যুবলীগ চেয়ারম্যানের অবস্থা ও অবস্থান জানা যাবে রোববার
আমিনুল ইসলাম শান্ত
প্রকাশিত : ০৫:৪০ পিএম, ১৮ অক্টোবর ২০১৯ শুক্রবার

ব্যাংক হিসাব তলব, বিদেশ গমনে নিষেধাজ্ঞাসহ নানা চাপে থাকা যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীর সাংগঠনিক অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে আগামী রোববার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এমন কথাই বলেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
ওমর ফারুক চৌধুরীর অবস্থা ও অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ২৩ নভেম্বর যুবলীগের কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এ কাউন্সিল উপলক্ষে সংগঠনটির নেতাদের সঙ্গে আগামী রোববার গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বৈঠক করবেন। রোববারের ওই বৈঠকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে আমন্ত্রণ না জানানো, যুবলীগ নেতাদের বয়স, সংগঠনটির নেতৃত্বের বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে। রোববারের ওই বৈঠকের পরই আপনারা সব জানতে পারবেন।’
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর বনানীতে সাংবাদিদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। এ সময় তিনি বুয়েটের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ড, বিএনপির রাজনীতি ও চলমান ক্যাসিনোবিরোধী অভিযানসহ বিভিন্ন বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন।
এর আগে ওবায়দুল কাদের বনানী কবরস্থানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ পুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন উপলক্ষে তার কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান। এ সময় তাঁর সঙ্গে দলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে যুবলীগ নেতাদের বৈঠকে সংগঠনটির চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরীকে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি কেন? এমন প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘যুবলীগের চেয়ারম্যানকে কেন ডাকা হয়নি এবং কত বছর বয়স পর্যন্ত একজন নেতা যুবলীগের নেতৃত্ব দিতে পারবেন, সেসব বিষয় নিয়ে রোববারই আলোচনা করা হবে।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু করে র্যাব। অভিযানে যুবলীগের প্রভাবশালী কয়েক নেতা কোটি কোটি টাকাসহ ধরা পড়েন। গ্রেপ্তারকৃতদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। এতে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে ওমর ফারুক চৌধুরীর নাম উঠে আসে মিডিয়ায়। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের যুব সংগঠন যুবলীগের ৭১ বছর বয়সী চেয়ারম্যানের নানা কর্মকাণ্ড নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন কেন্দ্রীয় অনেক নেতাই। গত ৩ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ওমর ফারুক চৌধুরীর ব্যাংক হিসাব তলব করে। ৬ অক্টোবর তাঁর বিদেশ গমনের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর পর থেকেই ওমর ফারুক চৌধুরী একবারে চুপ হয়ে যান। প্রকাশ্যে তাঁকে আর দলের কোনো নেতাকর্মী দেখেননি। সর্বশেষ গত ১১ অক্টোবর যুবলীগের প্রেসিডিয়ামের বৈঠকেও অংশ নেননি ওমর ফরুক চৌধুরী।