রোববার   ১১ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৭ ১৪৩২   ১৩ জ্বিলকদ ১৪৪৬

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২৮২

ইলেকট্রনিক মিডিয়া কর্মীরা ওয়েজবোর্ডে কেন নয়: হাইকোর্ট

প্রকাশিত: ১২ নভেম্বর ২০১৯  

 

ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীদের নবম ওয়েজবোর্ডসহ পরবর্তী ওয়েজ বোর্ডগুলোর আওতায় আনার নির্দেশ কেন দেয়া হবে না- তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। তথ্য সচিব ও শ্রম সচিবকে চার সপ্তাহের মধ্যে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া নবম ওয়েজবোর্ডের প্রজ্ঞাপনে মন্ত্রিপরিষদের তিনটি সুপারিশ কেন বেআইনি হবে না- তাও জানতে চেয়েছেন হাইকোর্ট।

একটি রিটের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্টের একটি দ্বৈত বেঞ্চ আজ এ রুল জারি করে আদেশ দেন।

গত বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক হাসান ফেরদৌস রিটটি দায়ের করেন। রিটে মন্ত্রিসভার সুপারিশ প্রজ্ঞাপনে থাকা অন্যান্য সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক দাবি করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল, সঙ্গে ছিলেন আইনজীবী নুরুল করিম।

আইনজীবী তীর্থ সলিল পাল বলেন, নবম ওয়েজবোর্ডে প্রকাশিত প্রজ্ঞাপনের দ্বাদশ অধ্যায়ে মন্ত্রিসভার তিনটি সুপারিশ রয়েছে। সেগুলো হলো সংবাদকর্মীরা আয়কর দেবেন, এক মাসের গ্র্যাচুইটি পাবেন ও নবম ওয়েজবোর্ড পর্যায়ক্রম অনুসরণযোগ্য। অথচ প্রজ্ঞাপনে আছে সংবাদকর্মীরা দু’টি গ্র্যাচুইটি পাবেন। এ সুপারিশ গেজেটে থাকা সিদ্ধান্তের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

এ ছাড়া পঞ্চম ওয়েজ বোর্ড নিয়ে করা মামলার রায়ে এসেছে, সংবাদকর্মীদের আয়কর দেবেন সংবাদপত্রের মালিক। তাই মন্ত্রিসভার ওই সুপারিশ আইন সমর্থন করে না। এমনকি কাউকে একবার কোনো অধিকার দেয়া হলে আইন অনুসারে তা খর্ব করা যায় না।

এ আইনজীবী আরও বলেন, শ্রম বিধিমালায় গণমাধ্যমের ব্যাখ্যায় ইলেকট্রনিক মিডিয়াও আছে। তাই তাদের ওয়েজবোর্ডের আওতায় আনার নির্দেশনাও চাওয়া হয় রিটে।

এই বিভাগের আরো খবর