বঙ্গবন্ধু প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ইউজিসির কমিটি
প্রকাশিত : ০৮:১৬ পিএম, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯ মঙ্গলবার
টানা ১৩ দিন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পর গোপালগঞ্জের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বশেমুরবিপ্রবি) অস্থিরতার কারণ খতিয়ে দেখতে পাঁচ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)। কমিটিকে আগামী সাত কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। মঙ্গলবার এ তথ্য নিশ্চিত করেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ।
এদিকে বশেমুরবিপ্রবির ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে মঙ্গলবার ষষ্ঠ দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক আলমগীর হোসেনকে প্রধান করে এই কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- প্রফেসর ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন, প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম, পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচালক মো. কামাল হোসেন এবং পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-পরিচালক মৌলি আজাদ।
রোববার (২৩ সেপ্টেম্বর) বশেমুরবিপ্রবির ঘটনার প্রকৃত তথ্য জানাতে ইউজিসিকে চিঠি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়। এর আগে ২১ সেপ্টেম্বর শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী বিশ্ববিদ্যালয়টির অচলাবস্থাসহ যাবতীয় বিষয় খতিয়ে দেখতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইনকে তদন্ত কমিটি গঠন করার নির্দেশ দিয়েছিলেন। উপমন্ত্রীর নির্দেশের তিনদিন পর এ তদন্ত কমিটি গঠিত হলো।
গত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভিসি অধ্যাপক ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগ দাবিতে আমরণ অনশন করছেন। গতকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা গণস্বাক্ষর সংগ্রহ শুরু করেছেন।
উল্লেখ্য, গত ১১ সেপ্টেম্বর আইন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ও ক্যাম্পাস সাংবাদিক ফাতেমা তুজ জিনিয়াকে সাময়িক বহিষ্কারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ক্যাম্পাসে উত্তেজনা ও অস্থিরতা শুরু হয়। ফাতেমা তুজ জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে গড়ে ওঠা শিক্ষার্থীদের আন্দোলন সর্বশেষ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। ইতোমধ্যে জিনিয়ার বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এমতাবস্থায় আগামী ৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করে কর্তৃপক্ষ। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের গত শনিবার সকাল ১০টার মধ্যে হল ছাড়ার নির্দেশ দেয়া হয়। এরই মধ্যে ওইদিন বেলা ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা চালায় বহিরাগতরা। এতে অনন্ত ২০ শিক্ষার্থী আহত হন। এ ঘটনার পর আরও উত্তাল হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস। বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হলেও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা ভিসির পদত্যাগ দাবিতে কর্মসূচি অব্যাহত রেখেছেন।
