বুধবার   ০৯ জুলাই ২০২৫   আষাঢ় ২৫ ১৪৩২   ১৩ মুহররম ১৪৪৭

বিমানে পেঁয়াজের প্রথম চালান আসছে আজ

প্রকাশিত : ১২:৫৬ পিএম, ১৯ নভেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার

 

মিসর থেকে কার্গো বিমানযোগে আমদানি করা পেঁয়াজের প্রথম চালান আসছে আজ । সোমবার (১৮ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে পেঁয়াজ আসার এ খবর নিশ্চিত করেন বাণিজ্য সচিব মো. জাফর উদ্দীন।

এছাড়া, বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা পেঁয়াজের চালান এখন বাংলাদেশের পথে সাগরে রয়েছে। এলসি খুলে সমুদ্র পথে বিদেশ থেকে পেঁয়াজ আনতে দেড় মাসের মতো সময় লাগছে বলেও জানান তিনি। 

বাণিজ্য সচিব বলেন, পেঁয়াজের দাম নিয়ে কারসাজিতে যুক্ত থাকায় ২৫০০ অসাধু ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সরকারের নানা উদ্যোগের ফলে নিত্যপণ্যটির বাজার ‘অতি দ্রুত’ স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র কারণে দেশের বাজারে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে মন্তব্য করে জাফর উদ্দিন বলেন, মিনিমাম রফতানি মূল্যে ভারত থেকে পেঁয়াজ রফতানি প্রায় তিনগুণ বেড়েছে। মিয়ানমার থেকে বেড়েছে চারগুণ। তড়িৎ গতিতে কার্গো বিমানে করে এসব দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা হচ্ছে। 

পেঁয়াজের বাজার স্থিতিশিল করার জন্য টিসিবির (ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ) কার্যক্রম ঢাকাসহ সারাদেশে জোরদার করা হয়েছে। অল্প সময়ে পেঁয়াজের বাজার স্বাভাবিক হবেও আশা প্রকাশ করেন বাণিজ্য সচিব। 

এর আগে গত শনিবার (১৬ নভেম্বর) বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এস আলম গ্রুপ বিমানযোগে বিপুল পরিমাণ পেঁয়াজ আমদানি করছে বলে জানানো হয়। এটি সেই আমদানির প্রথম চালান। পর্যায়ক্রমে অন্য আমদানিকারকদের আমদানি করা পেঁয়াজও কার্গো উড়োজাহাজ যোগে ঢাকায় পৌঁছাবে।

পেঁয়াজের দাম বৃদ্ধির পর থেকে বাজার নিয়ন্ত্রণে নানামুখী উদ্যোগ ব্যর্থ হওয়ার পর বিমানে করে এই খাদ্যপণ্য আমদানির সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এতে কিছুটা কমতে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। 

ঢাকার পাইকারী বাজারের ন্যায় খুচরা বাজারেও কিছুটা কমেছে পেঁয়াজের ঝাঁজ। সোমবার যে পেঁয়াজ ২৩০ থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে আজ মঙ্গলবার তা ২০০ থেকে ২১০ টাকায় নেমেছে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকা থেকে ১৯০ টাকায়, আর মিসর-তুরস্কের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা থেকে ১৭০ টাকায়।

এদিকে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে জানানো হয়েছে, অর্থ ছাড়ে বিলম্বের কারণে যেন পেঁয়াজ আমদানিতে কোনো সমস্যা তৈরি না হয়, সেজন্য পেঁয়াজ আমদানিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় যখন যে পরিমাণ টাকা চাইবে, অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে তাৎক্ষণিকভাবে সেই অর্থ ছাড় ছাড় দেয়া হবে।

প্রসঙ্গত, গত সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে ভারত পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ার পর দেশে পেঁয়াজের বাজারে অস্থিতিশীলতা দেখা দেয়। আর সেই সময় থেকে ক্রমেই লাগামহীন হয়ে চলেছে দেশের পেঁয়াজের বাজার।