শুক্রবার   ০৩ অক্টোবর ২০২৫   আশ্বিন ১৭ ১৪৩২   ১০ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২২

নিষেধাজ্ঞা তোলার বিষয়ে ড. ইউনূসের জবাবটা আরো ভালো হতে পারত

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ২ অক্টোবর ২০২৫  

রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘রাজনৈতিক দলের নিষেধাজ্ঞা সরকার চাইলেই তুলে নিতে পারে কি না, এই প্রশ্নের জবাবটা ড. ইউনূস ডিপ্লোম্যাটিকলি বেটার দিতে পারতেন। আমরা এভাবে যদি বলি, উনি চাইলে এটা বলতে পারতেন যে আওয়ামী লীগের বিচার হবে আইসিটিতে। সেই বিচারের যখন রায় হবে, সেটাই নির্ধারিত হবে সে দল হিসেবে থাকবে, নাকি থাকবে না।’

 

বৃহস্পতিবার (০২ অক্টোবর) ব্যক্তিগত ইউটিউব চ্যানেলে এক ভিডিওতে তিনি এসব কথা বলেন।

 

ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, ‘সরকার চাইলে আওয়ামী লীগের নিষেধাজ্ঞা কালি তুলে নিতে পারে। কেন? আমরা জানি আওয়ামী লীগকে বিচারের কথা হচ্ছে। আইসিটি যে আইন আছে তাতে আওয়ামী লীগের সময়ই সংগঠনের বা দলের বিচারের অপশন ছিল। এই সরকার সেটা রেখেছিল এবং তাতে শাস্তি যুক্ত করে উপদেষ্টা পরিষদ উত্থাপন করা হয়।

 


সারপ্রাইজিংলি উপদেষ্টা পরিষদ সেটা বাদ দিয়ে দেয়। মানে দলকে বিচার করা যাবে না।’


 
তিনি বলেন, ‘আমাদের মনে আছে নিশ্চয়ই, জনাব হাসনাত আব্দুল্লাহর নেতৃত্বে একটা আন্দোলন অনুষ্ঠিত হয়। সেই আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে সংগঠনকে বিচার করা যাবে বলে আবার আইসিটিতে ঢোকানো হয়।


আরেকটা কাজ করা হয়, সেটা হচ্ছে ২০০৯ সালের যে সন্ত্রাস দমন আইন, সেখানে একটা ধারাযুক্ত করে বলে দেওয়া হয় যে চাইলে কোনো দলের কর্মকাণ্ড বা কর্মসূচি নিষিদ্ধ করা যাবে। তার মানে আওয়ামী লীগের কর্মকাণ্ড-কর্মসূচি নিষিদ্ধ আছে এক্সিকিউটিভ অর্ডারে। কোনো বিচার বিভাগীয় সিদ্ধান্ত না।’

 

এই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বলেন, ‘আইসিটিতে এখনো আওয়ামী লীগের ব্যাপারে ফরমাল কোনো চার্জ আনা হয়নি। ইনভেস্টিগেশন ও বিচার তো দূরেরই কথা।


তার মানে আওয়ামী লীগের বিচার, অভিযোগ তৈরি করা, মামলা করা, ইনভেস্টিগেট করা, হিয়ারিং হওয়া—এগুলো হতে হতে এই নির্বাচনটা থাকছে না। আর সরকার যেহেতু এক্সিকিউটিভ অর্ডারে আওয়ামী লীগের কর্মসূচি নিষিদ্ধ করেছে, সেই কারণে আওয়ামী লীগের পক্ষে তো নির্বাচনে পার্টিসিপেট করা সম্ভব না।’

এই বিভাগের আরো খবর