শনিবার   ১৮ অক্টোবর ২০২৫   কার্তিক ৩ ১৪৩২   ২৫ রবিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৩৪

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা রক্ষায় সতর্ক করল আইএমএফ

তরুণ কণ্ঠ রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৮ অক্টোবর ২০২৫  

বিশ্ব অর্থনীতির অনিশ্চিত পরিস্থিতিতে নীতি শৃঙ্খলা বজায় রাখা ও কেন্দ্রীয় ব্যাংকের স্বাধীনতা রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে **আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)**। সংস্থাটি সতর্ক করেছে, রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও আর্থিক শৃঙ্খলার ঘাটতি বৈশ্বিক স্থিতিশীলতার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠছে।

 

ওয়াশিংটন ডিসিতে অনুষ্ঠিত আইএমএফের বার্ষিক সভায় ১৬ অক্টোবর সংস্থাটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক **ক্রিস্টালিনা জর্জিয়েভা** প্রকাশ করেন ২০২৫ সালের *গ্লোবাল পলিসি এজেন্ডা* শীর্ষক প্রতিবেদন। এতে বলা হয়, “উচ্চ ঋণ, দুর্বল রাজস্ব শৃঙ্খলা এবং রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ বিশ্ব অর্থনীতির স্থিতিশীলতাকে বিপন্ন করছে।”

 

প্রতিবেদনটি উল্লেখ করে, বৈশ্বিক অর্থনীতি বর্তমানে এক গভীর রূপান্তরের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, যেখানে বিদ্যমান কাঠামোর বড় পরিবর্তন দেশগুলোর স্থিতিস্থাপকতা পরীক্ষা করছে। এই পরিবর্তনের সময় সরকারগুলোর প্রধান দায়িত্ব হচ্ছে সামষ্টিক অর্থনৈতিক ও আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখা।

 

আইএমএফের মতে, দেশগুলোকে আস্থা পুনরুদ্ধার ও টেকসই উন্নয়নের জন্য কঠোর আর্থিক সংস্কার নিতে হবে। অপচয় রোধ, করব্যবস্থার দক্ষতা বৃদ্ধি এবং শিক্ষা, অবকাঠামো ও উদ্ভাবনে বিনিয়োগের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে।

 

সংস্থাটি স্পষ্টভাবে বলেছে, **রাজনৈতিক চাপ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিকে দুর্বল করে, মুদ্রার মান কমায় এবং মূল্যস্ফীতি বাড়ায়।** তাই কেন্দ্রীয় ব্যাংককে তার মূল লক্ষ্য—মূল্যস্থিতি রক্ষা—অবাধে বাস্তবায়নের সুযোগ দিতে হবে।

 

আইএমএফের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,

> “মুদ্রানীতির বিশ্বাসযোগ্যতা আস্থা তৈরি করে এবং ঋণের খরচ কমায়। বিশ্বস্ত নীতি ও স্বাধীন প্রতিষ্ঠানই জনআস্থার মূল ভিত্তি।”

 

ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক আউটলুকে সংস্থাটি আরও সতর্ক করেছে যে, নতুন বাণিজ্য শুল্ক আরোপ মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণকে কঠিন করে তুলতে পারে। তাই বিনিময় হারকে বাজারের প্রাকৃতিক ভারসাম্য হিসেবে কাজ করতে দিতে হবে এবং প্রয়োজনে সীমিত হস্তক্ষেপই যথেষ্ট।

 

উপসংহারে আইএমএফ বলেছে,

> “শক্তিশালী প্রতিষ্ঠান, বিশ্বাসযোগ্য নীতি ও স্বাধীন মুদ্রানীতি—এই তিনটিই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার স্তম্ভ।”
 

 

এই বিভাগের আরো খবর