শনিবার   ১০ মে ২০২৫   বৈশাখ ২৭ ১৪৩২   ১২ জ্বিলকদ ১৪৪৬

সাহেদ কোনো কমিটির সদস্য না: আওয়ামীলীগ

প্রকাশিত : ০৭:৫৬ পিএম, ৮ জুলাই ২০২০ বুধবার

 

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ড. শাম্মী আহমেদ বলেছেন, ‘সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ করিমকে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক উপকমিটির সদস্য বলে প্রচার করা হচ্ছে। এই তথ্য সম্পূর্ণ মিথ্যা ও দলের বিরুদ্ধে অপপ্রচার। তিনি কমিটির সদস্য নন।’

আজ বুধবার দুপুরে শাম্মী আহমেদ এই কথা বলেন।

আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক বলেন, ‘আন্তর্জাতিক উপকমিটির তালিকা এখনো তৈরি হয়নি। আগে তালিকা করব তারপর দলীয় সাধারণ সম্পাদকের কাছে জমা দেওয়া হবে; এরপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাতে অনুমোদন দেবেন। কিন্তু যেখানে কমিটি জমাই দেওয়া হয়নি, সেখানে এমন যারা উপকমিটির সদস্য হিসেবে পরিচয় দেন, তারা মিথ্যা পরিচয়ই দেন।’

আওয়ামী লীগ নেতা, সরকারের প্রভাবশালী মন্ত্রী এমনকি তাঁর সঙ্গে রিজেন্ট হাসপাতালের মালিকের ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হওয়া প্রসঙ্গে ড. শাম্মী বলেন, ‘সাহেদ আমাদের বিভিন্ন কর্মসূচিতে বা সামাজিক অনুষ্ঠানে হাজির হতেন। সেই সুযেগে হয়তো কোনো ছবি তুলতে পারেন। এখন সবার হতেই মোবাইল ফোন আছে, যে কেউ কোনো অনুষ্ঠানে চাইলেই ছবি তুলতে পারেন। ছবি তুললেই তো কেউ সংগঠনের হয়ে যান না।’

উপকমিটিতে সাহেদের নাম রাখার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক  এনটিভি অনলাইনকে বলেন, ‘তার (সাহেদ) বিষয়ে আমাকে অনেকে অনুরোধ করেছেন। দলের অনেক নেতাকে দিয়েও আমাকে ফোন করিয়েছেন সাহেদ।’

“এক নেতাকে আমি বললাম, সাহেদের নামে অনেক অভিযোগ পাচ্ছি। জবাবে তিনি বললেন, বিএনপির বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে গিয়ে সাহেদ গুলি খেয়েছিল। এর পর থেকে সাহেদকে দেখলেই কেউ কেউ ‘গুলি সাহেদ’ বলে মন্তব্য করতেন”, যোগ করেন শাম্মী।

আওয়ামী লীগ নেতা আরো বলেন, ‘সাহেদকে শুরু থেকেই টাউট মনে হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন নেতাকে দিয়ে তদবির করার কারণে তার প্রতি সন্দেহ আরো বাড়ে। তাই কমিটি করলে সাহেদকে কমিটিতে রাখব না বলেই আগেই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। যদিও চলতি বছরের শুরুতে কমিটি জমা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নানা ব্যস্ততার কারণে আমি জমা দিতে পারিনি। এরপর তো করোনা শুরু হয়ে গেল।’

গতকাল মঙ্গলবার রিজেন্ট হাসপাতালে করোনা চিকিৎসার নামে প্রতারণাসহ নানা অভিযোগে সাহেদসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর উত্তরা পশ্চিম থানায় মামলা করা হয়েছে। এর মধ্যে আটক আটজনকে এই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আজ বুধবার রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।

রিজেন্ট হাসপাতালের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানটি সাড়ে প্রায় চার হাজার করোনা টেস্টের ভুয়া রিপোর্ট দিয়েছে। একজন কম্পিউটার অপারেটর বসে বসে সাড়ে চার হাজার রিপোর্ট তৈরি করেছেন। মনগড়া রিপোর্ট পজিটিভ-নেগেটিভ দিয়েছেন।

তা ছাড়া মোট ১০ হাজার রোগীর করোনা টেস্টের নমুনা সংগ্রহ করে রিজেন্ট হাসপাতাল। মাত্র চার হাজার ২৬৪টি নমুনা সরকারিভাবে টেস্ট করে রিপোর্ট দেয়। এ ক্ষেত্রে ভয়াবহ প্রতারণার কৌশল গ্রহণ করে রিজেন্ট হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। কারো জ্বর থাকলে তাকে পজিটিভ আর জ্বর না থাকলে নেগেটিভ রিপোর্ট প্রদান করে।