বুধবার   ১৯ নভেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
১৭

মৃত্যুদণ্ডের পরে আ.লীগের ভবিষ্যৎ কোনদিকে—জল্পনা তুঙ্গে

নিজস্ব প্রতিবেদক

প্রকাশিত: ১৯ নভেম্বর ২০২৫  

আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের পর দলটির ভবিষ্যৎ রাজনীতি কোনদিকে যাবে—এ নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে জোর আলোচনা চলছে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, রায়ের পর আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব ও টিকে থাকার সম্ভাবনা ঘিরে অনিশ্চয়তা আরও গভীর হয়েছে।

 

আইন মেনে বিচার সম্পন্ন হলেও হাসিনা ভারতে অবস্থান করায় রায় কার্যকরের পথে বাধা রয়েছে। তবে দলটির সামনে এখন সবচেয়ে বড় প্রশ্ন—কে নেতৃত্ব দেবে এবং দলটি আদৌ বর্তমান দুর্বল অবস্থায় টিকে থাকতে পারবে কি না। সম্ভাব্য নেতৃত্ব হিসেবে সাবেক স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরী, সাবের হোসেন চৌধুরী এবং নারায়ণগঞ্জের সাবেক মেয়র সেলিনা হায়াৎ আইভীর নাম রাজনৈতিক আলোচনায় রয়েছে। তবে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হাসিনার ‘সবুজ সংকেতের’ ওপর নির্ভর করবে বলেই অনেকের মত।

 

বিশ্লেষকরা বলছেন, আওয়ামী লীগকে টিকে থাকতে হলে অতীতের ভুল ও দায় স্বীকার করে নতুন, পরিষ্কার ইমেজের নেতৃত্ব সামনে আনতে হবে—প্রয়োজনে জাতীয় পুনর্মিলন বা ‘রি-কনসিলিয়েশন’ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। দক্ষিণ আফ্রিকার উদাহরণ টেনে বলা হচ্ছে, বিচার চলবে, তবে নির্দোষ কর্মীরা রাজনৈতিক কাজের সুযোগ পাবেন।

 

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, হাসিনার ব্যক্তিগত নেতৃত্ব ছাড়া আওয়ামী লীগের শক্তি উল্লেখযোগ্যভাবে কম দেখা গেছে। রায় ঘোষণার সময় দলটির মাঠ-পর্যায়ের তৎপরতা খুবই সীমিত ছিল, যা সংগঠনের দুর্বলতা স্পষ্ট করেছে।

 

দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী সভাপতির অনুপস্থিতিতে সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যকে দায়িত্ব দেওয়ার বিধান থাকলেও বর্তমানে অনেক শীর্ষ নেতা জেলে, পলাতক বা অসুস্থ। এতে নেতৃত্বের সংকট আরও প্রকট হয়েছে।

 

রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শেখ হাসিনা আগেই বলেছিলেন—তার পরিবারের কাউকে দল পরিচালনা করতেই হবে এমন নয়। ফলে ভবিষ্যৎ নেতৃত্ব পুরোপুরি নতুন কারও হাতে যেতে পারে—এমনটিও অনেকের ধারণা।

 

রাজনৈতিক বাস্তবতা বলছে—আওয়ামী লীগের সামনে এখন কঠিন পরীক্ষা। তারা কি নতুন নেতৃত্বে দাঁড়িয়ে ঘুরে দাঁড়াতে পারবে, নাকি দলটির রাজনীতি আরও দুর্বল হবে—তা সময়ই বলে দেবে।

 

এই বিভাগের আরো খবর