শনিবার   ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২১ ১৪৩২   ১৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho

কর্মবিরতি কি প্রত্যাহার? নাকি কেবল `শাটডাউন` স্থগিত হলো?

ইমাম হোসেন

প্রকাশিত: ৬ ডিসেম্বর ২০২৫  

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের লাগাতার কর্মবিরতি ও পরীক্ষা বর্জন কর্মসূচিতে ছেদ পড়ল। আগামীকাল রোববার (৭ ডিসেম্বর) থেকে সারাদেশের প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে স্থগিত হয়ে যাওয়া বার্ষিক পরীক্ষা পুনরায় শুরু হচ্ছে। তবে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে শিক্ষক আন্দোলনের নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে সরকারের শাস্তিমূলক বদলির পদক্ষেপের পর।

 

প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ স্পষ্ট জানিয়েছে, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবনের ক্ষতি না করার মানবিক দিক বিবেচনা করেই তারা পরীক্ষা শুরু করতে রাজি হয়েছেন। তবে দাবি আদায়ের অন্যান্য কর্মসূচি পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।

 

 

আন্দোলনের নেতৃত্ব দেওয়া শিক্ষক নেতাদের মতে, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের আকস্মিক বদলি আদেশই এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। গত বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আদেশে আন্দোলনের পাঁচ শীর্ষ নেতা (খায়রুন নাহার লিপি, শামছুদ্দিন মাসুদ, আবুল কাশেম, মাহবুবর রহমান ও মো. মনিরুজ্জামানসহ) ৪২ জন সহকারী শিক্ষককে ভিন্ন জেলায় বদলি করা হয়।

 

  • শামছুদ্দিন মাসুদ (পরিষদের অন্যতম আহ্বায়ক) বলেন, "কোমলমতি শিক্ষার্থীরা আমাদেরই সন্তান। তাদের ক্ষতি আমরা চাই না। আন্দোলনের অন্যান্য কর্মসূচি চলমান থাকবে, তবে পরীক্ষাকে আওতামুক্ত রাখা হবে।"

  • মাহবুবর রহমান (আহ্বায়ক) বলেন, কর্মবিরতি চললেও কমপ্লিট শাটডাউন বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি বার্ষিক পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়া পর্যন্ত স্থগিত করা হলো।

 

 

দীর্ঘদিন ধরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা তিন দফা দাবিতে আন্দোলন করে আসছেন। তাঁদের মূল দাবি হলো, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের মতো সহকারী শিক্ষকদেরও দশম গ্রেডের মর্যাদা দিতে হবে। বর্তমানে সহকারী শিক্ষকরা ১৩তম গ্রেডে বেতন-ভাতা পাচ্ছেন, যা নিয়ে তাঁদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ রয়েছে।

 

শিক্ষক নেতারা জানিয়েছেন, সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডের মর্যাদা প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তাঁদের আন্দোলন থামবে না।

 

এই বিভাগের আরো খবর