খালেদা জিয়া বলেছেন, জামিন না দেওয়া নজিরবিহীন
তরুণ কণ্ঠ ডেস্ক
প্রকাশিত : ০৮:১২ পিএম, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৯ সোমবার

কারাবন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বরাত দিয়ে তাঁর পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, জামিন মানে তো মুক্তি না। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে তাঁর জামিন না হওয়া নজিরবিহীন ঘটনা।
আজ সোমবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করেন পরিবারের সদস্যরা। বিকেল ৩টার দিকে তাঁরা হাসপাতালে প্রবেশ করেন, বেরিয়ে আসেন ৪টা ২৫ মিনিটের দিকে।
প্রায় দেড় ঘণ্টা সাক্ষাৎ শেষে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সেজ বোন সেলিমা ইসলাম সেখানে অপেক্ষমাণ গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে কথা বলেন। এ সময় তিনি সর্বোচ্চ আদালতে খালেদা জিয়ার জামিন না হওয়া প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) বলেছেন, জামিন মানে তো মুক্তি না। আপিল বিভাগে তাঁর জামিন না হওয়া নজিরবিহীন ঘটনা।’
গত ১২ ডিসেম্বর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন পূর্ণাঙ্গ বেঞ্চ সর্বসম্মতিক্রমে এই আদেশ দেন। একই সঙ্গে আদালত খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমরা সর্বসম্মতিক্রমে জামিন নাকচ করে দিচ্ছি। মেডিকেল বোর্ডকে তাঁর (খালেদা জিয়া) প্রপার ট্রিটমেন্টের ব্যবস্থা নিতে বলছি।’
আজ সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার শরীর খুবই খারাপ। এখন তাঁর পেটের ব্যথা। তিনি হাঁটাচলা করতে পারছেন না। ঠিকমতো খেতেও পারছেন না। ডাক্তার ঠিকমতো ওষুধ দিচ্ছে না। ঠিকমতো চিকিৎসা হচ্ছে না। এখানে কীভাবে সে বাঁচবে?’
‘ডায়াবেটিস কন্ট্রোলে আসছে না। ডায়াবেটিসের সুগার ১২ নিচে কখনোই আসেনি। ১৪ থেকে ১৫ পর্যন্ত সব সময় থাকে। আজ ১৪ আছে।’
প্যারোলে মুক্তির ব্যাপারে খালেদা জিয়া কিছু বলেছেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সেলিমা ইসলাম বলেন, ‘এই ব্যাপারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে কোনো কথা হয়নি। তাঁরা খালেদ জিয়াকে তো জামিন দিলেন না। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা বিবেচনা করে তাঁকে জামিন দিতে পারতেন। জামিন মানে তো মুক্তি না। জামিন না দেওয়াকে নজিরবিহীন বলে মন্তব্য করেন খালেদা জিয়া।’
সেলিমা ইসলাম আরো বলেন, ‘বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ আদালতে খালেদা জিয়ার যে মেডিক্যাল রিপোর্ট দিয়েছে তার সঙ্গে বাস্তবতার কোনো মিল নেই। তাঁর শরীর খুব খারাপ। সুগার ফল করেছে। এখানে তাঁর কোনো সুচিকিৎসা হচ্ছে না। তিনি দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছেন।’
পরিবারের সদস্যদের মধ্যে আরো ছিলেন সেলিমা ইসলামের স্বামী অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তাঁর স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, তাদের ছেলে অভিক এস্কান্দার।
এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন চৌধুরী দিদার ও শায়রুল কবির উপস্থিত ছিলেন।
আজকের সাক্ষাতকারের ব্যাপারে বিএনপির চেয়ারপারসনের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শামসুদ্দিন চৌধুরী দিদার বলেন, ‘নিয়মিত দেখা করার অংশ হিসেবে তাঁরা দেখা করেছেন। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় সর্বোচ্চ আদালত থেকে জামিন না হওয়ায় এ বিষয়ে ম্যাডামের পরামর্শ নেওয়া হবে।