বিআরটিএ কর্মকর্তার ঘুষের টাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ,হয়রানির অভিযোগ
স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশিত : ০২:০২ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২০ বৃহস্পতিবার

দুর্নীতি ও ঘুষের টাকায় বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন বিআরটিএর সহকারি রাজস্ব কর্মকর্তা আব্দুস ছালাম চাকুরি শুরু থেকেই গ্রাহক সেবার নামে গ্রাহক হয়রানি ও ঘুষ দুর্নীতি যার নিত্য দিনের সঙ্গী আব্দুস সালাম ১৯৯২ সালে তৃতীয় শ্রেণি পদে চাকরি নেওয়ার পর থেকেই বে-পরোয়া হয়ে উঠেন গ্রাহক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারী কেহই তাহার অত্যাচার থেকে রেহাই পায়না অভিযোগ রয়েছে আব্দুস ছালাম তৃতীয় শ্রেণি কর্মচারী থাকাকালীন যশোর বিআরটিএ অফিসে ২০০৮ সালে ঘুষ নেওয়ার অপরাধে যৌথবাহিনী তাকে ঘুষের টাকাসহ হাতেনাতে গ্রেফতার করে আদালতে প্রেরণ করেন আদালত তাহার জামিন নামঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন। তিনি গত আট বছর যাবত বিভিন্ন ভাবে প্রভাব খাটিয়ে বিআরটিএ মিরপুর ও উত্তরা অফিসে তার রাজত্ব কায়েম করেন। এর পাশাপাশি তিনি উত্তরা দিয়াবাড়ি ছয় কাঠা জমির উপর ৯,তলা বিশিষ্ট বহুতল ভবন নির্মাণ করছেন এবং অফিসে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করেই তিনি চলে যান তাহার নিজের বাড়ি নির্মাণ কাজ তদারকি করতে যার কারণে গ্রাহকদের ঘন্টার পর ঘন্টা তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। গ্রাহক হয়রানি ও তার দুর্ব্যবহার নিয়ে গত ২৮/১২/২০১৯ ইং তারিখে "দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন" পত্রিকার পেছনের পৃষ্ঠা প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় সরেজমিন তদন্ত গেলে তাহার ৩০৫নং কক্ষে একাধিক দালালের সাথে তাহার সখ্যতা লক্ষ করা যায়। এবং সেবা নিতে আসা একাধিক গ্রাহক তাহার বিরুদ্ধে বিভিন্ন রকমের হয়রানি ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করেন এবং তাহার সামনে থাকা দালালদের কাছে কৌশলে ছালাম সাহেবের বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন সালাম স্যারের কাছে কোন ফাইল দেখাতে গেলে আগেই টাকা খোঁজেন আমরা টাকা কম দিলে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করেন এবং গ্রাহক নিজে আসলে তখন শুরু হয় তাহার সকল নিয়ম কানুন আইনের বই বের করে আইন দেখানো হয় এবং গ্রাহকদের সাথে প্রায়ই ঝগড়া লেগে যায়। শুধু অফিসে নয় তিনি কিছুদিন আগে ব্যাংক লোনের জন্য সোনালী ব্যাংকের উত্তরা শাখায় গিয়ে সেখানেও ব্যাংক কর্মকর্তাদের সাথে তুমুল ঝগড়ায় জড়িয়ে পড়েন। তাহার এমন আচরণ ও দুর্ব্যবহারের বিষয়ে উত্তরা বিআরটিএর সহকারী পরিচালকের কাছে আব্দুস ছালামের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি কোনো প্রকার মন্তব্য করতে রাজি হননি।