শুক্রবার   ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫   পৌষ ৫ ১৪৩২   ২৮ জমাদিউস সানি ১৪৪৭

নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে হাজিরা যন্ত্র কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে

তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক

প্রকাশিত : ০৪:৪৭ পিএম, ৪ জানুয়ারি ২০২০ শনিবার

 

রাজশাহীতে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্র ‘ডিজিটাল সলিউশন লিমিটেড’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান থেকে কিনতে বাধ্য করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকদের অভিযোগ, যন্ত্র স্থাপনের আগেই ওই প্রতিষ্ঠান থেকে বাজারমূল্যের প্রায় দ্বিগুণ দামের রসিদ শিক্ষকদের হাতে ধরিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

জানা যায়, গত ২৩ অক্টোবর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে যন্ত্রটির ১৫টি ‘স্পেসিফিকেশন’ দিয়ে বলা হয়, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ বাজার থেকে যাচাই করে সাশ্রয়ী মূল্যে নিজেদের পছন্দমতো ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্র ক্রয় করে বিদ্যালয়ে স্থাপন করবে। এ ক্ষেত্রে কোনো নির্দিষ্ট প্রতিষ্ঠান থেকে ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্র ক্রয়ের ব্যাপারে কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। এ ব্যাপারে কোনো ব্যত্যয় হলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে যথাযোগ্য আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

যদিও এই নির্দেশনা অমান্য করে রাজশাহীতে ডিজিটাল হাজিরা যন্ত্র কেনা হচ্ছে। প্রথমেই তানোর উপজেলায় এই কার্যক্রম শুরু হয়। যন্ত্র স্থাপনের আগেই উপজেলার ১২৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে ‘ডিজিটাল সলিউশন লিমিটেড’–এর ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকার রসিদ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয়ের নাম, ঠিকানা ও ওপরে তারিখ লেখার জায়গা ফাঁকা রেখে এই রসিদের নিচে স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির স্বত্বাধিকারীর নাম ফয়সাল ইসলাম। এ নামেই স্বাক্ষর দেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন প্রধান শিক্ষক জানান, যন্ত্রটি বিক্রি করার জন্য বিভিন্ন কোম্পানির প্রতিনিধিরা এসেছিলেন। অনেকে ৯ থেকে ১৩ হাজার টাকার মধ্যে যন্ত্রটি সরবরাহ করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু ওপর থেকে তাঁদের ওপর সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়েছে। যন্ত্র বসানোর আগেই ডিজিটাল সলিউশন লিমিটেডের ১৮ হাজার ৯৯৯ টাকার রসিদ ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে।

জানতে চাইলে জোবাইদা খানম বলেন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও চেয়ারম্যানের সঙ্গে আলোচনা করে শিক্ষকেরাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। একটি কোম্পানির কাছ থেকে নিলে তদারকি সহজ হবে। আর তারা বিনা মূল্যে এক বছরের ইন্টারনেট সংযোগ দিতে চেয়েছে। এই সব বিবেচনায় ভালো মনে করে এটা করা হয়েছে। এই সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দেওয়া হয়নি।