বৃহস্পতিবার   ০২ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২১৭

বিরামপুরে শীতকালীন শাক-সবজি পরিচর্যা ও বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত কৃষক

নিজস্ব প্রতিবেদক    

প্রকাশিত: ৬ নভেম্বর ২০২১  

আগাম শাক-সবজি বিক্রিতে অধিক দাম পাওয়ায় কৃষকরা লাভবান হচ্ছেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মাঠে মাঠে আগাম রোপনকৃত শাক-সবজির ক্ষেত পরিচর্যা করছেন কৃষকরা। আমন ধানের পাশাপাশি ফসলের মাঠ জুড়ে শোভা পাচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, লাউ, শিম, বেগুন, মুলা, করলা, পটল, পালং শাক, লাল শাক, মুলা শাক সহ হরেক রকমের শাক-সবজি। অনেক ক্ষেত থেকে শাক-সবজি তুলে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। শীতের শুরুতে আগাম শাক-সবজি কৃষকরা বাড়তি দামে বাজারে বিক্রি করতে পারছেন।

নতুন শাক-সবজি পেয়ে ক্রেতারাও বেশ খুশি। এই এলাকার সবজি পার্শ্ববর্তী উপজেলা সহ দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হয়। উপজেলার দাশআড়া গ্রামের কৃষক সেকেন্দার আলী জানান, কম খরচে এবং অল্প সময়ের মধ্যে শাক-সবজি তুলে বাজারজাত করা যায়। আর আগাম সবজিতে দামও পাওয়া যায় ভাল। একারণে এলাকার কৃষক আগাম শাক-সবজি চাষে ঝুঁকে পড়েছেন। ভবানীপুর গ্রামের কৃষক আফজাল হোসেন জানান, আগাম শাক-সবজি চাষে অধিক শ্রম দিতে হলেও বাজারে দাম ভাল পাওয়ায় কৃষকরা অধিক লাভবান হচ্ছেন। আর এবার আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় মাঠে অধিক ফসল উৎপাদন হচ্ছে। 

শনিবার (৬ নভেম্বর) বিরামপুর পৌর হাটে সবজি বিক্রি করতে আসা সারাঙ্গপুর গ্রামের চাষী তরিকুল জানান, তিনি প্রতিমন বেগুন ২ হাজার টাকা দরে বিক্রি করেছেন। ফুলকপি চাষী রহমত আলী জানান, তিনি ১৬শ’ টাকা মন দরে ফুলকপি বিক্রি করেছেন। আগাম চাষে ভাল ফলন ও অধিক দাম পাওয়ায় চাষীরা খুশি। 

উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ নিকছন চন্দ্র পাল জানান, চলতি মৌসুমে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের শীতকালীন শাক-সবজি চাষ হয়েছে এবং আরো অনেক জমিতে শাক-সবজি রোপন অব্যাহত আছে। শীতকালীন শাক-সবজি চাষে উচ্চ ফলনশীল নতুন নতুন জাত আসায় এ আবাদে চাষীরা লাভবান হচ্ছেন। এবার অনুকুল আবহাওয়া থাকায় চাষীরা ভাল ফলন পাচ্ছে। কৃষি বিভাগ থেকে চাষ পদ্ধতি, রোগ বালাই প্রতিরোধসহ সার্বিক বিষয়ে চাষীদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।

এই বিভাগের আরো খবর