ফরিদপুরে অব্যাহতিপ্রাপ্ত নেতা নিজ গায়ে আগুন দিয়ে আত্মহত্যারচেষ্টা
এসএম আবুল বাশার` ফরিদপুর জেলা প্রতিনিধি :
প্রকাশিত : ০৩:১১ পিএম, ১ জুলাই ২০২০ বুধবার

- ফরিদপুর শহর আওয়ামী লীগের সদ্য অব্যাহতিপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বরকত আদালতে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে নিজের গায়ে আগুন ধরিয়ে ‘আত্মহত্যার চেষ্টা’ করেছেন। মঙ্গলবার আদালত প্রাঙ্গণে গ্যাস লাইটার দিয়ে নিজের লুঙ্গিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন তিনি। মঙ্গলবার বিকেলে ফরিদপুরের এক নম্বর আমলী আদালতের বিচারক মো. ফারুক হোসাইনের আদালতে সাত দিনে রিমান্ড আবেদন করলে আদালত একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও পৃথক মামলায় গ্রেপ্তার ফরিদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতির পদ থেকে অব্যাহতিপ্রাপ্ত ইমতিয়াজ হাসান রুবেলের। এর আগে একই আদালত পৃথক দুইটি চাঁদাবাজি মামলায় আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ করেন। ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা জানান, ফরিদপুর সদর আসনের সাংসদ খন্দকার মোশাররফ হোসেনের বদরপুরস্থ বাড়িতে চুরির ঘটনায় সাজ্জাদ হোসেন বরকতকে আসামি করে আদালতে জিজ্ঞাসাবাদের জন সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করা হয়। আদালত একদিনে মঞ্জুর করেন। অপরদিকে ইমতিয়াজ হাসান রুবলেকে দুলাল লস্করের দায়ের করা একটি চাঁদাবাজি মামলায় রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তাকেও একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করে।এদিকে মঙ্গলবার আদালতে বাথরুমে যাওয়ার কথা বলে সাজ্জাদ হোসেন গ্যাস লাইটার দিয়ে নিজের লুঙ্গিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। নব নির্মিত ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের চারতলায় এ ঘটনা ঘটে। তবে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত পুলিশ দ্রুত বিষয়টি দেখে ফেলে এবং আগুন নিভিয়ে ফেলে। এ ঘটনায় বরকতের লুঙ্গির কিছু অংশ পুড়ে গেলেও তার শরীরের কোন ক্ষতি হয়নি। ঘটনার সত্যাতা নিশ্চিত করে ফরিদপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামাল পাশা বলেন, এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে সাজ্জাদের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রসঙ্গত, গত ১৬ মে রাতে জেলা আ.লীগের সভাপতি সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে দুই দফা হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গত ১৮ মে সুবল সাহা অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে ফরিদপুর কোতয়ালী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। পরে গত ৭ জুন রাতে সুবল চন্দ্র সাহার বাড়িতে হামলা মামলার আসামি হিসেবে শহরের বদরপুরসহ বিভিন্ন মহল্লায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ শহর সাজ্জাদ হোসেন বরকত, ইমতিয়াজ হাসান রুবেলসহ মোট নয়জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ সময় আসামিদের জিম্মা থেকে পাঁচটি পিস্তল, ৯১ রাউন্ড গুলি, দুটি শর্টগান, ১৮০টি কার্তুজ, তিন হাজার ডলার, ৯৮ হাজার রুপি ও ২৯ লাখ টাকা, ৬০ হাজার কেজি চাল, ছয় বোতল বিদেশি মদ, ৬৫টি ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।