বুধবার   ১০ ডিসেম্বর ২০২৫   অগ্রাহায়ণ ২৫ ১৪৩২   ১৯ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

তরুণ কণ্ঠ|Torunkantho
২০

গাজার `হলুদ রেখা` হবে নতুন সীমান্ত: ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশিত: ৯ ডিসেম্বর ২০২৫  

ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান এক বিস্ফোরক ঘোষণায় জানিয়েছেন, গাজা উপত্যকার চারপাশে চিহ্নিত ‘হলুদ রেখা’ (Yellow Line) থেকে ইসরায়েলি সেনারা সরবে না। বরং, এই রেখাটিকেই ইসরায়েলের নতুন সীমান্ত হিসেবে বিবেচনা করা হবে। এটি যুদ্ধবিরতি বা ভবিষ্যতের শান্তি আলোচনাকে আরও জটিল করে তুলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

 

 

ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধান এই গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণাটি দিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য অনুযায়ী, গাজার চারপাশে থাকা এই চিহ্নিত 'হলুদ রেখা' এখন থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর সামরিক নিয়ন্ত্রণে থাকবে এবং এটিকে আর সাময়িক সামরিক অবস্থান হিসেবে দেখা হবে না।

 

বাহিনী প্রধানের এই মন্তব্য স্পষ্ট ইঙ্গিত দেয় যে, গাজা উপত্যকার সীমানা এবং সামরিক উপস্থিতি নিয়ে ইসরায়েল একটি একতরফা ও কঠোর অবস্থান নিয়েছে। 'হলুদ রেখা' মূলত গাজার সীমান্ত এলাকাকে নির্দেশ করে, এবং এই এলাকা থেকে সেনা প্রত্যাহার না করার অর্থ হলো ইসরায়েল ভবিষ্যতে এই অঞ্চলকে নিজেদের স্থায়ী নিরাপত্তা বলয়ের অংশ হিসেবে ধরে রাখতে চাইছে।

 

এই সিদ্ধান্তটি গাজা সংঘাতের পটভূমিতে একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মোড় হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে, যেখানে যুদ্ধ শেষ হলেও ইসরায়েল গাজার ভূখণ্ডগত সীমারেখায় কোনো পরিবর্তন আনতে রাজি নয়।

 

 ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধানের পক্ষ থেকে 'হলুদ রেখা'কে নতুন সীমান্ত হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে, যা মূলত ইসরায়েলি সামরিক নীতি এবং কৌশলগত অবস্থানের প্রতিফলন। 

 

ইসরায়েলি বাহিনী নিশ্চিত করেছে যে তারা এই 'হলুদ রেখা' এলাকা থেকে তাদের সেনা প্রত্যাহার করবে না এবং সেখানে তাদের সামরিক উপস্থিতি বজায় থাকবে।

 

 

ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধানের এই ঘোষণাটি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের  কাছে একটি কড়া বার্তা হিসেবে পৌঁছেছে। যদিও আন্তর্জাতিক পক্ষ বা ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ এই ঘোষণার বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে কিনা, তা এখনো স্পষ্ট নয়। তবে এই বক্তব্য শান্তি আলোচনার টেবিলে নতুন করে অচলাবস্থা তৈরি করতে পারে।

 

 

ইসরায়েলি বাহিনীর প্রধানের এই ঘোষণা আন্তর্জাতিক আইন এবং যুদ্ধ-পরবর্তী ভূখণ্ডগত স্থিতিশীলতার বিষয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন তুলেছে। গাজার সীমান্তকে এককভাবে 'নতুন সীমান্ত' হিসেবে ঘোষণা করা শান্তি চুক্তি ও দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের প্রচেষ্টাকে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।

গাজার সীমান্ত এলাকায় ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর স্থায়ী উপস্থিতি ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তা ও চলাফেরার স্বাধীনতাকে আরও সীমিত করবে, যা ওই অঞ্চলে ভবিষ্যতের সংঘাতের ঝুঁকি বাড়িয়ে দেবে।

 এই বক্তব্যের তীব্র প্রতিক্রিয়া দিতে পারে ফিলিস্তিন ও তাদের সমর্থক রাষ্ট্রগুলো, যা ইসরায়েলের সাথে আঞ্চলিক কূটনৈতিক সম্পর্ককে আরও খারাপের দিকে নিয়ে যেতে পারে।

এই বিভাগের আরো খবর