শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
৯৫

আজকের নামাজের সময়সূচি : ১৯ মার্চ ২০২৩

ধর্ম ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৯ মার্চ ২০২৩  

মুসলমানদের ওপর দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করা ফরজ। মানুষ যেখানে থাকুক না কেন— সময়মতো নামাজ আদায় করতেই হয়। এই ব্যাপারে আল্লাহ তাআলা পবিত্র কোরআনুল কারিমে ইরশাদ করেন, ‘নামাজ মুমিনের জন্য নির্দিষ্ট সময়ে ফরজ।’ (সুরা নিসা, আয়াত : ১০৩)

তাই কোনো ধরনের ওজর বা অপারগতা ছাড়া কোনো নামাজ সময় চলে যাওয়ার পর আদায় করা— জায়েজ নেই। কেউ ইচ্ছাকৃত সময়মতো নামাজ আদায় না করলে, তাকে গুনাহগার হতে হবে। (সহিহ বুখারি, হাদিস : ৪৯৬)

প্রত্যেকের উচিত নামাজের সঠিক সময় জেনে ঠিকমতো নামাজ পড়া। আজ রোববার, ১৯ মার্চ ২০২৩ ইংরেজি, ০৫ চৈত্র ১৪২৯ বাংলা, ২৬ শাবান ১৪৪৪ হিজরি। ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার নামাজের সময়সূচি তুলে ধরা হলো-

নামাজের সময়সূচি

ফজর- ৪:৫১ মিনিট।
জোহর- ১২:১০ মিনিট।
আসর- ৪:২৭ মিনিট।
 মাগরিব- ৬:১৩ মিনিট।
 ইশা- ৭:২৫ মিনিট।

নামাজের নিষিদ্ধ সময়

সূর্যোদয় - ৬:০৪ - ৬:১৯
দুপুর- ১২:০১ - ১২:০৬
সূর্যাস্ত-৬:০৯ - ৬:১২

নামাজের নিষিদ্ধ সময়গুলোতে ফরজ, ওয়াজিব ও নফল কোনো ধরনের নামাজ আদায় করা জায়েজ নেই। এমনকি কাজা নামাজও পড়া যাবে না। তবে এ সময় জানাজা এলে— তা আদায় করতে পারবে, তবে তা মাকরুহ হবে। অনুরূপ কোনো ব্যক্তি যদি এ সময় আয়াতে সিজদা পাঠ করে, তাহলে তিনি সিজদায়ে তিলাওয়াত আদায় করতে পারবেন; কিন্তু তা মাকরুহ হবে। (তিরমিজি, হাদিস : ১৫৬; সহিহ বুখারি, হাদিস : ১২৩১; মুসলিম, হাদিস : ১৩৭৩; সুরা মুহাম্মদ, আয়াত : ৩৩)

নফল নামাজের সময়

তাহাজ্জুদ,সাহরী (শেষ) -৪:৪৪
ইশরাক- ৬:২০ - ১২:০০
চাশত -৬:২০ - ১২:০০

নফল নামাজের বিশেষ সওয়াব রয়েছে। হাদিসে বর্ণিত হয়েছে, ‘তুমি বেশি বেশি সিজদা করো (নফল নামাজ)। কেননা তোমার প্রতিটি সিজদার বিনিময়ে আল্লাহ তোমার একটি মর্যাদা বৃদ্ধি করবেন এবং একটি গুনাহ মিটিয়ে দেবেন।’ -(সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৪৮৮)

সূর্যোদয় ও সূর্যাস্ত

আজ সূর্যাস্ত- ৬:০৯ মিনিট।
আজ সূর্যোদয়- ৬:০৪ মিনিট।

বিভাগীয় শহরের জন্য উল্লেখিত সময়ের সঙ্গে যেসব বিভাগে সময় যোগ-বিয়োগ করতে হবে, তাহলো-

বিয়োগ করতে হবে-

চট্টগ্রাম: -০৫ মিনিট।
সিলেট: -০৬ মিনিট।

যোগ করতে হবে-

খুলনা: +০৩ মিনিট।
রাজশাহী: +০৭ মিনিট।
রংপুর: +০৮ মিনিট।
বরিশাল: +০১ মিনিট।

নামাজ না পড়ার শাস্তি

নামাজ না পড়লে কঠিন শাস্তির হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন আল্লাহ তায়ালা। বর্ণিত হয়েছে, কেয়ামতের দিন জাহান্নামীদের জিজ্ঞাসা করা হবে— ‘কেন তোমরা সাকার নামক জাহান্নামে এলে? তারা বলবে, আমরা তো নামাজি ছিলাম না এবং আমরা মিসকিনদের খাবার দিতাম না; বরং আমরা সমালোচনাকারীদের সঙ্গে সমালোচনায় নিমগ্ন থাকতাম। এমনকি আমরা প্রতিদান দিবসকে (কেয়ামত) অস্বীকার করতাম। আর এভাবেই হঠাৎ আমাদের মৃত্যু এসে গেল।’ (সুরা মুদ্দাসসির, আয়াত : ৩৮-৪৭)