৩২ নেতার অব্যাহতি

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৮ ডিসেম্বর ২০১৯  

 

গঠনতন্ত্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়িত থাকার অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২১ নেতাকে অব্যাহতি দিয়েছে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ। একই সঙ্গে ১১ নেতার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদেরও সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। ৩২টি পদ শূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।

মঙ্গলবার রাতে ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল-না‌হিয়ান খান জয় ও ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যের স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

অব্যাহতি পাওয়াদের মধ্যে রয়েছেন ১৮ জন সহসভাপতি, ধর্ম সম্পাদক, দপ্তর সম্পাদক, দুজন উপদপ্তর সম্পাদক, দুজন উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক, তিনজন সহসম্পাদক, স্বাস্থ্য সম্পাদক, দুজন উপস্বাস্থ্য সম্পাদক, উপপ্রচার সম্পাদক ও উপপাঠাগার সম্পাদক।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের কতিপয় নেতার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের সত্যতা প্রমাণ সাপেক্ষে নিম্নোক্ত পদধারীদের বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক পদসমূহ শূন্য ঘোষণা করা হলো।

তাঁরা হলেন—ছাত্রলীগের সহসভাপতি তানজিল ভূঁইয়া তানভির, আরেফিন সিদ্দিক সুজন, আতিকুর রহমান খান, বরকত হোসেন হাওলাদার, শাহরিয়ার কবির বিদ্যুৎ, সা‌দিক খান, সোহানী হাসান তিথী, মুনমুন নাহার বৈশাখী, আবু সাঈদ (সাস্ট), রুহুল আমিন, রাকিব উদ্দিন, সোহেল রানা ও ইসমাইল হোসেন তপু; দপ্তর সম্পাদক আহসান হাবীব, ধর্ম সম্পাদক তাজ উদ্দীন, উপদপ্তর সম্পাদক ম‌মিন শাহ‌রিয়ার, উপদপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আব্দুল্লাহ বিন মুন্সি, উপসংস্কৃ‌তিক সম্পাদক বি. এম. লি‌পি আক্তার, উপসাংস্কৃতিক সম্পাদক আফ‌রিন লাব‌নী, সহসম্পাদক সা‌মিয়া সরকার ও রনি চৌধুরী।

আরেকটি সংবাদ বিজ্ঞ‌প্তিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের এক জরুরি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানানো যাচ্ছে, কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নিম্নোক্ত নেতৃবৃন্দের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ থেকে অব্যাহতি প্রদানপূর্বক পদ শূন্য ঘোষণা করা হলো। তাঁরা হলেন—সহসভাপতি এস এম তৌফিকুল হাসান সাগর, আমিনুল ইসলাম বুলবুল, বি. এম. শাহরিয়ার হাসান, হাফিজুর রহমান ও এস. এম. হাসান আতিক, স্বাস্থ্য সম্পাদক শাহরিয়ার ফেরদৌস, উপস্বাস্থ্য সম্পাদক রাতুল সিকদার ও শা‌ফিউল সা‌জিব, উপপ্রচার সম্পাদক সিজাদ আরেফিন শাওন, উপপাঠাগার সম্পাদক রুশী চৌধুরী ও সহসম্পাদক আঞ্জুমানারা অনু।

গত বছরের ১১ ও ১২ মে ছাত্রলীগের ২৯তম জাতীয় সম্মেলনের আড়াই মাস পর ৩১ জুলাই রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভনকে সভাপতি ও গোলাম রাব্বানীকে সাধারণ সম্পাদক করে সংগঠনের আংশিক কমিটি ঘোষিত হয়। এর প্রায় এক বছর পর গত ১৩ মে ছাত্রলীগের ৩০১ সদস্যের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষণা করা হয়। এই কমিটি ঘোষণার দিন থেকেই কমিটি পুনর্গঠনের দাবি তোলেন পদবঞ্চিত ও কাঙ্ক্ষিত পদ না পাওয়া ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা।

ওই সময় বিক্ষুব্ধরা ছাত্রলীগের নতুন পূর্ণাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটিতে স্থান পাওয়া ৯৭ জনকে ‘বিতর্কিত’ দাবি করে তাঁদের একটি তালিকাও প্রকাশ করেন।

তাঁদের অভিযোগ ছিল, এ তালিকার কেউ বিবাহিত, কেউ অনুপ্রবেশকারী, কেউ মাদকসেবী, কেউ মামলার আসামি, কারো বয়স পেরিয়ে গেছে, কেউ চাকরিজীবী, কেউ ছাত্রদল কিংবা শিবির থেকে আসা।

এর কিছুদিন পর বিভিন্ন অভিযোগে ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি রেজওয়ানুল হক চৌধুরী শোভন ও সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানীকে সংগঠন থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।

এই বিভাগের আরো খবর