সম্ভাবনাময় কক্সবাজারের শুটকি শিল্প
নিজস্ব প্রতিবেদক
কক্সবাজার সৈকত
প্রকাশিত : ০৪:৩৪ পিএম, ২৩ নভেম্বর ২০১৮ শুক্রবার
কক্সবাজার উপকূলে পুরোদমে চলছে শুঁটকি তৈরির কাজ। শুঁটকি তৈরিতে রাত-দিন ব্যস্ত সময় পার করছেন এখানকার শ্রমিকরা। এখানে উৎপাদিত শুঁটকি দেশের বিভিন্ন স্থানের পাশাপাশি বছরে কোটি টাকার শুটকি রফতানি হচ্ছে বিদেশে। প্রচলিত পদ্ধতিতে শুকানো এই শুঁটকি নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকলেও চাহিদা রয়েছে ব্যাপক।
৮০ দশকের শুরু থেকে কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক মহালসহ জেলার উপকূলীয় অঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় শুঁটকি উৎপাদন প্রক্রিয়া শুরু হয়। সেই থেকে এই এলাকার শুঁটকি দেশে ব্যাপক পরিচিতি পায়। এরপর সৌদি আরব, দুবাই, হংকং ও কুয়েতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই এলাকার শুঁটকি রফতানি প্রক্রিয়া শুরু করে ব্যবসায়ীরা।
কক্সবাজার শহরের বিশিষ্ট শুঁটকি ব্যবসায়ীরা জানান, কক্সবাজারের নাজিরার টেকে রয়েছে প্রায় এক হাজার শুঁটকি মহাল। যেখানে প্রতি সপ্তাহে ২ শত টন শুঁটকি যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন স্থানে। যার চাহিদা রয়েছে বিদেশেও।
কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন প্রায় ৮ থেকে ১০টি ট্রাক শুঁটকি ঢাকা ও চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এছাড়াও কক্সবাজারের শুঁটকি মহালের মাছের গুড়ি সারাদেশে পোল্ট্রি ফার্ম ও ফিস ফিডের জন্য সরবরাহ হয়ে থাকে।
কক্সবাজার জেলার ভারপ্রাপ্ত মৎস্য কর্মকর্তা মাইন উদ্দিন জানান, শহরের কুতুবদিয়াপাড়ার ১৬টি মহল্লার ৪০ হাজার জেলে ও শ্রমিক এ পেশার সঙ্গে জড়িত। এছাড়াও জেলার বিভিন্ন এলাকার ৫ হাজার পরিবার শুঁটকি ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত।
প্রতি বছর ৯ মাস পর্যন্ত এ মহালে শুঁটকি উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণ হয়ে থাকে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
